যুক্তরাষ্ট্রের এক পুরুষ জন্ম পরিচয়ে
সন্তুষ্ট থাকতে না পেরে অস্ত্রোপচার
করে নিজের লিঙ্গ পাল্টে
ফেলেছিলেন।তিনি হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের
হাওয়াইয়ের ট্রেসি লিউয়ানানি লা
গোনডিনো। ২০০২ সালে লিঙ্গ
পরিবর্তনের মাধ্যমে নারী থেকে পুরুষ
হয়ে যাওয়া ট্রেসি নিজের নাম পাল্টে
রাখলেন নতুন নাম থমাস ট্রেস বেটি।
এরপর সিক্স প্যাক শরীর, শ্মশ্রুমণ্ডিত
মুখমণ্ডল– অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সবই
সম্ভব করেছিলেন থমাস।
দি ইনডিপেনডেন্ট পত্রিকা জানিয়েছে,
জননাঙ্গেও পরিবর্তন আনতে প্রস্তুত
ছিলেন চিকিৎসকরা। কিন্তু মা হওয়ার

সাধ ছিল তাঁর। তাই নিজের ‘পুরোনো’
শরীরের নারী জননাঙ্গ রেখে
দিয়েছিলেন তিনি।
আর পরে শরীরের সেই ‘পুরোনো’ অঙ্গের
মাধ্যমে ‘পুরুষ মা’ হিসেবে আলোচিত
হয়ে ওঠেন থমাস।
নারী থেকে পুরুষে রূপান্তরিত থমাস
বিয়ে করেন ন্যান্সিকে। এই ন্যান্সিও
আবার একসময় ছিলেন পুরুষ। কিন্তু পুরুষ
জননাঙ্গ কিংবা গর্ভাশয় ছিল না তাঁর।
ফলে থমাসকে মা হওয়ার জন্য শরণাপন্ন
হতে হলো শুক্রাণুদাতার। এরপর তিন
সন্তানের জন্ম দিয়েছেন স্বাভাবিক
প্রসবের মাধ্যমে। এই তিন সন্তানকে
আবার স্তন্যপান করিয়েছেন ন্যান্সি।
থমাসের প্রথম সন্তান সুসানের বয়স এখন
সাত। মেজো অস্টিনের বয়স চার আর ছোট
মেয়ে জেনসেনের বয়স এক বছর। সাধারণ
দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা অদ্ভুত এ
পরিবারটি বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের
অ্যারিজোনায় বাস করছেন।
ইনডিপেনডেন্টের খবর অনুযায়ী, তিন
সন্তান এবং স্ত্রী ন্যান্সিকে নিয়ে
‘অদ্ভুত’ সংসারে দিব্যি আছেন ‘পুরুষ-মা’
থমাস বেটি।

Tune4bd.Comসাইটে একবার ঘুরে আসবেন

Leave a Reply