দিন দিন প্রযুক্তি-নির্ভরতার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে নিরাপত্তা ঝুঁকি। ব্যক্তিগত তথ্যচুরি বা নজরদারির মধ্যে আরো বেশি করে জড়িয়ে পড়ছি আমরা। তাই নিজেদের তথ্যের নিরাপত্তায় শুধুমাত্র আট বা ১০ ডিজিটের পাসওয়ার্ড দিয়ে আর কাজ হচ্ছে না। যে কোনো সময়ই হ্যাক হয়ে যেতে পারে আপনার অ্যাকাউন্ট।
১. আঙুলের ছাপ
এখন স্মার্টফোনগুলোতে ‘ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর’ প্রযুক্তি বেশ প্রচলিত। যে কোনো পাসওয়ার্ডের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী ফিঙ্গারপ্রিন্ট প্রযুক্তি। যে কেউ চাইলেই আরেকজনের আঙুলের ছাপ নকল করতে পারবে না। তাই আঙুলের ছাপের মাধ্যমে অনেক বেশি নিরাপদ বোধ করেন ব্যবহারকারীরা। আর এটাতে অভ্যস্ত হয়ে গেলে পাসওয়ার্ডের আর কোনো দরকার পড়বে না।
২. ভয়েস রিকগনিশন
বন্ড মুভিগুলোতে প্রায়ই দেখা যায় এ ধরনের প্রযুক্তি। তবে এখন আর তা সিনেমায় নয় বরং বাস্তবেই সম্ভব। নির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তির কণ্ঠস্বর তার সব অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। এই পদ্ধতিকে বলা হচ্ছে ‘ভয়েসপ্রিন্ট’। গলার স্বর, উচ্চারণ-এসব বিশ্লেষণ করে কাজ করবে এই পাসওয়ার্ড।
হাস্যকর শোনাতে পারে কিন্তু খুবই কার্যকর। মাস্টারকার্ড, তাদের ব্যবহারকারীদের কার্ডের সুরক্ষায় এই পদ্ধতি ব্যবহার করে থাকে। কারণ কোনো ছবি চাইলেই কেউ নকল করতে পারে, সই জালিয়াতিও মামুলি ব্যাপার এখন। আর তাই সুরক্ষার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে ব্যবহারকারীদের চোখকে। চোখ টিপ দিল পেশির ব্যবহার এবং তাতে মুখের পরিবর্তন যাচাই করে নির্দিষ্ট ব্যক্তির জন্য খুলে দেওয়া হবে নিরাপত্তার সকল বেষ্টনী।
৪. হাঁটাচলা
একজন মানুষ হুবহু আরেকজন মানুষের মতো করে হাঁটতে পারবেন না। কিছু ভিন্নতা থাকবেই। হাঁটার সময় মানুষের হাত-পা নাড়ানো এবং হাঁটার গতি বিশ্লেষণ করে নির্দিষ্ট একজন মানুষকে চিহ্নিত করা যায়। এই পদ্ধতি কার্যকর হলে অফিসে ঢুকতে আর কার্ড পাঞ্চ করতে হবে না ব্যবহারকারীদের। হয়তো এটিএম বুথে ঢোকার সময়ই ব্যবহারকারীর পরিচয় নিশ্চিত করে নেওয়া হবে।