ওপরের প্রথম স্ক্রিনশটটি পপ ওএস ২১.০৪-এর, দ্বিতীয়টি ২৪.০৪ আলফা সংস্করণের। বাইরে থেকে প্রায় একইরকম দেখালেও এদের পার্থক্যটা তার থেকে অনেক বেশি। লিনাক্সের আগামীর দিনের গতিপথের বড় এক ধাপ হতে পারে পপ ওএস ২৪.০৪ এর নতুন কসমিক ডেস্কটপ।
System76 এবং পপ ওএস
পপ ওএসের নির্মাতা System76 সফটওয়্যারের থেকে বেশি একটি ওপেন সোর্স হার্ডওয়্যার কোম্পানি। তাদের বিভিন্ন ধরণের কম্পিউটার ডিভাইস ও কম্পোনেন্টস আছে। ২০১৭ সালের শেষের দিকে তারা নিজেদের একটি অপারেটিং সিস্টেম নিয়ে আসে, পপ ওএস (Pop!_OS)। উবুন্টু ১৭.১০ এর ওপর ভিত্তি করে রিলিজ হয় পপ ওএসের প্রথম সংস্করণ পপ ওএস ১৭.১০।
শুরুর দিকে পপ ওএস গ্নোম ডেস্কটপের অনেকটা বিশুদ্ধ এক্সপ্রেরিয়েন্স দিতো, সেইসাথে সুন্দর থিমিং, কীবোর্ড ফ্রেন্ডলিনেস ও আরো ইন্সহেন্সমেন্ট নিয়ে। উন্নত হার্ডওয়্যার সাপোর্টসহ এই ব্যাপারগুলো পপ ওএসকে দ্রুত জনপ্রিয়তা দেয়। পরবর্তী ভার্সনগুলোতে টাইলিং ফিচারসহ আরো নতুনত্ব নিয়ে আসে। তবে পপ ওএসের গতিপথে বড় পরিবর্তন আসে ২০২১ সালে পপ ওএস ২১.০৪ এর সাথে, যেখানে তারা গ্নোমের মূল ওয়ার্কফ্লো থেকে বের হয়ে কসমিক ওয়ার্কফ্লো হিসেবে গ্নোম ডেস্কটপকে অনেকটা কাস্টমাইজড করে নিয়ে আসে।
লিনাক্স অথবা গ্নোম ডেস্কটপ নিয়ে যাদের এক্সপ্রেরিয়েন্স নেই, তাদের জন্য কথাগুলো বোঝা সম্ভবত একটু কঠিন হয়ে যাচ্ছে। ডেস্কটপ বলতে বোঝাচ্ছি ডেস্কটপ এনভায়রনমেন্ট (সংক্ষেপে ডিই), অপারেটিং সিস্টেমের গ্রাফিকাল ইন্টারফেস। যেটা প্যানেল, ডক, ওয়ালপেপার, থিম, উইন্ডো ম্যানেজার, বিভিন্ন ইউটিলিটিসসহ বিভিন্ন কম্পোনেন্টের সমষ্টি। লিনাক্সের উন্মুক্ত প্রকৃতির কারণে একই ডিইযুক্ত বিভিন্ন অপারেটিং সিস্টেম তৈরি হতে পারে, এবং অপারেটিং সিস্টেম ঠিক রেখে ডিই পরিবর্তন করা যায়।
গ্নোম (Gnome) ডেস্কটপের বিশেষত্ব হলো উইন্ডোজ এবং লিনাক্সেও অন্য বিভিন্ন ডেস্কটপের ট্রেডিশনাল ওয়ার্কফ্লো থেকে গ্নোম কিছুটা ভিন্নধর্মী ওয়ার্কফ্লো অফার করে। উদাহরণস্বরূপ, এখানে মিনিমাইজ বাটন বাই ডিফল্ট নেই, তার পরিবর্তে সহজে একাধিক ওয়ার্কস্পেসে অ্যাপগুলো সাজিয়ে রেখে যেন কাজ করা যায় এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে। গ্নোমের ভিন্নধর্মী ওয়ার্কফ্লোতে অভ্যস্থ হতে কিছুটা সময় প্রয়োজন হতে পারে, এবং সবার কাছে সমানভাবে প্রিফারেবল নাও হতে পারে। এটা কাস্টমাইজেবল অবশ্য। উবুন্টুসহ গ্নোম ডেস্কটপযুক্ত অনেক অপারেটিং সিস্টেম গ্নোমের কিছুটা কাস্টমাইজড সংস্করণ প্রদান করে।
