ইন্টারনেটের একটি বড় গূন হলো, স্মল বিজনেস মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে ছোট কোম্পানী ও তার প্রতিদ্বন্দী বড় কোম্পানী উভয়কেই সমান সুযোগ দিয়ে থাকে। তবে সতর্কতা হচ্ছে একটু অমনোযোগী হলে মার্কেটিং এর জন্য পুড়ো বজেটটাই নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তবে খুশীর কথা হলো যে, সস্তা ও বিনামূল্যের ছোট ব্যবসার বিপনণের জন্য কিছু পদ্ধতি আছে যা আপনাকে আপনার লক্ষ্য অর্জনে সাহায্য করবে। তেমনী ১০টি কার্যপদ্ধতি নিচে বর্ণনা করা হলো।
ছোট ব্যাবসার মার্কেটিং টিপস্ :
১। পোস্ট ভিডিও অনলাইন:
Alfred Poorএর মতে অনলাইন ভিডিও ছোট ব্যবসার বিপনণের অনেক সমস্যার সমাধান করে দিয়েছে। বিদ্যমান সাইটের প্রথম পেজ এ একটি ভিডিও থাকলে গুগল সার্চ ইঞ্চিন সেটিকে ৩০ মিনিটের মধ্যে হিসাবে নিয়ে আসে এবং ১দিনের মধ্যে সার্চের প্রথম পাতার উপরের দিকে স্থান করে দেয়। ভিডিওটি আপনি নিজেও বানাতে পারেন অথবা প্রফেশনাল কারো দ্বারা বানিয়ে নিতে পারেন।
২। আপনার ওয়েব সাইটের পোস্ট গুলোর কেস স্ট্যাডি করুন:
ড্যাভিড রেন্ডার AccountMate Software কোম্পানীর চীফ অপারেটিং অফিসার তিনি বলেছেন যে, আমারা ফোনের মাধ্যমে গ্রাহকদের রিভিউ নিতে পারি এবং সেটা টেমপ্লেট আকারে আমাদের সাইটে আপলোড করতে পারি। তিনি আরো বলেছেন এটা ব্যপক আকারে হওয়ার প্রয়োজন নেই। Contain useful ছিল কিনা, নির্দিষ্ট করে গ্রাহকের কাছে জানতে চাওয়া যে আমাদের পন্য বা সেবা তার সমস্যার সমাধাণ করতে পেরেছে কিনা এবং সে আমাদের সেবা নিয়ে সন্তুষ্ট কিনা?
৩। আপনার ওয়েবসাইটকে সমৃদ্ধ করুন ভবিষ্যতের গ্রাহকদের জন্য:
আপনার কোন ব্লগ নেই? তাহলে এখনই একটা ব্লগ শুরু করার কথা চিন্তা করুন। ওয়ার্ডপ্রেস আপনাকে আপনার ব্যবসার জন্য ফ্রি ব্লগ খোলার সুযোগ করে দিবে। ডিজিটাল মার্কেটিং এ নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য ব্লগ একটি চমৎকার টুলস্। কোয়ালিটি কন্টেন্ট ও সোশাল মিডিয়ায় শক্তিশালী অবস্থান আপনার নেতৃত্বকে আরো সুদৃঢ় করবে।
৪। গুগল ম্যাপের লোকাল লিস্টে কোম্পানীর নাম ওঠানো:
যখন আপনি স্মল বিজনেস মার্কেটিং-এ আসবেন তখন গুগল ম্যাপের লোকাল লিস্টে আপনার কোম্পানীর নাম ওঠানোর অনেক গুলো কারণ আছে। গ্রাহক আপনার কোম্পানীর স্থাপিত হওয়াটা দেখতে পাবে এবং এটি গুগল র্যাঙ্কিং এও ভাল অবস্থানে আসতেও সাহায্য করবে। চূড়ান্তভাবে গ্রাহক কোম্পানীর রিভিউ দেখতে পাবে এবং সে তার মতামত প্রকাশ করতে পারবে আর এটি আপনাকে আপনার গ্রাহককে বুঝতে সাহায্য করবে।
৫। গ্রাহকদের জন্য বিভিন্ন ফোরাম খোঁজা:
বিভিন্ন ফোরামে নিজের পন্য বা সেবা সম্পর্কে লিখতে হবে। যাতে কেউ খুঁজলে আপনার পন্য বা সেবার সন্ধান পায়।
৬। সম্পূর্ণ ওয়েবে তথ্য শেয়ার করা:
আপনি আপনার প্রজেক্টের কাজ শেষ করুন। সুন্দর একটি ছবি তুলুন। ছবিসহ ব্লগে পোস্ট করুন, টুইটারে টুইট করুন এবং ফেসবুক সহ সকল স্যোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন।
৭। আপনার তথ্যের সময়কাল ব্যবহার করুন:
প্রতিটি মানুষ তথ্য অনুসন্ধান করে। হাজার হাজার মানুষ ওয়েবসাইট ভিজিট করে তথ্যের জন্য। তথ্যের সময়কালটা অতিপ্রয়োজনী একটি বিষয়।
৮। অনলাইন সেবা চালু করুন, লোকসানকৃত পণ্যের তালিকা করুন এবং পূণরায় বিক্রয় টার্গেট নির্ধারণ করুন:
ধরুন Lexity.com থেকে আপনার নির্ধারিত পন্যের প্রয়োজন অনুসারে একটি এ্যাপস্ ক্রয় করলেন। এ্যাপস্টি অনলাইন সপিংকার্ট ম্যানেজ করবে, গুগলে আপনার পণ্যের তালিকা তৈরি করবে। গ্রাহককে আপনার পন্য খুজে পেতে সাহায্য করবে এবং ফেসবুক লাইক, ফলো ও গুগল + পেতে সাহায্য করবে। যা আপনার পণ্যের র্যাঙ্কিংএর ক্ষেত্রে অনেক বড় ভুমিকা রাখবে।
৯। ফেসবুক স্পন্সর গল্প ব্যবহার করুন:
ফেসবুক পেজ র্যাঙ্ক পরিবর্তন না হওয়া পর্যন্ত ১০ভাগ ফলোয়ার আপনার পোস্ট দেখতে পাবে, স্পন্সর গল্প খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
বৃহৎ পাঠকবৃন্দ স্পন্সর স্টোরি দেখতে পাবে এবং আপনি যখন রেগুলার পোস্ট করবেন তখন পাঠকদের সম্পৃক্ততা আরো বাড়তে থাকবে।
১০। মিডিয়ার মনোযোগ আকর্ষণের জন্য অনলাইন সেবা থাকা উচিৎ:
HelpaReporterOut.com আপনি এখানে ফ্রি সাইনআপ করতে পারেন। এরা আপনাকের প্রতিটি নতুন স্টোরি ফ্রি প্রচারের সুযোগ করে দেবে।