জমিদার বাড়ি রহস্য
পর্ব ৩
Rn Efty
যখন গেটের বাড়ির সামনে
পোছালাম তখন ঠিক তিনটা বেজে গেছে।
খুবি অবাক এই বাড়ির বর্নণা মহিলা যা দিয়েছিল তার থেকেও অনেক বেশি সুন্দর।
ছবির মত সুন্দর কথাটা এই বাড়ি এবং চারপাশ দেখে বলা যায়।
গেটের সামনে যখন গাড়ি থামল।
দেখলাম প্রাচীন কালের গেট।
পুরোটাই পাথরের তৈরি।
পাশে দুটা স্বেত পাথরের বাঘের মুর্তি।
গেটের গায়ে লেখা, ১৭০০ খৃঃ।
গেটের বয়স যা অনুমান করেছিলাম তার থেকেও দেখি অনেক বেশি।
গেটে গিয়ে রিও হর্ন বাজালো।
বাড়ির ভিতর থেকে দেখলাম দারোয়ান আর একজন পুলিশের হাবিলদার গোছের একজন বেরিয়ে আসল।
রিও গাড়ি থেকে মুখ বাড়িয়ে বললঃ কমিশনার সাহেব এসেছেন?
_না। তিনি থানাতে আছেন।
তবে ওসি সাহেব আছেন;বলল হাবিলদার ভদ্রলোক।
_যাও, ওসি সাহেব কে বল রিও এসেছে।
_জি স্যার।
লোকদ্বয় প্রস্থান করল।
®
আমি গাড়ি থেকে বের হয়ে সারা বাড়ি ঘুরে দেখতে লাগলাম।
কেননা, অনেক সুন্দর করে সাজানো গুছানো বাড়ি।
জমিদার বাড়ি বলতে আমার কাছে মনে হয় ভাংগা, ইট ঝরে পড়া, বাগান টাইপের একটা ভুতের বাড়ি হয়ত।
কিন্তু এটা কে বাড়ি না বলে স্বর্গ পুরি বললেই একটুও ভুল হবে না।
গেট দিয়ে ভিতরে ঢুকলে বাড়ি প্রযন্ত সোজা একটা রাস্তা।
পাথর দিয়ে এত সুন্দর করে রাস্তা তৈরি করা হয়েছে
যেটা রাস্তা না বলে অন্য কিছু বললেই ভুল হত না।
রাস্তার দুই ধারে ফুলের বাগান।
এত প্রকার ফুল এখানে সেটা মনে হচ্ছে বাস্তব নয়, কল্পনা।
যারা শাপলাকে জাতিয় ফুল করেছিল তারা এই বাগানের গোলাপ দেখলে
ইংল্যান্ড এর মত আমাদের দেশের জাতিয় ফুল হয়ত গোলাপ হত।
কি আর করা একটু এগিয়ে গিয়ে বিশাল আকৃতির একটা ঘর দেখতে পেলাম।
এই ঘরটার কথায় হয়ত মিসেস জোহান বলেছিলেন।
কল্পনা করতে গা শিওরে উঠল।
এই ঘরে মানুষকে আটকিয়ে রেখে অত্যাচার করা হত।
না জানি কত মানুষের জিবন কেড়ে নেওয়া হয়েছে এই ঘরে।
একটু এগোতেই দেখলাম। বিশাল অট্টলিকা দেখা যাচ্ছে।
বুঝলাম, এটাই জমিদার বাড়ি।
জমিদারের রুচি ছিল বলতেই হবে না হলে এমন বাড়ি কেন
তিনি বানাবেন।
রিওর ডাকে ঘোর কাটল।
_আরে প্রফেসর। বাড়ি দেখার অনেক সময় পাবে।
চল ভিতরে গিয়ে দেখি।
আসল ঘটনা টা কি?