কসমিক ডেস্কটপ
পপ ওএসের আলোচনায় ফিরে আসি। ২১.০৪ এডিশন থেকে পপ ওএস বিভিন্ন এক্সটেনশনের সাথে কসমিক (COSMIC) নামে গ্নোম ডেস্কটপকে আরো কাস্টমাইজড করে নিয়ে আসে। ওয়ার্কস্পেস ও অ্যাপ্লিকেশন বাটনকে আলাদা করে, নতুন ডক ইন্ট্রোডিউস করে, মিনিমাইজ বাটন যুক্ত করে এবং সর্বোপরি, গ্নোমের ওয়ার্কফ্লো থেকে বের হয়ে নিজস্ব একটি ওয়ার্কফ্লোর দিকে যায়। পরবর্তীতে ২১.১০ ও ২২.০৪ রিলিজে তারা সে ধারাকে অব্যহত রেখে আরো ইম্প্রুভমেন্ট নিয়ে আসে।
এরপর তারা একটি নতুন সিদ্ধান্ত নেয়। গ্নোম ডেস্কটপের কাস্টমাইজড সংস্করণের পরিবর্তে কসমিক ডেস্কটপকে নিজেদের সম্পূর্ণ নতুন একটি ডেস্কটপ হিসেবে নিয়ে আসার। যেটা তাদেরকে গ্নোমের ওপর নির্ভরতা থেকে বের হয়ে সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রণ দিবে নিজেদের ডেস্কটপের ওপর। ২০২২ এর শেষের দিকে তারা কসমিক ডেস্কটপ অ্যানাউন্স করে।
দুই বছর পর, এখন আমাদের সামনে কসমিক ডেস্কটপসহ পপ ওএসের প্রথম আলফা সংস্করণ চলে এসেছে। নির্মাতাদের জন্য নিশ্চয়ই গর্বের ব্যাপার। কিন্তু আরো বড় চিত্রটা যদি তুলে ধরি, ঠিক এখন যদি আপনি একটি ডেস্কটপ এনভায়রনমেন্ট বেছে নিতে চান- Gnome, XFCE, Cinnamon, Mate, Budgie, KDE Plasma, LXQt এরকম অনেকগুলো নাম সামনে আসবে। এতগুলো ডেস্কটপের ভিড়ে কসমিকের নিজের কি কোন বিশেষত্ব আছে? এমন কিছু যেটা এই ডেস্কটপকে আগ্রহের দাবিদার করবে? এক কথায় উত্তর হবে, হ্যা।
নতুন ডেস্কটপ হিসেবে কসমিক পুরনোদের পথে হাঁটেনি। শুরু করেছে আধুনিক প্রযুক্তিগুলো থেকে। কসমিক ডেস্কটপ তৈরি হয়েছে মূলত RUST প্রোগ্রামিং ভাষায়, যা রিসোর্স এফিশিয়েন্ট একটি ভাষা। ডেস্কটপটি শুধুমাত্র Wayland সেশন সমর্থন করে- লিগ্যাসি X11 সেশনকে তারা বাদ দিয়েছে, তবে Xwayland এর মাধ্যমে শুধু X11 সমর্থিত অ্যাপ রান করতে পারে। পপ শেলের কথা সামনে আসছে, যেটা কসমিককে সব ডেস্কটপ থেকে আরো একবার আলাদা করেছে। সবচেয়ে বড় কথা, পপ ওএসের যাত্রা গ্নোম ডেস্কটপ দিয়ে শুরু হলেও কসমিক ডেস্কটপে তারা নিজেদের দর্শন নিয়ে কাজ করছে- সুপার রেসপোন্সিভ, আরো কাস্টমাইজেবল, ইউজার ফ্রেন্ডলি এবং আধুনিক ডেস্কটপ এক্সপ্রেরিয়েন্সের জন্য।
