প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি পর্ব ৮ এর পরে এই পর্বটা করতে অনেক দেরি হওয়ায়।
আসলে একটু পার্সোনাল সমস্যার কারনে দেরি হয়ে গেছে। আর গত পর্বে বলেছিলাম এই পর্বে আলোচনা করব পাইথন ইফ-এলস কন্ডিশন নিয়ে কিন্তু সেটা হবে ১০ নং পর্বে।
এই পর্বের আলোচনা বিষয় হচ্ছে অপারেটর, কমেন্ট এবং ইন্ডেন্ট নিয়ে। তাহলে শুরু করা যাকঃ-
অপারেটরঃ-
গনিতে কখনো +, -, *, /, =, ইত্যাদি ইত্যাদি এগুলো দেখে কি মনে হয়েছে এগুলোকে কি বলে??
হ্যাঁ, ঠিক ধরেছেন এগুলো হল গাণিতিক অপারেটর।
তেমনি পাইথনেও কিন্তু এরকম অনেক গুলো অপারেটর আছে। আর ওই অপারেটর এর দুই পাশে যা থাকে সেগুলো হল অপারেন্ড।
অপারেন্ড হতে পারে ভ্যারিয়েবল বা কোন সংখ্যা বা কোন স্ট্রিং বা যেকোন কিছু। চলুন তাহলে পরিচয় হয়ে নেয়া যাক।
অ্যারিথমেটিক অপারেটরঃ-
এখানে সাধারণত সব গাণিতিক অপারেটর গুলো আছে। যেমনঃ-
+ ————> এডিশন বা যোগ। এটা দিয়ে যোগ করা হয়।
– ————> সাবস্ট্রাকশন বা বিয়োগ। এটা দিয়ে যোগ করা হয়।
* ————> মাল্টিপ্লিকেশন বা গুন। এটা দিয়ে গুন করা হয়।
/ ————> ডিভিশন বা ভাগ। এটা দিয়ে ভাগ করা হয়।
% ————> মডুলাস। এটা দিয়ে ভাগশেষ নির্ণয় করা হয়। বাম পাশের অপারেন্ড কে ডান পাশের অপারেন্ড দিয়ে ভাগ করে তার ভাগশেষ নির্ণয় করে।
** ————> এক্সপোনেন্ট। এটা দিয়ে পাওয়ার নির্ণয় করা হয়। বাম পাশের অপারেন্ড বেজ এবং ডান পাশের টা হয় পাওয়ার।
// ————> এটাও ভাগের কাজ করে তবে ভাগ করে শুধু ভাগফল প্রিন্ট করে দশমিক প্রিন্ট করে না।
তুলনামুলক অপারেটরঃ-
== ————> দুই পাশের অপারেন্ড সমান বোঝায়।
!= ————> দুই পাশের অপারেন্ড সমান নয় বোঝায়।
> ————> বাম পাশের অপারেন্ড ডান পাশের থেকে বড় বোঝায়।
বাম পাশের অপারেন্ড ডান পাশের থেকে ছোট বোঝায়।
>= ————> বাম পাশের অপারেন্ড ডান পাশের থেকে বড় বা সমান বোঝায়।
বাম পাশের অপারেন্ড ডান পাশের থেকে ছোট বা সমান বোঝায়।
এগুলো True অথবা False রিটার্ন করে।
অ্যাসাইনমেন্ট অপারেটরঃ-
= ————> ডান পাশের অপারেন্ড বাম পাশের অপারেন্ডে রিপ্লেস করে।
+= ————> বাম পাশের অপারেন্ড ডান পাশের অপারেন্ডে যোগ করে বাম পাশের অপারেন্ডে রিপ্লেস করে।
-= ————> বাম পাশের অপারেন্ড ডান পাশের অপারেন্ডে বিয়োগ করে বাম পাশের অপারেন্ডে রিপ্লেস করে।
*= ————> বাম পাশের অপারেন্ড ডান পাশের অপারেন্ড দ্বারা গুন করে বাম পাশের অপারেন্ডে রিপ্লেস করে।
/= ————> বাম পাশের অপারেন্ড ডান পাশের অপারেন্ড দ্বারা ভাগ করে বাম পাশের অপারেন্ডে রিপ্লেস করে।
লজিক্যাল অপারেটরঃ-
পাইথনে লজিক বোঝাতে লজিক্যাল অপারেটর ব্যবহৃত হয়।
মোট ৩ টি অপারেটর আছে পাইথনে।
and ————> যদি বাম পাশের একটা শর্ত এবং ডান পাশের একটা শর্ত থাকে তাহলে দুইটাই যদি সত্যি হয় তাহলে True রিটার্ন করে নাহলে False.