________ রিও এবার তার সাথে থাকা একজন পুলিশের সাথে আমায় পরিচয় করিয়ে দিয়ে বললঃএই হল আমাদের সদর থানার ওসি মিস্টার সাদেক।
আমি হ্যালো বলতেই রিও আবার বললঃহ্যা, সাদেক সাহেব এই হল আমার মামা এবং সহকর্মি ইফতি।
তারপর আমরা তিন জন মিলে সামনে এগিয়ে গেলাম।
তখন রিও ফোনটা বেজে উঠল।
রিও ফোন বের করে রিসিভ করল।
ওপাশ থেকে কি বলেছিল না শুনতে পারলে আন্দাজ করতে পারলাম এটা রিওর বাপের কল ছিল।
তিনি হয়ত বলেছেন তিনি আসছেন।
তাই ইনভেস্টিগেশন পরে শুরু করতে।
কারন, আমি যত বার রিওর কাজের স্টাইল রিওর বাবার কাছে বলেছি তত বার তিনি আফসোস করেছে।
তার নাকি অনেক ইচ্ছা রিও কাজের স্টাইল দেখবেন।
তাই আজ যখন চান্স পেয়ে গেছেন।
তখন হাতছাড়া করবেন না এটাই স্বাভাবিক।
আমরা গিয়ে একটু সামনে দেখলাম বেশ সুন্দর একটা বসার ঘর আছে।
তিন জন বসলাম।
দেখলাম একটু পরে একজন পুলিশ ফ্লাক্স এ করে আমাদের জন্য চা নিয়ে এসেছেন।
চা বেশ সুন্দর হলেও রিও পেট দিয়ে নামবে না।
কারন চিনি দেওয়া আছে চায়ে।
আর রিও ডন্ট লাইক সুগার।
চায়ে চুমুক দেওয়ার পর রিও মুখ দেখার মত হয়েছিল।
তাই সে চা সাইড করে পকেট থেকে সিগারেট বের করে ওসির দিকে এগিয়ে বললঃ মাইন্ড করার কিছু নেই।
ওসি এক পিছ তুলে নিল।
তারপর রিও সিগারেট ধরিয়ে দুই টান দিয়ে বললঃসাদিক সাহেব।
পুরো ঘটনাটা বলেনতো আপনি কি জানেন।
_আসলে স্যার। তখন রাত তিনটা বাজে।
আমি বাড়িতে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছি।
তখন ফোনের শব্দে ঘুম ভেংগে গেল।
দেখলাম থানা থেকেই কল দেওয়া হয়েছিল।
তাই কল ব্যাক দিলাম।
অন ডিউটি অফিসার বললঃস্যার জমিদার বাড়িতে
কর্নেল জোহানের স্ত্রিকে মৃত অবস্থা পাওয়া গেছে।
আপনি কি একবার আসবেন.?
আমি তাদের দ্রুত ফোর্স নিয়ে সেখানে যেতে বলে আমিও চলে গেলাম।
ফোর্স যাবার আগে আমি পোছে গিয়েছিলাম।
কারন থানা থেকে আমার বাসা এই বাড়ির অনেক কাছে।
ভিতরে ঢুকে দেখলাম বেশ অনেক মানুষ জড় হয়ে গেছে এই রাতে।
মিসেস জোহান পড়ে আছেন তার শোবার ঘরের ফ্লোরে।
রক্ত তেমন বের হয়নি শরির থেকে যদিও উপড় হয়ে পড়ে আছেন তিনি আর পিঠি চার আংগুলের ছাপ।
আমার কাছে বাঘের ছাপের মত মনে হয়েছে।

তবে আইএম নট সিওর।
আমি ততখনাৎ আমার উপরের অফিসার কে কল দিই।
কারন বুঝেনিতো বেশ বড় মাপের জমিদার ফ্যামিলি তাই আমার একার পক্ষে কোন ডিসিশন দেওয়া সম্ভব না।
একটু পর কল ব্যাক এল পুলিশ কমিশনার স্বয়ং আসছেন।
লাশের ঘরটা লক করে রেখে দেওয়া হয়েছে।
বাড়ির অন্য মেব্বার বলতে থাকে একজন কেয়ার টেকার, দুজন মালি আর একটা কাজের মহিলা।
অবশ্য কাজের মহিলা মালি করিমের স্ত্রী।
রাত দুইটা নাগাদ কাজের মহিলা মিসেস জোহানের ঘরর কিছু পড়ার শব্দ শুনতে পায় এবং সেটা অনেক জোরে।
তাই তার স্বামিকে ডেকে তুলে। তারপর দুজন মিলে এগিয়ে যায় জোহানের ঘরে
দরজা খোলা ছিল। যদিও
তিনি সব সময় দরজা বন্ধকরে ঘুমোতেন।
ভিতরে ঢুকে আলো জ্বেলে
দেখতে পান তাদের ম্যাডাম
ফ্লোরে পোড়ে আছেন এবং তিনি মৃত।
তারপর মহিলার চেঁচামেচিতে অন্য মালি ঊঠে আসে।
আর দারোয়ান বাড়ির ভিতর চেঁচামেচি শুনে দ্রুত ভিতরে চলে আসেন।
তারপর তারা থানায় ফোন দেন.।
রিও এতক্ষনে কথা বললঃহুম। কিন্তু মিস্টার সাদেক আমি কত সময় পরে এসেছিলেন?
