১৩ বছরের উদ্বেগ স্বস্তিতে রূপ নিয়েছে
এখন। ১০ ডিসেম্বর বলিউডের মহাতারকা
সালমান খান মুম্বাইয়ে গাড়ি চাপা
মামলায় অব্যাহতি পাওয়ায় কেবল
সালমান ও তার পরিবার নয়, স্বস্তির
নিঃশ্বাস ফেলেছেন প্রযোজকরাও।
চলতি বছরের মে মাসে সালমানকে
দোষী সাব্যস্ত করে যখন ৫ বছরের
কারাদণ্ড দেয় মুম্বাইয়ের এক নিম্ন
আদালত, তখন মাথায় হাত পড়ে বলিউডের
বড় বড় বেশ কিছু ব্যানারের।
এ বছর শুধু দুটি সিনেমা মুক্তি দিয়ে ৫০০
কোটি রুপি বলিউডকে এনে দিয়েছেন
সালমান। হাইকোর্টে রায়ের বিরুদ্ধে
আপিল করার সময়ও চলছিল তার
সিনেমার শুটিং। এমনকি রায়ের দিন
সকালে নতুন সিনেমা ‘সুলতান’- এর সেট
থেকে আদালতে রওনা দেন সালমান।
বলা হচ্ছে, যদি সালমানের কারাদণ্ড
হতো তাহলে বিপাকে পড়তেন ‘সুলতান’-
ছাড়াও বেশ কয়েকটি সিনেমায়
অভিনয়ের চুক্তি করে রেখেছেন
সালমান, যার মধ্যে রয়েছে বক্স অফিস
কাঁপানো ‘কিক’- এর সিকুয়ালও।
এ তো গেলো সিনেমার প্রসঙ্গ, ছোট
পর্দায়ও সালমানের উপস্থিতি
জনপ্রিয়তার শিখরে ধরে রেখেছে
রিয়ালিটি শো ‘বিগ বস’কে। এছাড়া
একাধিক পণ্যের দূত সালমানের পেছনে
টাকা ঢেলেছে অনেকগুলো ব্র্যান্ড। তাই
মামলার দুশ্চিন্তা শুধু সালমানের
নিজেরই ছিল না, তলোয়ার ঝুলছিল তার
প্রযোজকদের মাথার উপরেও।
১০ ডিসেম্বর যখন আদালতের অধিবেশন
চলছিল, তখন অধীর অপেক্ষায়
ন্যায়বিচারের অপেক্ষায় ছিলেন মন্নু
খান। ২০০২ সালে সালমানের গাড়ি
চাপা পড়ে পা ভেঙ্গে গিয়েছিল তার।
পশ্চিমবঙ্গের দৈনিক আনন্দবাজারকে
তিনি বলেন, “আমরা গরিব। সরকার
আমাদের হয়ে লড়াই করছিল। কিন্তু
সরকারই যদি সালমানকে শাস্তি দিতে
না চায়, তাহলে আমরা কি করবো?”
অপেক্ষায় ছিলেন ২৫ বছর বয়সী ফিরোজ
শেখও। ২০০২ সালের সেই দূর্ঘটনায়
বাবাকে হারান তিনি। সালমানের গাড়ি
চাপা পড়ে ফিরোজের বাবা নরুল্লা
খানের মৃত্যু হয়। এরপর অল্প বয়সে
সংসারের হাল ফিরোজকেই ধরতে হয়।
অবশ্য বাবার মৃত্যুতে ক্ষতিপূরণ
পেয়েছিলেন তারা। আদালতের রায়ের
পর ফিরোজের একটাই প্রশ্ন ছিল, “যদি
সালমান গাড়ি না চালান, তাহলে
সেদিন গাড়িটা কে চালাচ্ছিল?”
আমার সাইট একবার ঘুরে আসবেন
প্রমানঃ নিউজ ব্লগার থেকে কপি করা