আমরা ইতোমধ্যেই গত পর্বে ৫ ও ২.৪ গিগাহার্টজের ফ্রিকুয়েন্সি সম্পর্কে জেনেছি। শেষ পর্বে আমরা আলোচনা করবো ওয়াই-ফাই কী সত্যিই বিপদজনক নাকি এবং ড্রপিং  বিষয়ে। তো চলুন শুরু করা যাক।

আমরা ইতোমধ্যেই জেনেছি যে রাউটার ও ডিভাইসের মধ্যে বিভিন্ন প্যাকেটের আদান-প্রদানের মাধ্যমে ডেটা ট্রান্সফার হয়। কেমন হয় যদি আপনি এই প্যাকেটগুলো চলাচল খালি চোখেই দেখতে পারেন? কল্পনা করুন আপনি সোফায় বসে আরামে ফেসবুকে গার্লফ্রেন্ডের সাথে চ্যাট করছেন আর হঠাৎ করেই এই সব ওয়েভ ফ্রিকুয়েন্সি আপনার চোখে দৃশ্যমান হয়ে গেলো। আপনি সবকিছুই দেখতে পারলেন, আপনি দেখলেন ছোট ছোট প্যাকেট আপনার ফোনে ঢুকছে আবার ফোন থেকে বের হয়ে রাউটারে গিয়ে ঢুকছে। বিভিন্ন ছবির রং-বেরঙের ছোট ছোট পিক্সেল বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে।

এখন আপনি হয়তো ভাবছেন এই রেডিও ওয়েভগুলো যদি আমাদের চারপাশে সবসময় ভেসে বেড়ায়, তবে কী তারা আমাদের কোনো ক্ষতি করছে না? ওয়াই-ফাই কী সত্যিই আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য বিপদজনক? না। এক কথায় বললে ওয়াই-ফাই আমাদের জন্য বিপদজনক নয়। ওয়াই-ফাই একদমই লো ভোল্টেজে কাজ করে। আবার কম দূরত্বে ওয়াই-ফাই অনেকটা বাড়ি ধোঁয়ার মতো যা আপনার টিভি কিংবা রেডিও সিগন্যাল থেকেও নির্গত হয়। ওয়াই-ফাই রেডিয়েশনের নন-আয়োডাইজিং ওয়েভল্যাংথ ব্যবহার করে যা মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর নয়। অন্যদিকে সূর্য আয়োডাইজিং ওয়েভল্যাংথ বা আল্ট্রাভায়োলেট রশ্নি নির্গত করে যা মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর। সুতরাং আপনি ঘরের বাইরে গেলে যতটা ক্ষতির সম্মুখিন হবেন, রাউটারের পাশে বসে থাকলে তার চেয়ে কম ক্ষতির সম্মুখিন হবেন। এটা মাথায় রাখুন যে ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন এখনও এমন কোনো বৈজ্ঞানিক তথ্য-প্রমান পায়নি যা দ্বারা এটা প্রমানিত হয় যে ওয়াই-ফাই স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।

যাই হোক, এখন আমরা শান্তির নিশ্বাস ফেলে ওয়াই-ফাই ব্যবহার করতে পারবো। এখন জেনে নেই যে ঠিক কি কারণে আমাদের বাসার বিভিন্ন যায়গায় ওয়াই-ফাই সিগন্যাল ড্রপ করে।
ওয়াই-ফাই অনেকটা আলো ও শব্দের মতো কাজ করে। আপনি রাউটার থেকে যত দূরে যাবেন, তত কম শক্তি পাবেন। একটি সাধারণ রাউটার সবদিকে ১০০ ফুট পর্যন্ত কাজ করতে সক্ষম। ওয়েভের এই চলাচল ব্যাহত করতে পারে সুপরিবাহী প্রায় সব ধরনের বস্তুই। যেমনঃ ধাতু, পানি, আয়না এমনকি আমাদের শরীর, যেহেতু তা পানি দ্বারাই অনেকটা পূর্ন। উদাহরণসরূপ আপনি যদি আপনার রাঊটার ও ডিভাইসের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকেন, হয়তো আপনি দেখবেন সিগন্যাল ড্রপ করেছে। অনেক সময় পুরু দেওয়ালও সিগন্যাল ড্রপের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

এখন আপনি ওয়াই-ফাই সম্পর্কের কিছুটা জানেন, যাতে আপনি পার করেন ঘন্টার পর ঘন্টা। এখন আপনিও কি আমার মতো ওয়াই-ফাই এ আসক্ত? যদি হয়ে থাকেন কমেন্ট করে জানান। আপনি যদি সব পর্ব পড়ে চান তবে নিচের দেয়া লিংক থেকে পড়তে পারেন। পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

★প্রথম পর্ব★

★দ্বিতীয় পর্ব ★

★তৃতীয় পর্ব★

One thought on "ওয়াই-ফাই এর সূচনা ও কার্যপদ্ধতি (পর্ব-৪)"

Leave a Reply