_এই ধরুন আড়াইটা নাগাদ।
_এসে কি সবাইকে বাড়ির ভিতর নাকি বাহিরে দেখেছিলেন?
_বাহিরে। কারন কাজের মহিলা এক্ষেত্রে বেশ বুদ্ধির পরিচয় দিয়েছেন।
তিনি পুলিশকে কল দিয়ে মিসেস
জোহানের ঘর লক করে দেন।
_কিন্তু কেন?রিওর এমন প্রশ্নর জবাবে শুধু আমি নয় ওসিও অবাক হয়ে গিয়ে ছিলেন।
_সেটাতো জিজ্ঞাসা করা হয়নি,স্যার।
_হুম। করবেন না। সেটা বুঝেই ছিলাম।
আসলে আপনি যা ইনভেস্টিগেশন করেছেন।
তাতে আমার মনে হয় আপনার থেকে একজন সাধারন মানুষ আরো ভাল পারত।
যাই হোক রিও এসে গেছে।
মনেহয় বেশি সময় লাগবে না।
তা,, কাকে কাকে আটক করেছেন এ প্রজন্ত?
_সাবাইকে।
_ওকে। মামা, চল। ঢাকা ফিরে যাই। কেসটা ওসি সাহেব সলভ করে ফেলেছেন।
ওসি সাহেব অবাক হয়ে রিও দিকে তাকিয়ে বললঃকি বলেন স্যার আপনি চলে যাবেন?
_কি আর করব? আপনি সবাইকে আটক করেছেন।
না জানি কখন আমাকেও আটকিয়ে দেন।
_ইয়ে মানে সরি স্যার। দুই মালি, দারোয়ান আর কাজের মহিলাকে আটক করা হয়েছে।
_গুড। যা বলব স্পষ্ট উত্তর দিবেন।
না জানলে, না বলবেন।
মিথ্যা আর পেচানো কথা আমি
পছন্দ করি না।
_জি, স্যার।
রিও হয়ত আরো কোন প্রশ্ন করত।
কিন্তু কমিশনার অব পুলিশ এসে গেছেন।
দেখলাম বেশ সিকিউরিটি দিয়ে কমিশনারকে আনা হয়েছে।
আর হবেই বা না কেন।
রাতেইতো এখানে একটা খুন হয়েছে।
©
রিও তার বাবার সাথে এমন সব এটিচুট করে যেন, এরা বাপ_পেটা নয়,ক্লোজ বন্ধু।
রিও ওর বাবাকে বাবা কম বলে।
ওই স্টাইল কমিশনার বলা।
আর কমিশনার বাধ্য হয়ে রিওকে বাবা বলে ডাকে।
রিও কমিশনারকে বললঃকমিশনার কি থানায় বসে বসে চা খাচ্ছিল?
_না। কাজ ছিল কিছু।(কমিশনার)
_আসছেনতো কেস সলভ করতে, নিশ্চয় থানা ভিসিটিংয়ের জন্য নয়।
_সরি। বাপ দেরি হয়ে গেল।
_রিও ঢাকা থেকে পোছে গেল আর আপনি?
