এক কম্পিউটার থেকে আরেক কম্পিউটারে ফাইল শেয়ার করার জন্য পেন ড্রাইভ হরহামেশাই ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এটা জানেন কী যে, হ্যাকারদের সবচেয়ে ভালো বন্ধু পেন ড্রাইভ!
এটা দেখানোর জন্য প্রথমে তারা খুব জনবহুল একটি এলাকাকে তাদের নিশানা করে, যেখানে যারা ইচ্ছাকৃতভাবে পেন ড্রাইভ ফেলে রাখবে। উদাহরণস্বরুপ গাড়ি পার্কিংয়ের এলাকায় পেন ড্রাইভ ফেলে রাখে, যাতে পেন ড্রাইভটি দেখতে পেয়ে আগ্রহী কেউ তা নেয় এবং কম্পিউটারে ব্যবহার করে।
তবে যে পেন ড্রাইভটি তারা ফেলে রাখে, তা কিন্তু বিশেষ ঘরানার পেন ড্রাইভ। এই পেন ড্রাইভকে ‘রাবার ডাকি’ বলা হয়। এ ধরনের পেন ড্রাইভ সম্পূর্ণ আসল পেন ড্রাইভের মধ্যে দেখতে হলেও, এর মধ্যে ক্ষতিকারক সফটওয়্যার বা ফাইল আগে থেকে হ্যাকাররা দিয়ে থাকে।
হ্যাকারদের ফেলে রাখা এই বিশেষ পেন ড্রাইভের মধ্যে আকর্ষণীয় নামে ফাইল দেয়া থাকে। যেমন: ‘স্যালারি ২০১৬’। ফলে কুড়িয়ে পাওয়া পেন ড্রাইভটি কম্পিউটারে লাগিয়ে কেউ যখন ‘স্যালারি’ নামে ওয়ার্ড ফাইল দেখতে পায়, তখন স্বাভাবিকভাবেই আগ্রহী হয়ে ফাইলটিতে ক্লিক করে। আর ফাইলটি একবার খোলার সঙ্গে সঙ্গেই তা নীরবে ক্ষতিকারক ম্যালওয়ার কম্পিউটারে চালু করে দেয়, যা কম্পিউটার থেকে শুরু করে ওয়েবক্যাম পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণের সুবিধা দেয় হ্যাকারদের।
আসল পেন ড্রাইভের মতোই দেখতে হয়ে থাকে হ্যাকারদের বিশেষ পেন ড্রাইভ
এছাড়া এই পেন ড্রাইভের সাহায্য ফিশিং ইমেইলের সুবিধা পায় হ্যাকাররা। অর্থাৎ ব্যবহারকারী নাম ও পাসওয়ার্ড চলে যায় হ্যাকারদের হাতে।
এমনকি অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যারও এ ধরনের আক্রমন ঠেকাতে কার্যকরী নয়। এই আক্রমন ঠেকানোর সহজ কোনো সমাধানও নাই।
সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ব্রস স্নায়ার এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘সমস্যা এটা না যে মানুষজন বোকা, সমস্যাটা হচ্ছে পেন ড্রাইভ কম্পিউটারে ব্যবহারটাই ঝুঁকিপূর্ণ।’
রেডটিমের নিরাপত্তা গবেষক কার্ট মেউল বলেন, ‘অপরিচিত কোনো ডিভাইসে বিশ্বাস করা উচিত নয়। কুড়িয়ে পাওয়া কোনো পেন ড্রাইভ ব্যবহার না করাটাই মঙ্গলজনক।’
One thought on "পেন ড্রাইভ দিয়ে যেভাবে কম্পিউটার হ্যাক করা হয়"