কসমিক ডেস্কটপকে নির্মাতারা কীবোর্ড ফ্রেন্ডলি ও প্রোডাক্টিভ হিসেবে ডিজাইন করার চেষ্টা করেছেন। জরুরী না যে এটা সবার সমানভাবে পছন্দ হবে। আমি পপ ওএসের ভক্ত বরং তখন ছিলাম, যখন পপ ওএস গ্নোমের প্রোপার এক্সপ্রেরিয়েন্স প্রদান করত। এবং আমার কাছে দুঃখজনক যে সেই পপ ওএস তারা অব্যহত রাখেনি।
পপ ওএস ২৪.০৪ আলফা: প্রথম দেখা
পপ ওএস ২৪.০৪ আলফা আমি ভার্চুয়ালবক্সে ইন্সটল করেছি। প্রথম আলফা সংস্করণ হওয়াতে এবং ভার্চুয়ালবক্সে ইন্সটল করাতে বিভিন্ন বাগ, পলিশনেসের অভাব এই ব্যাপারগুলো স্বাভাবিকভাবেই থাকার কথা এবং ছিলো। মেগুলো সেভাবে উল্লেখ করবো না এখানে। তবে ব্যবহার করতে গিয়ে খুব স্মুথ এক্সপ্রেরিয়েন্স আশা না করাই ভালো। প্রসঙ্গত আমি লাইভ বুটেও চালিয়েছিলাম, ভার্চুয়ালবক্সে যতটা ইস্যু হয়েছে, লাইভ বুটে তার থেকে অনেক বেটার চলেছে।
ভার্চুয়ালবক্সে পপ ওএস চালানোর জন্য ভার্চুয়াল মেশিনের সেটিংস থেকে System > Enable EFI, Display > Video Memory > 128 MB, Display > Enable 3D Acceleration এই তিনটি পরিবর্তন করে নিতে হয়েছে। ইন্সটলার পপ ওএসের আগের সংস্করণগুলোর মতই থাকছে, বেশ সুন্দর একটা ইন্সটলার।
পপ ওএসের ইন্টারফেস বোল্ড, ফ্ল্যাট ও মডার্ন ডিজাইনে করা হয়েছে। বুট করার পর লগইন স্ক্রিন থেকেই তা দেখা যাবে।
UI ও UX এর কথা যদি বলি, এর আগের সর্বশেষ রিলিজ পপ ওএস ২২.০৪ এর কসমিক ওয়ার্কফ্লোর অনুরূপ করেই তারা নতুনভাবে ইমপ্লিমেন্ট করেছে। বিগত তিনটি ভার্সনের পপ ওএস চালানো থাকলে প্রথম দেখায় পার্থক্য খুব বেশি চোখে পড়বে না।
বাই ডিফল্ট ডক ও প্যানেল মিলে স্ক্রিনে বড় একটা অংশ দখল করে রাখে। সেটিংসে অবশ্য প্যানেল ও ডকে অনেকরকম কাস্টমাইজেশনের সুযোগ আছে। স্ক্রিনের যেকোন সাইডে নেয়া, রিসাইজ করা অটোহাইড বা ডক পুরোপুরি ডিজেবল রাখার অপশন আছে। অ্যাপলেটগুলোও পছন্দমত অর্গানাইজ করে নেয়া যায়।
ওয়ার্কস্পেসগুলো ভার্টিকাল অরিয়েন্টেশনে থাকছে বাই ডিফল্ট। তবে হরাইজন্টাল করার অপশন আছে। ফোর ফিঙ্গার সয়াইপ ওয়ান-টু-ওয়ান জেসচার আছে ওয়ার্কস্পেস পরিবর্তনের জন্য, তবে আপাতত এটা শুধু ভার্টিকাল অরিয়েন্টেশনের সাথে কাজ করে। এই মুহুর্তে টাচপ্যাড জেসচার শুধু এটাই আছে।