_বলছিতো ভুল হয়েছে।
_ওকে, চলেন।
_________ কমিশনারের সাথে এরুপ ব্যাবহার দেখে ওসি সাদেক আমায় কানে কানে বললঃপ্রফেসর। গোয়েন্দা আর কমিশনারের মাঝে কি কোন সম্পর্ক আছে?
আমি হেসে দিয়ে বললামঃওরা বাপ_বেটা।
_হুম। ঘুলিয়ে যাচ্ছিল।
_________ যাই হোক বাড়ির কাছে গিয়ে দেখলাম বিশাল আকৃতির বাড়ি।
একটা ছোট গেট পেরিয়ে ঘরের ভিতর প্রবেশ করলাম।
প্রথম দিয়ে বেশ কয়েকটা রুম লক করা রয়েছে। বুঝলাম থাকার মানুষ নেই তাই হয়ত।
দরজা গুলো কাঠের হলেও
মনে হল বেশ শক্ত হবে।
প্রচান কাঠ দেখেই বোঝা যাচ্ছে এটা সেকুন কাঠ হবে হয়ত।
বেশ কয়েকটা বন্ধ রুম পাস করে
একটা ঘরের সামনে এসে থামলাম।
বেশ কয়েক জন পুলিশ পাহারায় দাড়িয়ে আছে।
দেখেই বোঝা এই ঘরেই ভিকটিম আছে।
পাশের একটা রুম থেকে কান্নার আওয়াজ শুনতে পেলাম।
বুঝলাম এটা ভদ্রমহিলার মেয়ে হবে হয়ত।
রিও ওসি সাদেকের দিকে তাকিয়ে বললঃ মহিলার মেয়ে আর জামায় এসেছেন?
_জি স্যার।
_ওনার ছোট ছেলে?
দেখলাম অবাক হয়ে ওসি সাহেব রিও মুখের দিকে তাকিয়ে আছে।
কারন তিনি হয়ত ভাবছেন, রিও এত কিছু জানল কি করে?
অস্পষ্ট স্বরে ওসি সাহেব বললেনঃনা। এখনো পোছাননি।
তবে চলে আসবেন এখনি হয়ত।
_________দরজা খোলা হল।
বেশ গোছালো ঘরটা।
এত বড় রুমটাও তিনি যে ভাবে সাজিয়ে রেখেছেন।
তাতে মনে হচ্ছে রুচি ছিল মহিলার।
আর তিনিযে কতটা সোখিন তার স্পস্ট ছাপ আছে বাড়িটাতে।
বেশ কিছু তাক আছে ঘরটাতে
সেখানে সাজানো বেশ কিছু মুর্তি।
বই খাতা, অনেক ধরনের কলম, পুরানো ডাইরি ইত্যাদি।
পাশে কয়েকটা সোফা।
যার উপরে দেওয়ালে কিছু ছবি।
বুঝলাম এগুলোই এদের পুর্ব পুরুষ।
কারন এদের পোশাকে জমিদারিত্ব স্পস্ট।
পাশে একটা টেবিলে সেখানে
রয়েছে বেশ কিছু বই।
অবাক হলাম আমার লেখা থ্রিলার আর ডিটেকটিভ বইও আছে।
তার পাশে একটা চেয়ার।
চেয়ারের স্টাইল দেখে বোঝায় যাচ্ছিল এটি জমিদার আমলের।
কারন বেশ নকশা করা।
পাশে বেড।
বালিশ, চাদর দেখে বোঝা যাচ্ছে সেটা হাতে নকশা করা।
পাশে একটা জানালা।
যেটা দিয়ে দক্ষিনা বাতাস আসছে।
তার পাশে একটা পিছি বক্স।
আর পাশে ফ্লোরে পড়ে আছে মিসেস রাজভি জোহান।
_________এবার দেখলাম রিও তার কাধ থেকে ব্যাগটা নামিয়ে নিয়ে তার থেকে হ্যান্ড গ্লাভস বের করে পরে নিল।
এর পর ব্যাগ থেকে ম্যাগনিফ্লাই ক্লাস বের করে নিল।
আমার দিকে ব্যাগ দিয়ে বললঃ ফটোগ্রাফির কাজটা শেষ করে ফেল, প্রফেসর।
আর ব্যাগ ও ক্যামেরা হাত ছাড়া করো না।
খুব শেয়ান পাপির পাল্লায় পড়েছি।
