ফ্রিল্যান্সিং আসলে কি?

অনেকেই মনে করেন ফ্রিল্যান্সিং মানে একপ্রকার জব কিন্তু আসলে তা না। ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে মুক্তভাবে জবের একটি মাধ্যম। ইচ্ছা হলে কাজ করবো, ইচ্ছা না হলে করবোনা, বিষয়টা অনেকটাই এরকম। মনে করুন, আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ খুব ভালো করেন। কিন্তু আপনি চাচ্ছেন না কোনো একটি কোম্পানীতে ধরাবাঁধা সময়ের জব করতে। তাহলে আপনি বেছে নিতে পারেন মুক্তভাবে কাজ করার মাধ্যম ফ্রিল্যান্সিং। তেমনি একজন ফটোগ্রাফার অধিকাংশ সময়েই ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করেন। তার যখন ভালো লাগে এবং ভালো সুযোগ পান তখন তিনি কাজ করতে যান। আবার একজন গায়ক চাইলে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করতে পারেন। কারন অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তাদের কোনো ধরাবাঁধা সময় নেই। ভালো লাগলে গান গেতে যান, ভালো না লাগলে যান না। ফ্রিল্যান্সিং এর সবচেয়ে মজার বিষয়ই এটা যে আপনি চাইলে আপনার ইচ্ছা মতো সময়ে কাজ করতে পারেন, কাজের প্রেশার বেশি হলে কাজ না করেও থাকতে

একজন প্রোফেশনাল ফ্রিল্যান্সার হওয়ার জন্য যে সকল বিষয় মাথায় রাখা প্রয়োজন

নির্দিষ্ট সময়সূচি তৈরি করাঃ নিজেকে একজন দক্ষ ফ্রিল্যান্সার হিসেবে গড়ে তোলার জন্য প্রথমেই আপনাকে কাজ শেখা এবং করার জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করতে হবে। সে সময়সূচী এমনভাবে মানতে হবে যেনো অন্য কোনো কিছু আপনাকে বায়াসড করতে না পারে।
কঠোর পরিশ্রম করার মানষিকতাঃ ফ্রিল্যান্সিং জগতে কঠোর পরিশ্রমের বিকল্প নেই। কাজ শেখা থেকে শুরু করা কাজ করা, নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার সব পর্যায়েই আপনাকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। তাই সেভাবেই নিজেকে তৈরি করুন।
শেষ পর্যন্ত লেগে থাকাঃ ফ্রিল্যান্সিং এর ক্ষেত্রে আপনি কখনোই বলতে পারবেন না সাফল্য কখন ধরা দিবে। তাই কাজ পাওয়ার জন্য আপনাকে ধৈর্য নিয়ে অপেক্ষা করা এবং শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করতে হবে।
কম্পিউটার এবং ইংরেজি ভাষায় দক্ষতাঃ অবশ্যই আপনাকে বেসিক কম্পিউটার জানতে হবে এবং বিদেশী ক্লায়েন্টদের সাথে কাজ করার জন্য ইংরেজি ভাষায় যোগাযোগের জন্য সাবলিল হতে হবে।
অর্থ নাকি দক্ষতা উন্নয়নঃ শুরু থেকেই অর্থের পিছনে না ছুটে নিজের দক্ষতা উন্নয়নে মনোনিবেশ করা উচিত। দক্ষতা বৃদ্ধির সাথে সাথে অর্থই আপনার পিছনে ছুটবে। তাই ধৈর্য ধরুন।
প্রোফাইল তৈরি করাঃ একজন ভালো মানের ফ্রিল্যান্সার হওয়ার পূর্ব শর্তই হচ্ছে একটি ভালো প্রোফাইল তৈরি করা। কারন আপনি ক্লায়েন্ট এর কাছে পৌঁছাতে পারবেন না কিন্তু আপনার প্রোফাইলটিই আপনার হয়ে কাজ করবে। তাই প্রোফাইল এর মান বৃদ্ধির প্রতি মনোনিবেশ করুন।
ব্রান্ডিং করুনঃ আমেরিকার একজন ক্লায়েন্ট কিন্তু আপনাকে চিনে না বা জানে না। তাকে চেনানো এবং জানানোর জন্যই আপনার নিজের ব্র্যান্ডিং করতে হবে। বিভিন্ন স্যোশাল সাইটগুলোতে অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করুন, নিজেকে সঠিকভাবে তুলে ধরুন।
প্রোফেশনাল ফ্রিল্যান্সার হওয়ার জন্য যে সকল বিষয় মাথায় রাখা প্রয়োজন

আরো পড়ুনঃ

ফাইভারে একটি ভালো মানের গিগ কিভাবে বানানো যায়? [নতুনদের জন্য]

মোবাইল দিয়ে কি ফ্রিল্যান্সিং করা যায়? Can I do freelancing on mobile?

আপনি যেভাবে শুরু করতে পারেন ফ্রিল্যান্সিং [নতুনদের জন্য]

কোনো প্রশ্ন থাকলে কমেন্টস করতে পারেন।

লেখা এবং রিসার্চঃ MH Mamun

প্রথম প্রকাশিতঃ https://mamunsblog.com/

Leave a Reply