অ্যাপ্লিকেশনসে গেলে বিভিন্ন গ্রুপে অ্যাপগুলো পাওয়া যাবে। এই অ্যাপ্লিকেশনস মেনুটি প্রথম পপ ওএস ২১.১০-এ ইমপ্লিমেন্ট হয়েছিলো। গ্নোমের ফুল-স্ক্রিন অ্যাপ গ্রিডের পরিবর্তে অনেকই এটার প্রশংসা করেছেন। তবে ফাংশনালিটির দিক থেকে আমার এটা ভালো লাগেনি। প্রথমত, গ্রুপে বিন্যস্ত থাকাতে সব অ্যাপ একসাথে অনুসন্ধান করা যায় না। দ্বিতীয়ত, ফুল স্ক্রিন না হলেও স্ক্রিনের মাঝামাঝি যেভাবে পপআপ হয়, তা যথেষ্ট ডিস্ট্রাক্টিং।
তবে কসমিক ব্যবহারকারীদের একটা অংশের সম্ভবত এই অ্যাপ্লিকেশনস অপশনটি ব্যবহার করারই প্রয়োজন হবে না। কারণ কসমিকে ‘লঞ্চার’ নামে গ্লোবাল সার্চ ফিচার রয়েছে, যেটা খুবই পাওয়ারফুল। এই একটি সার্চ অপশন থেকে অ্যাপ্লিকেশন, ফাইল, সেটিংস, ওয়েব সার্চ, ক্যালকুলেশন এমনকি টার্মিনাল কমান্ডও এক্সিকিউট করতে পারবেন। বাই ডিফল্ট সুপার (উইন্ডোজ) কী প্রেস করে লঞ্চার এক্সেস করা যায়।
কসমিক ডেস্কটপের সাথে অনেকগুলো ইউটিলিস তারা ডেভেলোপ করেছে। অ্যাপ স্টোর, ফাইল ম্যানেজার, সেটিংস, টার্মিনাল, টেক্সট এডিটর ও স্ক্রিনশট ইউটিলিটি আছে এর মধ্যে। অ্যাপ্লিকেশন চালু করলে বাই ডিফল্ট একটিভ হিন্ট প্রদর্শন হয়। চারপাশে যে আউটলাইন দেখা যাচ্ছে। এটা ডিজেবল করা যায়।
অ্যাপ্লিকেশন ডিজাইনের ক্ষেত্রে, কসমিক আবারো সম্পূর্ণ ফ্লাট ও ক্লিন একটা অ্যাপ্রোচ নিতে চেয়েছে। তবে পার্সোনালি আমার চোখে এটা ভালো লাগেনি। অন্যদিকে যদি কসমিকের জন্য তৈরি অ্যাপ থেকে অন্যান্য GTK অ্যাপ একদমই ভিন্ন দেখায়, তার সাথে Qt অ্যাপ পাশে রাখলে তো পুরো উইন্ডোজ ১১ লেভেলের ইনকন্সিটেন্সি। সো কিছুমাত্রায় হলেও এই ইনকন্সিস্টেন্সি ট্যাকল করা ফাইনাল রিলিজের আগে একটা বড় চ্যালেঞ্জ হবে।
ডেস্কটপ এনভায়রনমেন্টের পরিবর্তে লিনাক্সে একটু গিক ধরণের ইউজাররা অনেকে টাইলিং উইন্ডো ম্যানেজার ব্যবহার করেন। এগুলো ফুল-ফ্লেজড ডিই থেকে লাইটওয়েট হয়, এবং এর মূল বিষয় হলো টাইলিং এবং কীবোর্ড-ফোকাসড ইন্টারফেস। কসমিক পূর্ণাঙ্গ ডিই হওয়ার পাশাপাশি টাইলিং ফিচারও ইমপ্লিমেন্ট করেছে, যেটা পপ ওএসের গ্নোমে ইতোপূর্বে ইমপ্লিমেন্ট করা ছাড়া অন্য কোন ডেস্কটপে বিল্টইন ফুল-ফ্লেজডভাবে নেই। তো এটা অবশ্যই পপ ওএসের সবচেয়ে বড় একটা আকর্ষণ।