or ————>
যদি বাম পাশের একটা শর্ত এবং ডান পাশের একটা শর্ত থাকে তাহলে যেকোন একটা যদি সত্যি হয় তাহলে True রিটার্ন করে নাহলে False.
not ————-> কোন সত্য শর্ত এর আগে not দিলে সেটা মিথ্যা হয়ে False রিটার্ন হয় আর মিথ্যা শর্তের আগে দিলে সত্য হয়ে True রিটার্ন হয়।
মেম্বারশিপ অপারেটরঃ-
in —————> বাম পাশের অপারেন্ড যদি ডান পাশের অপারেন্ড এর মধ্যে থাকে তাহলে True না থাকলে False রিটার্ন দেয়।
not in —————> বাম পাশের অপারেন্ড যদি ডান পাশের অপারেন্ড এর মধ্যে না থাকে তাহলে True থাকলে False রিটার্ন দেয়।
আইডেন্টি অপারেটরঃ-
is —————> বাম পাশের অপারেন্ড এবং ডান পাশের অপারেন্ড যদি একই হয় তাহলে True না হলে False রিটার্ন দেয়।
is not ————-> বাম পাশের অপারেন্ড এবং ডান পাশের অপারেন্ড যদি একই না হয় তাহলে True হলে False রিটার্ন দেয়।
এবার প্রত্যেকটার ব্যবহার দেখে নেয়া যাক।
অ্যারিথমেটিক অপারেটরঃ-
>>> 7 + 9 ---------> যোগ করা হচ্ছে 16 >>> 32 - 6 ---------> বিয়োগ করা হচ্ছে 26 >>> 12 * 21 ---------> গুন করা হচ্ছে 252 >>> 56 / 6 ---------> ভাগ করা হচ্ছে 9.333333333333334 >>> 56 % 6 ---------> মডুলাস দিয়ে শুধু ভাগশেষ বের করা হচ্ছে 2 >>> 3 ** 2 ---------> ৩ এর উপর ২ পাওয়ার। 9 >>> 56 // 6 ---------> শুধু ভাগফল রিটার্ন করছে দশমিক সংখ্যা বাদ দিয়ে। 9
তুলনামুলক অপারেটরঃ-
>>> 5 == 5 ---------> যেহেতু ৫ এবং ৫ সমান তাই True রিটার্ন করেছে True >>> 6 != 7 ---------> যেহেতু ৬ এবং ৭ সমান না তাই False রিটার্ন করেছে True >>> 4 > 3 ---------> যেহেতু ৪ বড় ৩ থেকে তাই True রিটার্ন করেছে True >>> 4 যেহেতু ৪ ছোট না ৩ থেকে তাই False রিটার্ন করেছে False >>> 65 >= 43 ---------> যেহেতু ৬৫, ৪৩ থেকে বড় অথবা সমান এই দুটি শর্তের মধ্যে থেকে একটা শর্ত সত্য হয়েছে তাই True True রিটার্ন করেছে। >>> 67 যেহেতু ৬৭, ৬৭ থেকে ছোট অথবা সমান এই দুটি শর্তের মধ্যে থেকে একটা শর্ত সত্য হয়েছে তাই True True রিটার্ন করেছে।
লজিক্যাল অপারেটরঃ-