অনেক ভোগাবে মনে হচ্ছে।
এই এত টুকু সময়ের মাঝে কি বুঝল রিও,জানি না।
তবে রিও মুখ দিয়ে যা বের করে কখনো মিথ্যা হতে পারে না।
এবার রিও ভদ্রমহিলার ক্ষত পরিক্ষা করল।
তারপর ব্যাগ থেকে মেজরমেন্ট টেপ দিয়ে সারা ঘর মাপল।
টেবিল আর তাক থেকে গুনে গুনে সব বই গুলে বের করে
বেডের উপর রাখল।
মাঝে মাঝে কমিশনার কথা বলার চেষ্টা করলেও রিও কিছু বলল না।
আমি বাধ্য হয়ে কমিশনারকে বললামঃভাইয়া, কাজটা শেষ করতে দেন।
কাজ না শেষ করে ভাগিনা কোন কথা বলে না।
এরপর রিও বই গুলো বান্ডিল বেধে একজন পুলিশকে বলল সে গুলো আমাদের গাড়িতে রেখে আসতে।
এর মাঝে আমার ছবি তোলা শেষ।
এবার আমার দিকে তাকিয়ে বললঃতোমার কাজ শেষ?
_হুম। ছবি নিয়ে নিয়েছি।
_গুড।
এরপর ১৫ মিনিটের মত
মাথায় হাত দিয়ে বসে থাকল।
বুঝলাম ওর মাথায় চলছে সাইক্লোন।
কানের কাছে হাত দিলে স্পস্ট গরম হাওয়া পাব।
এরপর উঠে আবার ক্ষতটা ভাল করে পরিক্ষা করল।
তারপর হো হো করে হেসে দিয়ে বললঃ ওসি সাহেব। আমার কাজ শেষ।
আপনি আপনার মত কাজ করতে পারেন;কথাটা বলেই রিও আমাকে বললঃচল বাহিরে যাই।
এমন সময় কমিশনার বললঃকি বুঝলে?
সেটাতো বললে না?
_আসলে বাবা যদি আমি এখানে কিছু বলি তাহলে
প্রশাসনের লোকের কাজের সমস্যা হবে।
তারা তাদের কাজের স্টাইল এপ্লায় করতে পারবে না।
তাতে করে খুনিকে ধরা সম্ভব হবে না। তারপরও বলি, যিনি এ কাজ ঘটিয়েছেন , তার বয়স ৩০ আথবা ৩৫ হলেও মাথায় পাকা চুল আছে।
মারার আগে হাতাহাতিও হয়েছে মহিলার সাথে
যিনি খুন করেছেন তিনি
B&H সুইচ পান করেন।
আর লেফট হ্যান্ডেড।
গ্রিপলেস সু পরেন।
খুন করার কোন ইচ্ছা তার ছিল না।
আনফরচুনেটলি খুন হয়ে গেছে।
খুনি বাহির থেকে অস্ত্র নিয়ে এখানে এসেছিলেন না।
যেটা দিয়ে খুন করা হয়েছে, সেটা এই ঘরেই আছে বলে আমার ধারনা।
আর খুন হয়েছিল রাত দুটাই নয় ১১ অথবা ১২ টাই।
আর মজার ব্যাপার হল
খুনি হাতে গ্লাভস পরে এসেছিল।
আর কিছু বলব না।
পারলে এবার বের করে নেন।
না পারলে রিও প্রেজেন্টস হেয়ার।
________ কথাগুলো হয়ত সবার অবিস্বাশ্য মনে হল।
কিন্তু রিও সেদিকে খেয়াল নেই।
সে তার বাবার দিকে তাকিয়ে বললঃআমি যাচ্ছি।
ভাল একটা হোটেল হবেতো?
_হ্যা। আছে।
ইচ্ছা হলে গ্রামের বাসায় যেতে পার।(কমিশনার)
_না। এতে কাজের কাজ কিছু হবে না।
_ওকে। ডল্ফিন আছে।
_ওকে। সন্ধায় চলে এস।
_________ আর কারো সাথে কোন কথা আমাদের হল না।
সোজা মেইন শহরে চলে এসে
ডলফিনে একটা রুম পেয়ে গেলাম।
চলবে..!…!.

