ডাটা এন্ট্রি কি এবং ডাটা এন্ট্রি করে কিভাবে ইনকাম করা যায় তার বিস্তারিত জানুন।

ডাটা এন্ট্রি কি এবং কিভাবে কাজ করে? এবং ডাটা এন্ট্রি করে মাসে কত টাকা ইনকাম করা যায়? আপনি যদি এই বিষয়গুলো গুগলে সার্চ করে থাকেন তাহলে আজকের পোস্টটি শুধুমাত্র আপনার জন্যই। আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনি পেটিকেলি জানতে পারবেন

  • ডাটা এন্ট্রি কি?
  • ডাটা এন্টির ভবিষ্যৎ কি?
  • ডাটা এন্ট্রি করে মাসে কত টাকা ইনকাম করা সম্ভব?
  • ডাটা এন্ট্রি করতে হলে যা যা প্রয়োজন হয়

 
তাই আপনার মনের মধ্যে যদি এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর না জানা থাকে বা ঘুরপাক খায় তাহলে আজকের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে পড়তে থাকুন। কারণ এই পোস্ট আপনি সম্পূর্ণ পড়লে ডাটা এন্ট্রি সম্পর্কে কমপ্লিটলি একটি ধারণা পাবেন। যা আপনার ভীষণ উপকারে আসতে পারে, তো চলুন বেশি কথা না বলে শুরু করি।

ডাটা এন্ট্রি কি?

তো প্রথমে বলে নিই ডাটা অর্থ তথ্য আর এন্ট্রি অর্থ সংগ্রহ করা। বিশেষ কোনো তথ্যকে সংগ্রহ করে তা লিখিবদ্ধ করাকেই বলে ডাটা এন্ট্রি। অথবা হার্ড কপি ডাটা গুলোকে সফট কপি তে প্রোগ্রামিং এর মাধ্যমে সাজানো কেউ ডাটা এন্ট্রি বলে।

আর যে সমস্ত মানুষ ডাটা যোগ করা ডাটা সম্পাদন করার পাশাপাশি ডাটা যাচাই-বাছাই করার কাজ করে থাকে তাদেরকে বলা হয় ডাটা এন্ট্রি অপারেটর। আজকাল ছোট-বড় সব ধরনেরই প্রতিষ্ঠান এর ডাটা এন্ট্রি এর প্রয়োজন হয়ে থাকে। কারণ এর মাধ্যমে কোম্পানি তার ডাটাগুলোকে ইনপুট করে রাখে।

ডাটা এন্ট্রির কাজ করতে হলে যা যা প্রয়োজন?

ডাটা এন্ট্রির কাজ করতে হলে অবশ্যই আপনার যে জিনিসগুলো থাকা লাগবে তা নিচে মেনশন করা হলো:-

  • গুগল সীট
  • গুগল ডক্স
  • মাইক্রোসফট ওয়ার্ড
  • এক্সেল

উপরের এই সমস্ত সফটওয়্যার সম্পর্কে ভালো মত ধারণা থাকা দরকার বা থাকতে হবে। ডাটা অপারেটররা বিভিন্ন ধরনের কাজ করে থাকেন যেমন আপনাকে একটি ফাইল দেওয়া হলো সেখানে বলা হলো পিডিএফএ কনভার্ট করে দিতে হবে।

অথবা অফিসার আপনাকে একটি পিডিএফ ফাইল দিল যেটা টাইপিং এর মাধ্যমে লিপিবদ্ধ করে দিতে হবে আপনাকেই। এছাড়াও ধরেন ফাইবারে আপনাকে একটি কাজ দেয়া হলো যেখানে বিভিন্ন ডেটার ছবি আপনাকে দেওয়া হলো। যা টাইপিং এর মাধ্যমে গুগল সিটে আপনাকে লিপিবদ্ধ করে দিতে হবে।

বিভিন্ন বড় বড় কোম্পানি বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রামিং অরগানাইজড করে থাকে যা বিভিন্ন প্রয়োজনীয় তথ্য গুগল সিটে লিপিবদ্ধ করে রাখা হয়। এছাড়াও ডাটা এন্ট্রি তে আরো কিছু কাজ করা হয়ে থাকে

যেমন:-

  • অফিসিয়াল ওয়ার্ক
  • স্পেলিং ট্র্যাকিং
  • ডাটা কনভারসেশন
  • ট্রান্সলেশন
  • ডাটা বেজ ইত্যাদি ইত্যাদি

ডাটা এন্ট্রির কাজ কত প্রকার এবং কি কি?

