আসসালামু আলাইকুম সবাইকে, আশা করে সবাই খুব ভালো আছেন_সুস্থ আছেন। আমাদের সবাই কে কোনো না কোনো সময় যেকোনো শারীরিক জটিলতায় ভুগতে হয়। তেমনই একটি সমস্যা নিয়ে আজকে আলোচনা করবো এবং সমাধান দিয়ে দেবো- তো চলুন এখনি শুরু করি ।
ইউরিক অ্যাসিড সম্পর্কে আপনারা অনেকে হয়তো জানেন। আজকাল এটি বেশি শোনা যায় যে_ ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা নিয়ে মানুষ খুবই বিব্রত।
ইউরিক অ্যাসিড কি?
–> ইউরিক অ্যাসিড হচ্ছে এমন একটি পদার্থ, যেটা হচ্ছে আমাদের প্রস্রাব, প্রস্রাবের সঙ্গে বেরিয়ে আসা পদার্থই হচ্ছে ইউরিক অ্যাসিড । এই অ্যাসিড আমাদের লিভারে উৎপন্ন হওয়া বর্জ্য পদার্থ, যা কিডনি দিয়ে প্রবাহিত হয়, পরে প্রস্রাব হয়ে বেরিয়ে আসে ।
ইউরিক অ্যাসিডের ভূমিকা কি?
আমাদের শরীরের পক্ষে অপরিহার্য একটি পদার্থ হচ্ছে এই ইউরিক অ্যাসিড,, তাই এই অ্যাসিড আমাদের শরীরের জন্য স্বাভাবিক মাত্রায় থাকা ভালো। ইউরিক অ্যাসিড যখন তার স্বাভাবিক মাত্রা ছাড়িয়ে যায়_ তখন কিডনিতে সমস্যা হতে শুরু করে। অল্প সময়ে এটি নিরাময় করতে না পারলে আমাদের শরীরের পক্ষে বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখতে খাদ্যাভ্যাস ঠিক রাখুন।
ইউরিক অ্যাসিডিক সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চান?
তাহলে শুনুন, এই অ্যাসিডিক সমস্যা নিরাময় করার জন্য বেশি করে ফল খাওয়া উচিত, সেক্ষেত্রে এমন ৫ টি ফল রয়েছে যেগুলো উক্ত সমস্যায় কার্যকরি সমাধান হিসেবে বলা যেতে পারে। তা হলো_ স্ট্রবেরি, আনারস, চেরি, কমলা লেবু, অ্যাভোকাডো। এই ফলগুলো অ্যাসিডের মাত্রা যথেষ্ট হারে কমিয়ে দিতে সক্ষম। এসব ফল গুলোতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন-ই এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট মজুদ রয়েছে। একই সাথে এগুলো আপনার শরীরের প্রদাহ কমিয়ে দেয় এবং ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখে।
এর পাশাপাশি আপনাকে আরো কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে, যেমনঃ
১. পর্যাপ্ত পানি পান করুন প্রতিদিন,
২. অল্প হলেও নিয়মিত ব্যায়াম করার অভ্যাস করুন,
৩. সময়মত খাবার গ্রহণ করুন,, সকালের খাবার দুপুরে আবার দুপুরের খাবার রাতে খাওয়া থেকে বিরত থাকুন এবং সাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করুন,
৪. সমস্যা খুব বেশি হয়ে গেলে আমিষ খাওয়া বাদ দেন,
৫. এভাবে নিয়ম মাফিক চলার ২মাস পর সাস্থ্য পরীক্ষা করুন,
ইনশাআল্লাহ, আশা করা যাচ্ছে আপনি ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হবেন।
সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। আজকের এই আর্টিকেল পড়ে আপনার কেমন লাগলো সেটা কমেন্ট করে জানান..। আজকের জন্য বিদায় নিচ্ছি_আল্লাহ হাফেজ..।
2 thoughts on "শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে গিয়ে হতে পারে কিডনি ড্যামেজ। বাঁচার উপায় জানতে পোস্ট’টি পড়ুন_।"