ওয়েব ডিজাইনারের আয়ের পথ
একজন ওয়েবে ডিজাইনার ওয়েব ডিজাইন
করে সাধারণত আয় করে থাকেন । কিন্তু
একজন ওয়েব ডিজাইনারের রযেছে অনেক
প্রকার অনলাইনে আয়ের সুযোগ। আসুন জেনে
নেই একজন ওয়েব ডিজাইনার ওয়েব ডিজাইন
ব্যাতীত আর কি কি উপায়ে আয় করতে
পারে ?
ওয়েব ডিজাইনকে যারা পেশা হিসাবে
নিয়েছেন তাদের এই মুহুর্তে অনলাইনে
আয়ের সুযোগ সবচেয়ে বেশী।বর্তমানে
অধিকাংশ ব্যবসা হয় সম্পুর্ণ অনলাইন
ভিত্তিক অথবা অনলাইনে শক্তিশালী
উপস্থিতি আছে । অনলাইনে ব্যবসার এই
উপস্থিতি একজন ওয়েব ডিজাইনার বা
ডেভেলপারের আয়ের সুযোগ বাড়িয়ে
দিয়েছে।
বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আয়
নিজস্ব ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অ্যাডসেন্স বা
অ্যাডসেন্স সমতুল্য বিজ্ঞাপন দাতা
প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আয় করতে পারবেন ।
তাছাড়া কার্বনেড নেটওয়ার্কের মত
প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আপনি আয় করতে
পারেন।
আইকন এবং ভেক্টর গ্রাফিক্স
আইকন এবং ভেক্টর গ্রাফিক্স এর চাহিদা
সবসময়ই ছিল এবং তা এখনও আছে। আপনি
আইকন বা ভেক্টর গ্রাফিক্সের তৈরীর
মাধ্যমে আয় করতে পারেন। তবে এই
ক্ষেত্রটি তুলানামুলক সহজ হওয়ায়
প্রতিযোগির সংখ্যা অনেক বেশী।তাছাড়া
বিনামুল্যে পাওয়া যায় অনেক আইকন ।
সঠিকভাবে মার্কেটিং করা সম্ভব হলে আয়
দ্রুত হয়।
ই-বুক
অনলাইনে ইংরেজীতে যেই পরিমান ই-বুক
আছে তা চাহিদার তুলানায় এখনও অপ্রতুল ।
প্রতিদিন হাজার হাজার লোক তাদের
স্মার্টফোন বা অন্য কোন পোর্টেবল

ডিভাইসে ই-বুক পড়ছে। এদের অনেকেই ওয়েব
ডিজাইন বা ডেভেলপমেন্ট সম্পর্কে জানতে
আগ্রহী। এমন কোন ই-বুক তৈরী করুন যা
তাদের ওয়েব ডিজাইন বা ডেভেলপমেন্ট
শিখতে সহায়তা করবে ।
অনলাইন কোর্স : অনেকেই ই-বুক নিয়ে
পড়াশোনা করে আবার ভিডিও
টিউটোরিয়ালের প্রতি আগ্রহী।
বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ভিডিও
টিউটোরিয়াল , ইউডেমি, টিম ট্রি হাউজ
ইত্যাদি অনলাইন কোর্সের সেরা দৃষ্টান্ত
বলা যায়। একটি ওয়েবসাইট তৈরী করে
প্রিমিয়াম সদস্যদের জন্য ভিডিও হোষ্ট করুন
অথবা অনলাইন কোর্স পরিচালনা করে এমন
সাইটগুলোতে প্রশিক্ষক হিসাবে যোগ দিন।
অ্যাপস
বর্তমানে স্মার্টফোনের সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি
পেয়েছে। যেকোন নতুন এবং মৌলিক
অ্যাপসের অনেক চাহিদা রয়েছে।
ব্যবহারকারীরা উপকৃত হবে বা তাদের
বিনোদনের বিভিন্ন অ্যাপস তৈরী করতে
পারেন ওয়েব ডেভেলপাররা।
সফটওয়্যার সেবা
অসংখ্য কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান প্রতিদিনই
বিভিন্ন সেবা গ্রহন করছে যেমন পে-রোল
টিম ম্যানেজমেন্ট,তথ্য জমা রাখা ইত্যাদি ।
এইসব সেবার জন্য প্রতিমাসে নিদিষ্র্ট
পরিমান টাকা গুনতে হয়। বেশীরভাগ
ক্ষেত্রেই তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে কেটে
নেওয়া হয় । একটু চিন্তা করুন একটি আপনি
এমন কোন সেবা প্রস্তুত করলেন যার জন্য
প্রতিমাসে একজন ভোক্তা থেকে ৫ ডলার
আয় করতে পারবেন । আপনি কতজন ভোক্তার
কাছে এই সেবাটি পৌছে দিতে পারবেন,
চিন্তা করুন ?
বিভিন্ন সিএমএস থিম
হাজার হাজার লোক প্রতিদিন তাদের
নিজস্ব ওয়েবসাইট খুলছে। তাদের
অধিকাংশই সিএমএস নির্ভর। থিমফরেষ্ট
(লিংক) এ একটু চোখ বুলিয়ে আসুন । তাহলেই
বুঝতে পারবেন একজন থিম ডেভেলপার কত
টাকা আয় করতে পারেন ।
ওয়ার্ডপ্রেস বা অন্যান্য সিএমএস প্লাগিন
: ওয়ার্ডপ্রেসের নিয়মানুসারে থিম সবসময়ই
“ওপেন সোর্স ” হবে । তার মানে ফ্রি।
এখানেও একটি ছোট শর্ত যুক্ত করে আয়
করতে পারেন। মুক্ত সংস্করণ এবং প্রিমিয়াম
সংস্করণের জন্য আপনি ব্যবহারকারীর কাছ
থেকে একটি নিদিষ্র্ট পরিমান টাকা দাবি
করতে পারেন।
পিএসডি টেম্পলেট : পিএসডি টেম্পলেট
তৈরী করে অনলাইনে আয় করতে পারেন ।
ওয়েব ডেভেলপার বা নতুন ওয়েবসাইট
তৈরীকারীরা পিএসডি টেম্পলেট বিভিন্ন
মার্কেট প্লেস থেকে ক্রয় করেন ।
যা যা জানা প্রয়োজন হবে
এইচটিএমএল এবং সিএসএসের পর্যাপ্ত জ্ঞান
ওয়ার্ডপ্রেস থিমের জন্য ওয়ার্ডপ্রেসের
জ্ঞান বা অন্যান্য সিএমএস থিমের জন্য সেই
সিএমএস এর জ্ঞান
থিম ব্যবহারকারীদের নিয়মিত সাপোর্ট
প্রদান
৫ এর অধিক থিম থাকলে আপনি এটিকে
লাভজনক পেশা হিসাবে নিতে পারবেন
যেসব বিষয় প্রয়োজন নেই
অভিজ্ঞতার কোন প্রযোজন নেই যদি
আপনার সঠিক দক্ষতাটি থাকে
বিখ্যাত হওয়ার প্রযোজন নেই বা অংসথ্য
ফলোয়ারের প্রয়োজন নেই
ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে আয় করা কোন স্বপ্ন নয় তবে
এই ধরনের আয়ের জন্য আপনাকে প্রথমে
পরিশ্রম করতে হবে । আয় করা বা অন্যের
পকেট থেকে টাকা বের করা সবসময়ই কঠিন
কাজ কিন্তু অসম্ভব কিছু নয়।

Leave a Reply