আসসালামু আলাইকুম
Trickbd তে আপনাকে স্বাগতম। গত পোস্টে অন পেজ এসইও সম্পর্কে বিস্তারিত দেখিয়েছি। যে রুল গুলো মেনে আপনি আর্টিকেল লিখলে এবং পাবলিস্ট করলে তা গুগলের সহজেই র্যাংক হবে। এই পোস্টে দেখাবো অফ পেজ এসইও।
অফ পেজ এসইও কি?
ওয়েবসাইট রাঙ্ক করানোর জন্য ওয়েবসাইটের বাইরে যে সকল কার্যক্রম গুলো করা হয় তাই অফ পেজ এসইও। অর্থাৎ এটা ওয়েবসাইটের ভালোর জন্য করা হলেও কাজটা করা হয় ওয়েবসাইটের বাইরে। এবং এই কাজগুলো ওয়েবসাইট র্যাংক এর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে যখন আপনার ওয়েবসাইট টি নতুন তৈরি হয়। কারণ তখন ওয়েবসাইট গুগল ও সকলের কাছে পরিচিত করার প্রয়োজন হয়। আর এই পরিচিত করার অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে অফ পেজ এসইও।
অফ পেজ এসইও কিভাবে করে
অফ পেজ এসইও মূলত নতুন ওয়েবসাইটে করা হয়। কারণ তখন ওয়েবসাইট google এর কাছে পরিচিত হতে হয়। আর এর মাধ্যম হচ্ছে ডোমেইন অথোরিটি বৃদ্ধি। ডোমেইন অথরিটি করতে হবে ব্যাক লিঙ্ক করার মাধ্যমে। অফ পেজ এসইও করার অধিকাংশ কাজই হচ্ছে ব্যাকলিংক তৈরির। কিভাবে একটি ওয়েবসাইটের জন্য ব্যাকলিংক তৈরি করবেন তা পরবর্তীতে দেখাবো। তার আগে দেখি অফ পেজ এসইও এর প্রধান কাজ গুলো কি কি।
ব্যাকলিঙ্ক তৈরি করা
আপনার ওয়েবসাইটটি যদি নতুন হয়ে থাকে তাহলে ভিজিটর কম আসবে এবং গুগল এর রোবট ও কম আসবে। কারণ এখনো তো র্যাঙ্ক হয়নি। আপনি শুধু রেংক করার চেষ্টা করতেছেন। তাই এর জন্য গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ব্যাকলিঙ্ক তৈরি করা। এটা কোন কঠিন কাজ নয়। আপনি জাস্ট একটি ওয়েবসাইটে আপনার ওয়েবসাইটের লিংক রেখে আসলেন। তখন আপনি যেই পেজে লিংকটা রেখে আসলেন তার উপরে ক্লিক করে ভিজিটর আসবে। এবং সাথে সাথে google-এর রোবট ও আসবে। এতে করে সহজেই পোস্ট ইনডেক্স হবে। আর অথরিটি তো বৃদ্ধি পাবেই। ব্যাকলিংক কিভাবে করে তা পরবর্তীতে দেখাবো।
ওয়েব মাস্টার টুল ব্যবহার এবং API এর ব্যবহার
ওয়েব মাস্টারদের জন্য টুলগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এবং তারা কিছু কিছু টুল ব্যবহার করেও থাকেন।
যেমন: গুগল সার্চ কনসল।
এই টুলটা ব্লগ পোস্ট ইনডেক্স করতে সাহায্য করে। সাথে সাথে ওয়েবসাইটের কিছু তথ্যও সংগ্রহ করে থাকে। প্রত্যেকটা সার্চ ইঞ্জিনেরই আলাদা ওয়েবমাস্টার টুল রয়েছে। যেগুলো ওয়েবসাইটের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে নতুন ওয়েবসাইটের জন্য। সার্চ কনসলে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ করা দরকার।
যেমন: সঠিক নিয়মে sitemap সাবমিট, সঠিক নিয়মে robots.txt সাবমিট ইত্যাদি।
তাছাড়াও নতুন ওয়েবসাইটের কনটেন্ট ইনডেক্স করতে আরো অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ API । এর মাধ্যমে আপনি আপনার ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট দ্রুত index করতে পারবেন।
সাইট স্পিড চেক করা
একটি ওয়েবসাইট রেঙ্ক করার ক্ষেত্রে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই সবসময় ওয়েবসাইটের স্পিডের দিকে নজর রাখবেন। ওয়েবসাইটের লোড স্পিড যেন তিন সেকেন্ডের কম হয়। নতুন ওয়েবসাইটের জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর।
এ সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে এই পোস্টটি পরতে পারেন।
যে বিষয়গুলোতে আপনি ভালো রেজাল্ট করলে ওয়েবসাইট গুগলের Rank হবেই।
সাইট অডিট করা
একটি ওয়েবসাইটের এ টু জেড সকল পেজে scroll হচ্ছে সাইট অডিট। আপনার ওয়েবসাইটে একটি রোবট যাবে এবং সাইটের সকল তথ্য সংগ্রহ করবে। যেই কাজটা আপনি করতে অনেক সময় নিতো। সে পাঁচ মিনিটেই কাজটি করে থাকে। এখান থেকে সে ওয়েবসাইটের সকল ত্রুটি গুলো খুঁজে বের করে। ভালো টুল হলে সাথে সাথে আপনাকে সমস্যার সমাধানে সাহায্যও করবে। সবশেষে একটি রিপোর্ট এনে দেবে । যেখানে, কোন ব্রোকিং লিংক, ইমেজ alt, 404 error সহ অন্যান্য সকল সমস্যাগুলো এবং লিঙ্ক দেওয়া থাকবে। সাইট অডিট করার জন্য নিচের পোস্টটি দেখতে পারেন।
ওয়েবসাইট google rank করানোর জন্য ছোট্ট একটি টিপস।
সবশেষে ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
যারা নতুন ব্লগিং শিখতে চান অথবা ব্লগার দিয়ে ইনকাম করতে চান তাদের জন্য নতুন ভাবে টিউটোরিয়াল শুরু করেছেন।
আপনি চাইলে জয়েন হতে পারেন। টিউটোরিয়াল গুলো পেতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন।
ভিজিট করুন – Trickmi.com
আল্লাহ হাফেজ