জেনে রাখা ভালো সব ধরনের ডাটা এন্ট্রির কাজ ই যে একরকম তা কিন্তু নয়, এই ডাটা এন্ট্রি জবের অনেক ধরনের প্রকারভেদ আছে চলুন এখন জেনে নিই এরকম কিছু ডাটা এন্ট্রি জবের টাইপ সম্পর্কে যেগুলো শিখে আপনার অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করতে পারেন।

ডাটা এন্ট্রি জবটাকে আপনি দুই ভাগে ভাগ করতে পারেন- ১। অনলাইন ডাটা এন্ট্রি জব ২। আর একটি হল অফলাইন ডাটা এন্ট্রি জব।

অনলাইন ডাটা এন্ট্রি জব গুলোর মধ্যে যা যা রয়েছে:-

  • অনলাইন ফরম ফিলাপ করা
  • ক্যাপচার এন্ট্রি করা
  • টাইপিং করা
  • লিড জেনারেট করা

 মূলত উপরের লিস্টে থাকা এই ধরনের কাজগুলো যে আছে এগুলোকে করতে হলে অবশ্যই আপনাকে অনলাইনে গিয়ে করতে হবে। এবং এই কাজগুলোকে আমরা অনলাইন ডাটা এন্ট্রির কাজ বলতে পারি।

অফলাইন ডাটা এন্ট্রি জব গুলোর মধ্যে যা যা রয়েছে:-

  • পিডিএফ ফাইল থেকে এক্সেলে কনভার্ট করা

অর্থাৎ আপনাকে একটি পিডিএফ ফাইল দিয়ে দেয়া হলো সেখানে অনেক তথ্য থাকতে পারে সেই তথ্যগুলো আপনাকে google এক্সেলে গিয়ে, এন্ট্রি করে সেই এক্সেল ফাইলটা বায়ারকে দেয়ার জন্য। অথবা এটি এমনও হতে পারে, আপনাকে একটা ছবি দেওয়া হল যেটা পিএসজি ফরমেটে আছে সেখানে কিছু তথ্য আছে যেগুলো আপনাকে মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে গিয়ে আপনাকে টাইপ করতে হবে।

আর ডাটা এন্ট্রির এই ধরনের যে জব গুলো আছে, যেগুলো আপনি অফলাইনে সম্বোধন করবেন এগুলোকে আমরা অফলাইন ডাটা এন্ট্রি জব বলতে পারি। তো এখন আপনি নিশ্চয়ই জেনে গেছেন ডাটা এন্ট্রির প্রকারভেদ গুলো কি কি?

এগুলো ছাড়াও আপনারা অনেক ধরনের ডাটা এন্ট্রির কাজ পাবেন, আপনি যদি google এ গিয়ে সার্চ করেন ডাটা এন্ট্রি টাইপ লিখে তাহলে কিন্তু এ ধরনের কাজের লিস্ট গুলো পেয়ে যাবেন।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে আমি যেই টাইপগুলোর সাথে আপনাদের পরিচয় করায় দিলাম এই ধরনের ডাটা এন্ট্রি জব গুলোর মধ্যে আপনি কোন ধরনের ডাটা এন্ট্রি জবটাকে বাছাই করবেন? যেটা শিখে আপনি অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করতে পারেন।

চলুন দেখে নিই লিড জেনারেশন কিভাবে করতে হয়?

অনলাইন মার্কেটপ্লেস গুলোর মধ্যে যে কাজটি সবচাইতে বেশি অ্যাভেলেবেল, যে কাজটা আপনি খুব সহজেই করতে পারবেন সেই কাজটি হচ্ছে লিফ জেনারেশন। লিট জেনারেশন বলতে বোঝায় যে আপনি কোন একটা প্রতিষ্ঠান বা একটি ব্যক্তির ফোন নাম্বার, ইমেইল, অথবা তার ঠিকানা এইগুলো আপনি অনলাইনে গুগলে সার্চ করে আপনি সেই তথ্য বা ডেটা টা আপনি জেনারেট করবেন। মূলত এটি হলো লিট জেনারেশন।

তো এই লিট জেনারেশন কাজটি করেও কিন্তু আপনারা অনলাইন থেকে ভালো একটি এমাউন্ট আর্ন করতে পারেন। আর এই লিড জেনারেশন এর মধ্যে সবচাইতে পপুলার কাজ হচ্ছে বি টু বি জেনারেশন মানে বিজনেস টু বিজনেস লিড জেনারেশন।

তো আপনি চাইলেই কিন্তু এই কাজটি শিখে অনলাইন থেকে একটি ভালো মানের আর্নিং করতে পারেন। আর এই কাজটি শিখতে হলে আপনাকে সিম্পলী ইউটিউব অথবা গুগলে গিয়ে লিড জেনারেশন বাংলা টিউটোরিয়াল লিখে সার্চ করলেই অনেক ভিডিও অথবা search result পেয়ে যাবেন।

তো আপনি গুগল অথবা ইউটিউব থেকে ভিডিও দেখে আপনি লিড জেনারেশনের কাজগুলো খুব সহজেই শিখে নিতে পারেন।

ডাটা এন্ট্রির কাজগুলো কোথায় পাবেন? 