কসমিকের টাইলিং ফিচার চালু থাকা সব অ্যাপকে খুব চমৎকারভাবে টাইলে বিন্যস্ত করে। উইন্ডোগুলো আপাতত মাউস ব্যবহার করে মুভ-রিসাইজ প্রভৃতি করতে পারবেন, স্ট্যাক করতে পারবেন। কীবোর্ড শর্টকাট এখনো সবকিছুর জন্য ইমপ্লিমেন্ট হয়নি, তবে গ্নোমের ইমপ্লিমেন্টেশনে ছিলো, তো আশা করি ডেভেলোপারদের টু ডু লিস্টে অবশ্যই এখানে পূর্ণ কীবোর্ড-ন্যাভিগেশন ইমপ্লিমেন্টের বিষয়টি আছে।
কসমিক ডেস্কটপের লাইট থিম আছে। তবে এখনকার মত এটা oi mama na plz ক্যাটাগরিতে রাখবো, এর আগে এরকম লাইট থিম শুধু ডিসকোর্ডে দেখেছি বলে মনে পড়ে। তবে কসমিকে উইন্ডোর বিভিন্ন অংশের কালার, অ্যাকসেন্ট কালার কাস্টমাইজ করতে পারবেন সেটিংস থেকেই। কসমিক প্রথম আলফা সংস্করণেই সেটিংসে, অন্তত গ্নোম ডেস্কটপের সাথে তুলনা করলে, প্রচুর কাস্টমাইজেশন অপশন দিয়ে দিয়েছে। সমস্যা হলো পরিবর্তিত কালার শুধু কসমিকের অ্যাপগুলোতে অ্যাপ্লাই হবে। GTK অ্যাপগুলোতে না।
কসমিকের অ্যাপ মিনিমাইজ করলে তা অ্যাপ আইকনে মিনিমাইজ না হয়ে আলাদা উইন্ডো হিসেবে ডকে প্রদর্শিত হয়। লিনাক্সে এটা আমি আগে দেখিনি। ম্যাক ওএসে সম্ভবত এরকম বিহেভিয়র। একাধিক উইন্ডো চালু থাকা অ্যাপ আইকনে ক্লিক করলে সবগুলো উইন্ডো প্রদর্শন করে।
কসমিকের অ্যাপ স্টোরটা আমার সিম্পলের মধ্যে ওয়েল-অর্গানাইজড লেগেছে। পছন্দ হয়েছে এটা।
কসমিকের সিস্টেম অ্যাপলেটগুলো ইতোমধ্যে ওয়েল-ডেভেলোপড। ডু নট ডিস্টার্ব মোড, ব্যাটারী পাওয়ার মোড, মিডিয়া কন্ট্রোল প্রদর্শনের মত ফিচারগুলো তারা ইমপ্লিমেন্ট করেছে।
কসমিকে কিছু কিছু এনিমেশন ইমপ্লিমেন্ট হয়েছে। যেমন অ্যাপ মিনিমাইজ, টাইলিং, ম্যাক্সিমাইজড উইন্ডোর সাথে ডক অ্যাডাপ্টেশন প্রভৃতি। তবে ওয়ার্কস্পেস সুইচ, অ্যাপ ওপেন-ক্লোজ সহ অনেক জায়গায় এনিমেশন এখনো ইমপ্লিমেন্ট হয়নি।
কী কী বাদ থাকলো? অনেক কিছুই। সেটিংসে এক্সপ্লোর করার মত অনেক কিছু ছিলো, কসমিকের অ্যাপ ও অ্যাপলেটগুলো নিয়ে আরো আলোচনা করা যেতো- তবে থাকুক সেসব। টেস্ট ড্রাইভ দিতে চাইলে: System76 – COSMIC
সবশেষে, COSMIC এর একটা পূর্ণরূপ আছে। Computer Operating System Main Interface Components। সেন্স মেক করে কিনা জানি না, বলে রাখলাম আরকি।
একটি GR+ BD পরিবেশনা
একই ডোমেইনের লিংক
পোস্টের শেষে দিবেন।
প্রমোশনাল পোস্ট হিসেবে চিহ্নিত হতে পারে।
Ignore non-profit notification.