21 thoughts on "জমিদার বাড়ি রহস্য পর্ব ৩"

  1. marak Contributor says:
    Trickbd te kobe thake golpo likha choltase… ajari!trickbd down kortase Eisob falto boring post er jonno
    1. Mahbub Subscriber Post Creator says:
      Vai amar ager post gula dekhen…golpo disi..ami reja vai ke bolsi..tini dite bolsen…ar amar ager golpo gulate to kew bole nai je trickbd te golpo post kora jabe na..
  2. Jamiur Contributor says:
    পাগলাপোনা ছাইরে ভালো কিছু পোস্ট কর
  3. AhShifat99 Contributor says:
    যারা পড়তে পারে তাদের জন্য গল্পটা অনেক দুর্দান্ত
    1. Mahbub Subscriber Post Creator says:
      thnx…vai apnar ai comment ar maddome mone hosse sokol part dite parbo..
  4. Belal Contributor says:
    গল্প টা ভালই। তবে এইখানে এসব দেয়া কেমন হয়ে যায় না !! যাইহোক দিছ যেহেতু, সব পর্ব শেষ করে আর এসব গল্প এখানে পোস্ট করবে না। কারণ, এইখানে সবাই নতুন নতুন ট্রিক পাওয়ার জন্যই আসে। সে জন্য অনেকেই খারাপ মন্তব্য করতে পারে। আর সবাই যে গল্প পছন্দ করে তাও না । তাই সবাইকে নতুন নতুন ট্রিক দিয়ে নিজের নাম রাখবে ।।
    1. Mahbub Subscriber Post Creator says:
      ধন্যবাদ আপনার সুন্দর কমেন্ট এর জন্য…
    2. Belal Contributor says:
      হুম, আশা করি বিষয়টা তোমার মাথায় থাকবে।
    3. Mahin Islam Contributor says:
      সব কিছু থাকা ভালোর লক্ষন,,,গল্প থেকে শুরু করে সব থাকতে হবে,,কার পছন্দ আর অপছন্দ তা দেখার বিষয় না,,,,,
      আর সবাই সব কিছু পছন্দ করেও না,,,
      তাই আপনি যা পারেন তাই শেয়ার করুন,,
      আমার কাছে ভালো লাগছে গল্প টা,,পুরোটা চাই আমি,,,
  5. MA Razzak Contributor says:
    nice brother,carry on
  6. Fahim Sadnan Contributor says:
    Wow. Osame. R gula tara tari daw vai.
  7. NAYEEMUR Contributor says:
    চালিয়ে যাও ব্রাদার,,,, পুরো গল্প চাই,,,, কিন্তু লেখক কে গল্পের,,,,আর কয়টা পর্ব,,,
  8. Robiul Islam Contributor says:
    গল্পটা অনেক ভালো লাগছে,, চালিয়ে যাও।।।
    সবকিছু যে সবার ভাল লাগতে হবে এমন তো কোনো কথা নেই, তাই না?
    শত শত ভালো মানুষদের মধ্যে যেমন কিছু শয়তান থাকে,, ঠিক তেমনি এখানেও কিছু কিছু —- আছে।
    আরে তোদের গল্প ভালো লাগে না, তাহলে তোরা এটা skip করে অন্য কোন article এ যা, যেটা তোদের ভালো লাগে। এখানে কেনো খারাপ কমেন্ট করতে হবে আমি বুঝি না।।।
  9. Robiul Islam Contributor says:
    next part কবে দিবেন?
  10. Sohan Rana Contributor says:
    সুন্দর গল্প
  11. Nazmul Alam Ridoy Contributor says:
    অনেক সুন্দর একটা গল্প। অপেক্ষায় রইলাম পরবর্তী পার্টের জন্য।
  12. Alamin200 Author says:
    সব গুলো পাঠ না দিলে আপনার খবর আছে।
  13. feat mizan Contributor says:
    nice tore kobi banamo

Leave a Reply