আসসালামু আলাইকুম,কেমন আছেন সবাই আশা করি ভালো আছেন। আমি ও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি।

যাক আর সময় নষ্ট করে লাভ নেই। কাজের কথায় আসি। কোরবানি সম্পর্কে নবীজির ১০টি গুরুত্বপূর্ণ হাদীস!!!=>
১।নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, (একটি) গরু সাত জনের পক্ষ হতে এবং (একটি) উট সাত জনের পক্ষ হতে (কোরবানি করা যায়)

২।আনাস ইবনে মালিক [রা.] বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দু’টি সাদা-কালো বর্ণের (বড় শিং বিশিষ্ট) নর দুম্বা কোরবানি করেছেন। আমি দেখেছি, তিনি দুম্বা দু’টির গর্দানে পা রেখে বিসমিল্লাহি ওয়াল্লাহু আকবার বললেন। অতঃপর নিজ হাতে জবেহ করলেন।

৩।আবদুল্লাহ ইবনে আমর [রা.] থেকে বর্ণিত এক হাদিসে আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘আমাকে কোরবানির দিবসে ঈদ (উদযাপনের) আদেশ করা হয়েছে। আল্লাহ তা এ উম্মতের জন্য নির্ধারণ করেছেন।’ এক ব্যক্তি আরজ করলেন, ‘ইয়া রাসূলাল্লাহ! যদি আমার কাছে শুধু একটি ‘মানীহা’ থাকে (অর্থাৎ যা আমাকে শুধু দুধ পানের জন্য দেওয়া হয়েছে) আমি কি তা কোরবানি করতে পারি? নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘না। তবে তুমি চুল, নখ ও মোঁচ কাটবে এবং নাভীর নিচের পশম পরিষ্কার করবে। এটাই আল্লাহর দরবারে তোমার পূর্ণ কোরবানি বলে গণ্য হবে।

৪।নোট: ‘মানীহা’ হচ্ছে, যে পশু কাউকে দুধ পান করার জন্য বা অন্য কোনো কাজে ব্যবহারের জন্য দেওয়া হয়।

৫।হযরত জাবির [রা.] থেকে বর্ণিত একটি দীর্ঘ হাদীসে আছে, ‘অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোরবানির স্থানে এলেন এবং নিজ হাতে তেষট্টিটি উট নাহর করলেন।

৬।গরু ও উটে সাত শরীক হতে পারে জাবির [রা.] বলেন, আমরা হজের ইহরাম বেঁধে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে বের হলাম। তিনি আমাদেরকে আদেশ করলেন যেন আমরা প্রতিটি উট ও গরুতে সাতজন করে শরীক হয়ে কোরবানি করি।

৭।জাবির [রা.] থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তোমরা (কোরবানিতে) ‘মুছিন্না’ ছাড়া জবেহ করবে না। তবে সংকটের অবস্থায় ছ’মাস বয়সী ভেড়া-দুম্বা জবেহ করতে পারবে।’

৮।কোরবানির উট অন্তত পাঁচ বছর বয়সী হতে হবে। গরু, মহিষ দুই বছর এবং ছাগল, ভেড়া ও দুম্বা এক বছর হতে হবে। ভেড়া ও দুম্বার ক্ষেত্রে উপরোক্ত হাদিস থেকে জানা গেল যে, তা ছয় মাসের হলেও চলবে। যে ধরনের পশু দ্বারা কোরবানি হয় না হযরত বারা ইবনে আযিব [রা.] কোরবানির পশু সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাত দিয়ে ইশারা করেছেন-আমার হাত তো তাঁর হাত থেকে ছোট-এবং বলেছেন, ‘চার ধরনের পশু দ্বারা কোরবানি করা যায় না: যে পশুর এক চোখের দৃষ্টিহীনতা স্পষ্ট, যে পশু অতি রুগ্ন, যে পশু সম্পূর্ণ খোড়া এবং যে পশু এত শীর্ণ যে, তার হাড়ে মগজ নেই।’ লোকেরা বলল, আমরা তো দাঁত, কান ও লেজে ত্রুটিযুক্ত প্রাণী (দ্বারা কোরবানি করা) ও অপছন্দ করি? তিনি বললেন, যা ইচ্ছা অপছন্দ করতে পার। তবে তা অন্যের জন্য হারাম করো না।’

৯।আলী ইবনে আবী তালিব [রা.] বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের শিং-ভাঙ্গা বা কান-কাটা পশু দ্বারা কোরবানি করতে নিষেধ করেছেন।

১০।বারা ইবনে আযীব [রা.] বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের উদ্দেশে খুতবা দিলেন। তাতে বললেন, আমাদের এই দিবসে প্রথম কাজ নামায আদায় করা, এরপর কোরবানি করা। সুতরাং যে এভাবে করবে তার কাজ আমাদের তরীকা মতো হবে। আর যে আগেই জবেহ করেছে (তার কাজ তরীকা মতো হয়নি) অতএব তা পরিবারের জন্য প্রস্তুতকৃত গোশত, (আল্লাহর জন্য উৎসর্গিত) কোরবানি নয়।
মো ইয়াছিন হোসাই(মনোহর গন্জ)
সকল প্রয়োজনে ফেসবুকে আমি

11 thoughts on "কোরবানি সম্পর্কে নবীজির ১০টি গুরুত্বপূর্ণ হাদীস!!!দয়া করে একবার দেখেনিন,জীবনে উন্নতি হবে।"

    1. Md Yasin Contributor Post Creator says:
      thanks
  1. Reja BD Author says:
    সুন্দর পোষ্ট
    1. Reja Vai Aar Post Koi Ek Part E Je Dilen Taratari Den
    2. Reja BD Author says:
      আমার পোষ্টটে যান সবাই যদি চায় তাহলে দিব।
    3. Ke Jodio Na Chay Ami Chai
    4. Reja BD Author says:
      ইনশাআল্লাহ দিব ভাই
    5. Md Yasin Contributor Post Creator says:
      Reja ভাই আপনাকে ধন্যবাদ#

Leave a Reply