দেশে আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সাথে স্মার্টফোনের ব্যবহার বেড়েছে ব্যাপকভাবে। এ ব্যাপারে বিভিন্ন গবেষণা বলছে-
  • স্মার্টফোনের সাথে সম্পর্ক রয়েছে মরণঘাতি রোগ ক্যান্সারের।
  • মোবাইল ফোনের তরঙ্গ বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে মানুষের মস্তিষ্কের।
  • শেষ পর্যন্ত হতে পারে মারাত্মক শারীরিক অসুস্থতার কারণ, তথ্য প্রযুক্তির সাথে তাল মিলাতে জীবনে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এক অনুষঙ্গ হয়ে উঠেছে স্মার্টফোন।
সঠিক এবং সচেতন ব্যবহার না হলে হুংকে রুখে উঠতে পারে মানুষের সাধারণ জীবন। তবে এসব সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য বিশেষ কিছুর সতর্কতা অবলম্বন করার কথা বলেছেন চিকিৎসক বিজ্ঞানীরা।
তো চলুন এ বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক!..
  • ঘুমের ব্যাঘাত ঘটা।
  • মারাত্মক মাথা ব্যাথা।
  • চোখের সমস্যা।
এগুলো সহ নানা রকম শারীরিক ও মানসিক জটিলতা সৃষ্টির পিছনে ভূমিকা রাখে স্মার্টফোনের অতিরিক্ত ব্যবহার।
আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির কল্যাণে স্মার্টফোনে নতুন নতুন সংস্করণের আগমনে ব্যবহার বেড়েছে ব্যাপক। শুধু ব্যক্তিগত জীবনে নয়! পেশাগত কাজে ও স্মার্টফোনের ব্যবহার বেড়েছে।
ফোন কল ছাড়াও সোশ্যাল মিডিয়া ও ইন্টারনেট ব্যবহারে স্মার্ট ফোন হয়ে উঠেছে অপ্রতিরোধ্য এক অগ্র যাত্রা। তবে এ যাত্রায় সুবিধার পাশাপাশি রয়েছে অসুবিধাও। স্মার্টফোন ব্যবহারে অসচেতন হলেই ঘটে যেতে পারে মারাত্মক বিপর্যয়।
বিশেষ করে- বিভিন্ন ধরনের মিডিয়া এবং নানা রকমের অনলাইন গেইমে আসক্ত হওয়ার কারণে দেখা দিচ্ছে শারীরিক ও মানসিকের মত জটিল রোগের। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে মোবাইল ফোনের তরঙ্গ মস্তিষ্কের জন্য খুবই ক্ষতিকর।
স্মার্টফোন হলো তরিক চৌম্বকীয় ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক যন্ত্র, যা বার্তা পাঠাই ও গ্রহণ করে। ঘুমানোর সময় বালিশের পাশে ফোন রাখলেই স্মার্টফোনের তরঙ্গ সহজেই মস্তিষ্কের ক্ষতি করতে পারে। এছাড়া এসব তরঙ্গ ঘুমের ব্যাঘাত ও ঘটায়।
দীর্ঘ সময় ধরে এই মস্তিষ্কের বিকৃতি ঘটাতে সক্ষম হয়। মেডিকেল গবেষণা বলছে, মোবাইল ফোনের অসতর্ক ব্ব্যবহারে ব্রেইন টিউমার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ৭৪ শতাংশ। ঘুমানোর সময় মোবাইল ফোন দূরে রাখা এসব ক্ষতিকর তরঙ্গ থেকে মুক্তি দিতে পারে।
  • মোবাইল ফোন একান্ত কাছে রাখতে চাইলে এরোপ্লেন মোডে রাখতে পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
স্মার্ট ফোন থেকে নির্গত নীল আলো বা রোশনি মানব শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এই আলো মানুষের শরীরের মেলাটোনিন হরমোন বাধা দেয়। ফলে স্বাভাবিক ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। এই নীল আলো মাথাব্যথা, চোখের সমস্যা সৃষ্টিতে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
মাইগ্রেন এর মত মাথা ব্যাথা সৃষ্টির পিছনে স্মার্টফোনের অতিরিক্ত ব্যবহার এবং মোবাইল থেকে নির্গত নীল রশ্মিকে দায়ী করা হয়। এক্ষেত্রে স্মার্টফোনের উজ্জ্বলতা বা Brightness কমিয়ে সহনীয় পর্যায় রাখার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
ঘুমানোর অন্তত তিন ঘণ্টা আগে কথা বলা ছাড়া অন্য কাজে স্মার্ট ফোন ব্যবহার না করাই ভালো মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
ঘুমানোর অন্তত তিন ঘণ্টা আগে কথা বলা ছাড়া অন্য কাজে স্মার্ট ফোন ব্যবহার না করাই ভালো মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
ক্ষতিকর দিক বিবেচনা করলে- সূর্যের অতি বেগুনি রোশনি ও ডিজিটাল ডিভাইসের নীল রোশনি প্রায় একই কাজ করে। চর্মরোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০ মিনিট ভর দুপুরে কড়া রোদের মধ্যে থাকা অন্যদিকে ৮ ঘন্টা ডিজিটাল ডিভাইস এর ব্যবহার করা সমান।
স্মার্টফোনের নেটওয়ার্ক সিগন্যাল কেমন পাচ্ছে সেটিও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিজ্ঞানী ও ডাক্তারদের মতে নেটওয়ার্ক কম থাকলে বিকিরণ বেশি হয়, এতে স্বাস্থ্যগত নানা ঝুঁকি বেড়ে যায়! নেটওয়ার্ক ভালো থাকলে ইস্মার্ট ফোনের বিকিরণ কম হয়।
স্মার্টফোন অনেক সময় গরম হয়ে যায়? ফোন গরম হলে সাময়িক বিরতিতে হাত না দেওয়াই ভালো, এতে স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। ফোন ব্যবহারের সময় অনেকের সামনের দিকে ঘাড় ঝুকে যায়,
এভাবে দীর্ঘ সময় থাকলে মেরুদন্ডের উপর ভিশন চাপ পড়ে। ফলে ঘাড় ব্যথা ও শারীরিক গঠনের পরিবর্তন হতে পারে। তাই চোখের সামনে স্মার্ট ফোন এমন ভাবে রাখতে হবে, যাতে ঘাড় সোজা থাকে।
গবেষণায় আরো জানা যায়- স্মার্টফোনের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে ক্যান্সারের! তাইতো স্মার্ট ফোন শরীরের সঙ্গে না রেখে ব্যাগে রাখলেই ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেক কমে যাবে বলে মনে করেন মেডিকেল বিশেষজ্ঞরা।
মোবাইল ফোনের ব্যবহারে পুরুষের বন্ধত্ব হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে ৩৭ শতাংশ এবং হৃদ রোগ ৪৫ শতাংশ, ভ্রণের উপর প্রভাব পড়ে ২১ শতাংশ, এবং শ্রবণ প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটে ৮০ শতাংশ।
এসব থেকে বাঁচতে আদর্শমাত্রাই মোবাইল ফোন ব্যবহার করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।

