অফিস ব্যবস্থাপনা কাকে বলে: আসসালামু আলাইকুম, আপনি নিশ্চয়ই জানবেন যে – ব্যবস্থাপনা শব্দটি মূলত আমাদের কাছে অধিক বেশি পরিচিত “ম্যানেজমেন্ট” নামে। এটি মূলত একটি সার্বজনীন বিষয়। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রায় প্রত্যেকটি কর্মক্ষেত্রে কোনো না কোনোভাবে ব্যবস্থাপনার অস্তিত্ব বিরাজমান।
কিন্তু অনেকেই আমরা ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে সঠিক ধারণা রাখিনা। আর তাই আমাদের এই গুরুত্বপূর্ণ পোস্টে আপনাদেরকে জানাতে চলেছি– ব্যবস্থাপনা ও অফিস ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে এ টু জেড। পাশাপাশি আরও জানাবো, ব্যবস্থাপনার মূলনীতি ও অফিস ব্যবস্থাপনার উপাসমূহ সম্পর্কে। তাহলে আসুন জেনে নেই– অফিস ব্যবস্থাপনা কাকে বলে।
ব্যবস্থাপনা কি | ব্যবস্থাপনা কাকে বলে?
ব্যবস্থাপনা হলো:- কোন নির্দিষ্ট লক্ষ্যপূরণের নিমিত্তে একটি সংস্থার কাজ পরিকল্পনা বা নির্দেশনার উপর ভিত্তি করে নিয়ন্ত্রণ করার মাধ্যম। যা ব্যবসার উদ্দেশ্য পূরণ করার জন্য অর্থনৈতিক ও কার্যকর পরিকল্পনা ও নিয়ন্ত্রণের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। বলতে পারেন, ব্যবস্থাপনা বিষয়টি গতিশীল মাধ্যম। যেটা বিভিন্ন উপাদান ও ক্রিয়া-কলাপ নিয়ে গঠিত। আর এর মূল উদ্দেশ্য হলো:- নির্ধারিত লক্ষ্য পূরণ করার দিকে পরিচালিত হওয়া।
কোন কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানে যে সকল কর্মী তাদের লক্ষ্য পূরণের উদ্দেশ্যে নিয়োগ করা হয়ে থাকে তাদের সকল বিষয় বা ইনফরমেশন গুলো এক করাটা ব্যবস্থাপনার অন্তর্ভুক্ত। মোটকথা- কোন একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে ম্যানেজমেন্ট অর্থাৎ ব্যবস্থাপনা। যেটা ছাড়া কোন কিছুই সম্ভব নয় এবং ব্যবসা বা বিভিন্ন মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে ব্যবস্থাপনা বিষয়টি ওতপ্রুত ভাবে জড়িত।
আর তাছাড়াও, আপনি যদি সফলতা অর্জন করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে ব্যবস্থাপনার ওপর নির্ভরশীল হতেই হবে। আপনার যদি ঠিকঠাক ম্যানেজমেন্টের কৌশল জানা থাকে তাহলে আপনি হতে পারেন যে কারো আইডল। বিশেষ করে, একজন ব্যবসায়ী হিসেবে আপনার ব্যবস্থাপনার ওপর যথেষ্ট নজর রাখা প্রয়োজন এবং ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে ধারণা অর্জন করা অতীব জরুরী।
অফিস ব্যবস্থাপনা কাকে বলে?
সুষ্ঠুভাবে কোন অফিসের কাজ পরিচালনা করার মাধ্যম কি মূলত অফিস ম্যানেজমেন্ট বা অফিস ব্যবস্থাপনা বলা হয়ে থাকে। একটা সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনের আশায় সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে একটি উপায় ফলো করে চলে অফিসের সকল প্রকার কাজ নিয়ন্ত্রণ করা এবং পরিচালনা করার উপায় বা মাধ্যমিক হচ্ছে অফিস ব্যবস্থাপনা।
ব্যবস্থাপনা কত প্রকার ও কি কি?