অনলাইনে অনেক ধরনের মার্কেট প্লেস আছে তার মধ্যে ফাইবার, ফ্রিল্যান্সার ,আপ-ওয়ার্ক, এই মার্কেটপ্লেস গুলো হচ্ছে সবচাইতে বেশি পপুলার। এই সবগুলো মার্কেট প্লেসেই আপনি ডাটা এন্ট্রি রিলেটেড অনেক কাজ পাবেন।

আরেকটি কথা বলে রাখি সবচাইতে বেশি ডাটা এন্ট্রি রিলেটেড কাজ পাবেন হচ্ছে আপনি ফাইবারে, এছাড়াও আপনি এর পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সার ডট কমে গিয়েও অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে পারেন। এবং ডাটা এন্ট্রির কাজ করতে পারেন।

ডাটা এন্ট্রি জব এর ভবিষ্যৎ কি?

আপনার মনের মধ্যে যদি প্রশ্ন থাকে ডাটা এন্ট্রি তো শিখব তো এই ডাটা এন্ট্রি শিখে লাভ কি এর ভবিষ্যৎ কেমন ভবিষ্যতে কি কাজ পাওয়া যাবে? তাহলে শুনুন ডাটা এন্ট্রি যতদিন অনলাইন থাকবে ততদিন ডাটা এন্ট্রির কাজও থাকবে।

কারণ বড় বড় কোম্পানিগুলো যতদিন সারভাইভ করবে ততদিন তাদের ডাটা সংরক্ষণের জন্য তারা ডাটা এন্ট্রির কাজ যারা পারে তাদেরকে হায়ার করবে।

অতএব আমরা এক কথায় বলতে পারি ডাটা এন্ট্রির ভবিষ্যৎ খুবই উজ্জ্বল এবং এটি ভবিষ্যতে আরও বড় হবে সেক্টরটা এবং কাজের সংখ্যাও আরো দিন দিন বাড়বে। তাই আপনি চাইলেই ডাটা এন্ট্রির কাজ শিখে রাখতে পারেন এতে আপনার ভবিষ্যতে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হবে না। তো আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন ডাটা এন্ট্রির ভবিষ্যৎ কি এখন চলুন জেনে নেই ডাটা এন্ট্রি থেকে কত টাকা ইনকাম করা পসিবল।

ডাটা এন্ট্রির কাজ করে অনলাইন থেকে কত টাকা মাসে ইনকাম করা সম্ভব?

ইনকামে এখানে কোন ধরনের লিমিট কিন্তু নেই। একেক জন একেক ধরনের আর্নিং করে থাকে, আমি এটা আপনাকে বলতে পারি যে আপনার প্রোফাইলটা যখন রেঙ্ক করে যাবে। বা আপনি যখন অর্ডার কন্টিনিউয়াসলি পেতে থাকবেন। তখন আপনি এভারেজ এ প্রতিমাসে ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকা আপনি এই ডাটা এন্ট্রি জব করে ইজিলি আর্নিং করতে পারবেন।

তবে আবার কখনো কখনো এর চাইতে অনেক কমও কিন্তু আপনি আর্নিং করতে পারেন। সবকিছু ডিপেন্ড করবে আপনার কাজ পাওয়ার উপরে। তবে এটা ঠিক যে আপনার প্রোফাইলটা পপুলার বা রেঙ্ক করে যাওয়ার পরে আপনাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হবে না। তখন আপনি অনায়াসে ২০ থেকে ৩৫ হাজার কিংবা ৪০ হাজার বা তার বেশি ইনকাম করতে পারবেন।

শেষ কথা:-
তো পাঠক আশা করছি আপনি এই আর্টিকেল পড়ে খুব সহজে বুঝতে পেরেছেন ডাটা এন্ট্রি সম্পর্কে। এবং ডাটা এন্ট্রি করে মাসে সর্বোচ্চ কত টাকা ইনকাম করা যায় তার ব্যাপারে। যদি কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে কমেন্ট সেকশনে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। তো আশা করছি আপনি কিভাবে ডাটা এন্ট্রির কাজ অনলাইনে শুরু করতে পারেন তার একটা কমপ্লিটলি গাইডলাইন এই পোস্টের মাধ্যমে পেয়েছেন।

5 thoughts on "ডাটা এন্ট্রি কি? এবং ডাটা এন্ট্রি করে কিভাবে ইনকাম করা যায়"

  1. HB Hasnat Contributor says:
    Telegram channel link thakle dien?
  2. xinli Contributor says:
    They took long time to process the application…………… and most time they decline with the free application………..
  3. MD Shakib Hasan Author says:
    এগুলো Basic জিনিস। সবাই জানে
  4. shahidulit12 Contributor says:
    আপনি কি আমাকে ডাটা এন্ট্রির কাজ দিতে পারবেন?

Leave a Reply