>>> 5==5 and 4!=4 ---------> যেহেতু ৫==৫ এটা সত্য কিন্তু ৪!=৪ এটা সত্য না তাই False রিটার্ন করেছে। দুটো শর্তই সত্য হতে হবে। False >>> 5==5 or 4!=4 -----------> যেহেতু ৫==৫ এটা সত্য কিন্তু ৪!=৪ এটা সত্য না তবুও True রিটার্ন করেছে। একটা শর্ত সত্য হলেই হবে। True >>> not 43 == 54 ------------> এখানে ৪৩==৫৪ এটা মিথ্যা কিন্তু তার আগে not দেয়া আছে অর্থাৎ মিথ্যা না তার মানেই সত্য True
মেম্বারশিপ অপারেটরঃ-
>>> 'y' in 'Python' ------------> 'y' লেটার টা 'Python' স্ট্রিং এর ভেতর আছে তাই True রিটার্ন করেছে। True >>> 'y' not in 'Python' ----------->'y' লেটার টা 'Python' স্ট্রিং এর ভেতর আছে তাই সত্য কিন্তু তার আগে not দেয়া বলে False রিটার্ন করেছে। False
আইডেন্টি অপারেটরঃ-
>>> 'Python' is 'python' --------> পাইথনে বড় হাতের এবং ছোট হাতের আলাদা তাই is থাকলেও False হয়েছে। False >>> 'python' is not 'python' ----------> এখানে True রিটার্ন দেয়ার কথা তবে not দিয়েছি বলে False রিটার্ন হয়েছে। False
কমেন্ট
পাইথনে কমেন্ট অর্থ কোড এর ভেতর এমন কিছু লেখা যেগুলো রান হবে না।
মানে, ধরুন আপনি একটা অনেক বড় ওয়েব সাইট বানালেন তারপর ২/৩ বছর পরে ভাবলেন সেখানে কিছু আরো ফিচার যোগ করা দরকার।
কিন্তু, কোড দেখে মাথা ঘুরে যাচ্ছে।
কোন অংশ টুকু কোন কাজের আপনিই ভুলে গেছেন। তাই, উদ্ভব হয়েছে কমেন্ট যা আপনাকে এরকম ঝামেলা থেকে বাঁচাবে।
কমেন্ট লাইন কখনো পাইথনে রান হয় না অর্থাৎ চালানো হয় না।
কমেন্ট লিখতে গেলে সেই লাইনের আগে # চিহ্ন দিতে হয়। এটাকে বলে ইন-লাইন কমেন্ট সিস্টেম। যেমনঃ-
>>> a = 43 >>> b = 32 >>> c = a+b # যোগ করা হচ্ছে এখানে। >>> c 75
এখানে এই যে # ট্যাগ দিয়ে তারপর আমি লাইনটা লিখেছি তাই কোড এর উপর কোন প্রভাব পড়ে নি।
কিন্তু, ওই # ট্যাগ না দিলেই ইরোর হতো। এখন নিজে নিজে ট্রাই মারুন।
ডক্সট্রিং মেথডঃ-
কখনো যদি একের বেশি লাইন কমেন্ট করার দরকার হয় তাহলে প্রথমে “”” (তিনটি ডাবল কোটেশন) দিয়ে কিছু লিখে শেষে আবার “””(তিনটি ডাবল কোটেশন) দিতে হয়।
উদাহরণ দিতে আলসেমি লাগছে নিজে নিজেই করে নিন প্লিজ।
আগামী পর্বে আসছে “পাইথন ইফ-এলস কন্ডিশন” সাথেই থাকুন!! আমি শাহরিয়ার আহমেদ শোভন। ফেসবুকে পাবেন https://facebook.com/shovon.0.ahmed
https://ghaner-alo.blogspot.com/2019/02/-iphone-vs-android-which-is-better.html?m=1