আরো পড়ুন:- Realme C30 মোবাইলটি কিনুন মাত্র ২,৯৯৯ টাকায় (শর্ত প্রযোজ্য)

8 thoughts on "অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহার করলে শরীরে যেসব রোগ হয় ?"

  1. Asif5 Contributor says:
    Nice post
  2. mithu8099 Author says:
    এই স্মার্টফোন আমাদের স্বাভাবিক জীবন কেড়ে নিয়েছে। ২০১৫ পর্যন্ত সময়টা ভালো ছিলো,,
  3. nabid Contributor says:
    যে মেয়ে পর্দা না করে নিজের চেহারা অন্যকে দেখিয়ে বেড়ায়, এটা নিশ্চিত যে সেই মেয়ে কোন পর্দনশীল নারীর মেয়ে নয়।
    1. Anamika Chowdhury Subscriber Post Creator says:
      Kpl?
  4. Raja Biswas Contributor says:
    আমি আগে মেয়েদের সম্মান করতাম আর আমাক কোন মেয়ে পাত্তা দিত না। এখন মেয়েদের সম্মান করি না আর এখন 4 টা প্রেম করি। কারন মেয়েরা খারাপ ছেলে দের ভালবাসে।
    1. Anamika Chowdhury Subscriber Post Creator says:
      ☹️
  5. Hasan Sarker Contributor says:
    যে মেয়ে বিয়ের পরও স্বামীর বাড়ির চেয়ে তার বাপের বাড়িকে বেশি প্রাধান্য দেয় সেই মেয়ে কখনোই কল্যাণকর হতে পারে না!??

Leave a Reply