মশা মারা সহজ, কিন্তু মাছি মারা কঠিন কেন?

এর রহস্য লুকিয়ে আছে মাছির চোখে। কিন্তু কিভাবে ?

আমাদের চোখ প্রতি সেকেন্ডে ৬০ টি স্থির চিত্র আমাদের ব্রেইনে প্রেরণ করে। তারপরে ব্রেইন সেই স্থির চিত্র গুলোকে একত্র করে আমাদের চলমান দুনিয়া দেখায়। কিন্তু একটি মাছির চোখ প্রতি সেকেন্ডে ২৫০ টি স্থির চিত্র তার ব্রেইনে পাঠায়। মাছির ব্রেইন যখন সেই স্থির চিত্র গুলোকে একত্র করে চলমান করে তোলে তখন সে আসলে আমাদের তুলনায় সব কিছুকে খুব ধীর গতিতে দেখে থাকে, যাকে আমরা বলি স্লো মোশন (Slow Motion)

আমরা যখন একটা মাছিকে মারতে যাই। তখন আমরা এক সেকেন্ডেরও কম সময়ে মাছিটিকে আক্রমণ করি। আমরা প্রতি সেকেন্ডে ৬০ টি ফ্রেম দেখার কারনে এই কাজটি আমাদের কাছে অনেক দ্রুত মনে হয়। কিন্তু মাছির কাছে আমাদের এই দ্রুত কাজটি মানে তার দিকে তেড়ে যাওয়া খুবই ধীর মনে হয়। তাই আমরা একটা মাছিকে আঘাত করার অনেক আগেই সে উড়ে চলে যেতে পারে।

কিন্তু মশার আবার মাছির মত এই বিশেষ ক্ষমতা নেই। সেজন্য মশা এত সহজে উড়ে যেতে পারেনা। এজন্যই মশা মারা সহজ হয়, কিন্তু মাছি মারা এত কঠিন।

 

কাঁঠালের বিচি, লিচুর বিচি কিন্তু আমের বিচি নয় কেন? আমের আঁটি কেন?

যে সকল ফল থেকে আমরা সহজেই বীচ আলাদা করতে পারি। সেই সব ফলের ক্ষেত্রে বিচি হবে। যেমন : পেপে, কাঠাল, লিচু, লেবু এই সব ফলের থেকে বীজ সহজেই আলাদা করা যায়।

আর যে সকল ফল থেকে আমরা খুব সহজে বীজ আলাদা করতে পারি না, ফলের ভিতরে একটি শক্ত আভরণের ভিতরে বীজ থাকলে তাকে আঁটি বলে। যেমন: তালের আঁটি, আমের আঁটি, আমড়ার আঁটি ইত্যাদি।

 

আপনি কী কখনো ভেবে দেখেছেন যে অপারেশন এর রুমকে কেনো “অপারেশন থিয়েটার” বলা হয়?

আসলে আগেকার যুগে অপারেশন এর রুমগুলো সাধারণত থিয়েটার এর মতো করেই বানানো হতো। সেখানে বড় একটা গ্যালারি থাকতো। সেখানে রুমের চারিপাশে দর্শকরাও থাকতো।

উপরের ছবিটি একটি ঐতিহাসিক ছবি। উপরের এই ছবিটি ১৯৪৫ সালে তোলা । উপরের ছবিটা দেখলেই বুঝতে পারবেন যে, নিচে একটি অপারেশন হচ্ছে। আর উপরে নার্সরা পর্যবেক্ষণ করছে (থিয়েটারে সিনেমা দেখার মত)। এ কারনেই অপারেশন রুমকে আমরা এখনও অপারেশন থিয়েটার বলে থাকি।

 

পাকা ফলের বাইরে থেকে দেখতে ভালো হলেও ভেতরে পোকা থাকে। এই পোকা আসে কিভাবে?

এখানে ২ ভাবে পোকার আক্রমন হয়ে থাকে।

১- যখন ফুল আসে তখন পোকার আক্রমন হয়। এরা একটা নির্দিষ্ট সময় পরে সেখান থেকে লার্ভা বের হয়। আর সে লার্ভা ফল খেয়ে আস্তে আস্তে বড় হয়ে ওঠে। তবে এটাখুব কমই দেখা যায়।

২- পাকা আমের মধ্যে বেশি পোকা দেখা যায়। এটা ধরনের পোকার কারনে হয় তার নাম Sternochetus Mangiferae.

যখন একটি আমের দশা মুকুল পর্যায়ে থাকে তখন এই পোকা গুলো এদের হুলের মাধ্যমে এদের ডিম আমের মাঝে প্রবেশ করিয়ে দেয়।

কিছু সময় পরে আম বড় হয়ে গেলে এই দাগ মিটে যায়। কিন্তু বুঝতেই পারছো যে তখনও সেই পোকা গুলোর ডিম আমের ভিতরেই আছে। এটা আস্তে আস্তে লার্ভা দশায় এসে আম খেয়ে বড় হয়। এক সময় আম পেকে গেলে এরা আমের গা ছিদ্র করে বের হয়।

 

লিখার মধ্যে কোনো ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।

আল্লাহ হাফেজ।

 

6 thoughts on "জানা অজানা জ্ঞান বিজ্ঞান [পর্ব – ৪]"

  1. Aubdulla Al Muhit Contributor says:
    অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই । এরকম আটিকেল উপহার দেওয়ার জন্য ।
    1. From Fahad Contributor Post Creator says:
      আপনাকেও ধন্যবাদ ?
  2. pipulakando Author says:
    সুন্দর পোষ্ট❤️
    1. From Fahad Contributor Post Creator says:
      ধন্যবাদ।

Leave a Reply