অপটিক্যাল ফাইবার দিয়ে লম্বা দুরত্বে অনেক কম সময়ে বিপুল পরিমাণ তথ্য পরিবহন করা যায়। অপটিক্যাল ফাইবারের আরো অনেক সুবিধার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- এর মাধ্যমে তথ্য পরিবহনে তথ্যের ক্ষয় কম হয়, তড়িৎ-চুম্বকীয় প্রভাব থেকে মুক্ত। এখন অপটিক্যাল ফাইবার সাধারণত টেলিযোগাযোগের ক্ষেত্রে বহুল ব্যবহৃত হচ্ছে। এছাড়া আলোকসজ্জা, সেন্সর ও ছবি সম্পাদনার কাজেও বর্তমানে ব্যবহৃত হচ্ছে।
অপটিক্যল ফাইবারে যে আলোর পূর্ণ আভ্যন্তরীন প্রতিফলন হয়, তা আবিস্কার করেন সুইস পদার্থবিদ Daniel Collodon ও ফরাসি পদার্থবিদ Jacones Babinet ১৮৪০ সালে। এই ধারণা নিয়ে ১৯২০ সালে Henrich Lamm এবং Munich নামের এক ছাত্র টেলিভিশনের ইমেজ বা ছবি স্বচ্ছ কাঁচদণ্ডের মধ্য দিয়ে পাঠাতে সমর্থ হন। কিন্তু তাদের আবিস্কৃত ইমেজ কোয়ালিটি খুব একটা ভাল ছিল না। এতদিন পর্যন্ত যেভাবে ট্রান্সমিশন করা হতো, তার সবই ছিল আনক্লাডিং। সেই কারণে বেশিরভাগ আলো চারদিকে ছড়িয়ে পড়ায় সিগন্যাল দূর্বল হতো। পরবর্তিতে আমেরিকান পদার্থবিদ Brian O’Brien সর্বপ্রথম ক্লাডিং অপটিক্যাল ফাইবার ব্যবহারে সমর্থ হন। যার প্রকাশিত রুপ আমরা এখন দেখছি।
যদিও এই বিষয়ে সাধারণ মানুষের তেমন কোন কিছু জানা নেই, তবুও বেশিরভাগ মানুষ জানে আজ ইন্টারনেটের এতটা উন্নতি হয়েছে এই অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবলসের জন্যে। আর অপটিক্যাল ফাইবার এর ব্যাবহার হয় বিজ্ঞানের আধুনিকতার যুগে তাকলাগানো প্রযুক্তি অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবলসে।
4 thoughts on "অপটিকাল ফাইবার কি?এটি আসলে কি কাজে লাগে?"