ব্যবস্থাপনার মূলত কোন প্রকারভেদ নেই। তবে হ্যাঁ ব্যবস্থাপনার কিছু মূলনীতি রয়েছে এবং এর মোট তিনটি স্তর রয়েছে। সেগুলো হলো:
-
উচ্চ পর্যায়ের স্তর
-
মধ্যম পর্যায়ের স্তর
-
নিম্ন পর্যায়ের স্তর
ব্যবস্থাপনা স্বাভাবিকভাবেই অনেক রকমের বা অনেক ধরনের হয়ে থাকে। সেটা হতে পারে:
-
কর্মী ব্যবস্থাপনা
-
আধুনিক ব্যবস্থাপনা
-
খাদ্য ব্যবস্থাপনা
-
অর্থ ব্যবস্থাপনা
বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনা অথবা
-
অফিস ব্যবস্থাপনা সহ যে কোন কিছু।
ব্যবস্থাপনার কার্যাবলী কি | অফিস ব্যবস্থাপকের প্রধান কাজ কি?
ইতিমধ্যে আমরা জেনেছি– ব্যবস্থাপনা মানে হলো কোন কাজ সঠিক ভাবে পরিচালনা করার একটি মাধ্যম বা উপায়। ব্যবস্থাপনার কার্যাবলী বেশ কয়েকটি উপাদানের সঙ্গে সম্পৃক্ত। মূলত ব্যবস্থাপকের লক্ষ্য অর্জনের জন্য হাতে গোনা ছয়টি উপাদানের প্রয়োজন পড়ে। আর সেই উপাদানগুলো হলো-
-
যন্ত্রপাতি
-
জনশক্তি
-
কাঁচামাল
-
প্রযুক্তি
-
অর্থ এবং
-
বাজার
অফিস ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে মূলত অফিস ব্যবস্থাপকের এই উপাদানগুলো সঞ্চয় করতে হয় এবং নির্দিষ্ট পরিকল্পনা বা প্লানিং এর মাধ্যমে লক্ষ্য অর্জনের নিমিত্তে কার্যপদ্ধতি চালিয়ে যেতে হয়। একজন ব্যবস্থাপকের প্রধান কাজগুলো হলো:
-
পরিকল্পনা করা
-
পরিচালনা করা
-
সংগঠিত করা
-
নিয়ন্ত্রণ করা
আর এই কাজগুলো করার জন্য মূলত ইউনিক ও সঠিক কৌশল সম্পর্কে অবগত হওয়া অধিক বেশি জরুরী। তাই এ পর্যায়ে আমরা ব্যবস্থাপনার পরিধি বা আওতা সম্পর্কে আলোচনার পাশাপাশি অফিস ব্যবস্থাপনার কিছু টিপস শেয়ার করব।
অফিস ব্যবস্থাপনার গুরুত্বপূর্ণ দিক সমূহ
অফিস ব্যবস্থাপনার বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক রয়েছে। তাই সে সম্পর্কে অবগত হওয়া অধিক বেশি জরুরী। দেখুন আপনি যদি একজন অফিসের কর্মচারীও হয়ে থাকেন তবুও এটা নিশ্চয়ই জানবেন যে– অফিসের যাবতীয় কাজকর্ম সাধারণত নথিপত্র নির্ভর। আর তাই অফিস ব্যবস্থাপনায় সেই নথিপত্রটা সংরক্ষণ করাটা অধিক বেশি গুরুত্বপূর্ণ কাজ।
আপনি যদি অফিস ব্যবস্থাপনার কাজটি সঠিকভাবে মেনটেইন করে চলতে চান তাহলে আপনাকে নথিপত্র সংরক্ষণের একটি ভালো উপায় বা টেকনিক খুঁজে বের করতে হবে। তাই এ পর্যায়ে মূলত আমরা আপনাদেরকে অফিস ব্যবস্থাপনার কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিকসমূহ জানানোর চেষ্টা করব। তাহলে আসুন জেনে নেই অফিস ব্যবস্থাপনার গুরুত্বপূর্ণ দিক গুলো কি কি সে সম্পর্কে।
