গত পর্বে আলোচনা করেছিলাম ওয়াই-ফাই এর নামকরণ ও গিগাহার্টজ সম্পর্কে। আজ জানবো ওয়াই-ফাই এর ক্ষেত্রে কোন ফ্রিকোয়েন্সি কী কাজে লাগে। তো চলুন শুরু করা যাক।
৫ গিগাহার্টজ রাউটার দ্রুততম গতিতে ডেটা আদান-প্রদান করতে পারে। তবে তা খুবই কম দূরত্বে। অন্যদিকে ২.৪ গিগাহার্টজ রাউটার তুলনামূলকভাবে কম গতিতে ডেটা আদান-প্রদান করলেও তা বেশি দূরত্বেও কাজ করতে পারে। মোবাইল ফোন বা কম্পিউটার ছাড়াও আমাদের অন্যন্য ডিভাইস যেমন, বেবি মনিটর, গ্যারেজ ডোর, মাইক্রোওয়েভ, কর্ডল্যাস ফোন, ওয়্যারলেস ক্যামেরা ইত্যাদি ২.৪ গিগাহার্টজের ফ্রিকুয়েন্সি ব্যবহার করে, এতে করে গতি আরো কমে যায়। যাই হোক, ৫ গিগাহার্টজ ওয়্যারলেস ফ্রিকুয়েন্সির ২৩ টি চ্যানেল রয়েছে, যা আপনার ডেটা সঠিকভাবে আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে সাহায্য করে। একই সাথে এটি অন্যন্য ডিভাইসের সাথে কানেক্ট থাকলেও কোনো রকম সমস্যার সম্মুখীন হয় না।
এখন জানা যাক কিভাবে রাউটারও ডিভাইসের মধ্যে ডেটা আদান-প্রদান হয়। আপনি যখন আপনার ফোন বা কম্পিউটারের ইন্টারনেট চালু করেন, তখন আপনার কাছে পাঠানো ডেটাগুলো বাইনারি কোডে রূপান্তরিত হয়। হয়তো আপনি বাইনারি সম্পর্কে জেনে থাকবেন, যা ০ ও ১ এর মাধ্যমে তৈরি। আপনি যখন ওয়াই-ফাই এর মাধ্যমে ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত হবেন, তখন আপনার রাইটার সেই বাইনারি কোডকে রেডিও সিগন্যালে রূপান্তরিত করে আপনার ডিভাইসে পৌঁছে দেবে। আপনি যদি ব্যাপারটি কল্পনা করতে চান, তবে ঠিক এইভাবে ভাবুন–
মনে করুন আপনি আপনার জন্মদিনের একটা ছবি আপনার বন্ধুকে দিতে চাচ্ছেন। যখনই আপনি ছবিটি সিলেক্ট করে সেন্ড বাটনে প্রেস করবেন, তখনই ছবিটি ছোট ছোট পিক্সেল বা প্যাকেটে পরিণত হবে এবং এটি বিভিন্ন রাউটারের মধ্যে দিয়ে যেতে থাকবে যতক্ষননা তা আপনার বন্ধুর ডিভাইসে পৌঁছায়। তারপর এই প্যাকেটগুলো আবার এক হয়, আর এভাবেই আপনার বন্ধু ছবিটি দেখতে পায়। আর প্রায় একই ধরণের প্রোসেসেই ফাইল, ভিডিও কিংবা অডিও ও পাঠানো হয়।
আজকের মতো এ পর্যন্তই। শেষ পর্বে কথা বলবো ওয়াই-ফাইয়ের সুবিধা অসুবিধা ও ড্রপিং নিয়ে। সেই পর্যন্ত ভালো থাইবেন, পোস্ট ভালো লাগবে লাইক দিবেন। ধন্যবাদ।