✓ আপনি যদি একজন ব্যবস্থাপক হয়ে থাকেন তাহলে অফিস ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে নথিপত্র এমন ভাবে সাজিয়ে রাখতে হবে যেন প্রয়োজনের মুহূর্তে সহজে খুঁজে পেতে পারেন।
✓ এমনভাবে সেগুলো সংরক্ষণ করতে হবে যেটা অহেতুক বাড়তে জায়গা দখল করে থাকবে না।
✓ সংরক্ষণের পদ্ধতিটা অবশ্যই স্মার্ট ও সহজ হওয়াটা জরুরী। যাতে করে আপনি সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর অনুপস্থিতিতে তা সহজে ও খুব অল্প সময়ের মধ্যে দ্রুত কোন ঝামেলা ছাড়া খুঁজে পেতে পারেন।
✓ একটি সিরিয়াল অনুযায়ী অবশ্যই নথিপত্র সাজিয়ে রাখার চেষ্টা করতে হবে যাতে কোন নথি হারিয়ে গেলে বা স্থানান্তরিত হলে সেটার সন্ধান খুব সহজেই আপনি পেতে পারেন।
✓ একজন ব্যবস্থাপক হিসেবে নথির বিষয়বস্তু অনুসারেও শ্রেণীবিন্যাস করতে পারেন এক্ষেত্রে। তাহলে ব্যবস্থাপনাটা খুব সহজ ও সুন্দর হবে।
তবে বর্তমান সময়ে যেহেতু মানুষ প্রযুক্তির ওপর অধিক বেশি নির্ভরশীল তাই অফিস ব্যবস্থাপনার জন্য আপনি এমন একটি ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারেন যেটা খুব বেশি জায়গা দখল করবে না, আপনার সমস্ত তথ্য বা নথিপত্রে উল্লেখিত বিষয়বস্তু সংরক্ষণ করবে এবং আপনি সেটা সবসময় বহন করতে পারবেন এবং সহজেই খুঁজে বের করতে পারবেন আপনার কর্মচারীর রেখে দেওয়া সমস্ত ইনফরমেশন। আর সেটি হচ্ছে- Zkteco f18. প্রোডাক্টটির বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- Zkteco f18 price in Bangladesh.
আরও দেখুনঃ Convex mirror price in bangladesh
অফিস ব্যবস্থাপনার ৬ টি টিপস
অফিস ব্যবস্থাপনার জন্য আপনাকে মূলত অনেক বেশি ক্রিয়েটিভ মাইন্ডের হতে হবে। এতে করে আপনি খুব সুন্দর ভাবে ব্যবস্থাপনার দায়িত্বটি গ্রহণ করতে পারবেন এবং আপনার কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য পূরণের জন্য দ্রুত এগিয়ে যেতে পারবেন। তাই অফিস ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে আমাদের উল্লেখিত এই ছয়টি টিপস অবশ্যই মাথায় রাখার চেষ্টা করবেন। সেগুলো হলো:
-
সঠিক কর্মী নির্বাচন
-
প্রতিষ্ঠানের চাহিদা স্পষ্ট করা
-
কারিগরি স্বরধাম এর সুবিধা গ্রহণ
-
কর্মীদের প্রতি সদয় হওয়া ও তাদের খোজ খবর রাখা
-
ছোট ছোট পুরস্কারের ব্যবস্থা করা
-
প্রতিনিয়ত কাজের ক্ষেত্রে নতুনত্ব বিষয় যোগ করা।
পরিশেষে: তো পাঠক বন্ধুরা, ব্যবস্থাপনা কাকে বলে এ সম্পর্ক তো আমাদের আজকের আলোচনা পর্বের এখানেই ইতি টানছি। আজ এই পর্যন্তই কোন প্রশ্ন থাকলে আমাদের কমেন্ট করে জানাবেন। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
প্রমোশনাল লিংক কেন?
আবার পোস্টের মাঝখানে।