ধারাবাহিক এই পোস্টে আমি ওয়ার্ডপ্রেস থেমের পোস্টমর্টান করবো। ময়নাতদন্ত করবো আপনাদের সবাইকে নিয়ে। এরপর আমরা সেই
লাশ (থিমকে) ব্যবহার করবো। আগেই বলি এটা যেহেতু শুধু থিম ডেভেলপমেন্ট এখানে ডিজাইনার প্রতি মনোযোগ দেওয়া হবে না।
ওয়ার্ডপ্রেস থিম কীভাবে কাজ করে এবং হুক গুলো কী তা শিখবো। আর ডিজাইন শিখতে চাইলে আপনারা জানাবেন। WordPress থিম ডিজাইন
করবো আমাদের এই ময়নাতদন্তে বের হওয়া লাশ (থিম)টি দিয়ে। কিন্তু সেটার জন্য আলাদা সিরিজ তৈরি করবো।
থিম ডেভেলপমেন্ট কিংবা প্রোগ্রামিং এর প্রতি আমার মনোনিবেশ হয় আফজালুর রহমান রানা ভাই এর অনুপ্রেরণায়। এই রাস্তায় আমি
পেয়েছি – রিয়াদ রক্স ভাই, C/: ভাই , MD Naim Siddiq ভাই সহ আরো অনেকেই। Nostalgic দিন গুলোর কথা স্মরণ করে আমি আপনাদের সাথে এই নতুন যাত্রা শুরু
করতে চাই। দুঃখিত অনেক সময় নিয়ে ফেললাম আপনাদের যেহেতু এটা প্রথম এপিসোড। এই পর্বে আমরা ব্যসিক স্ট্রাকচার ডেভোলপ করবো।
যারা হোস্টিং কি ডোমাইন কি। কীভাবে হোস্টিং সার্ভারে ফাইল আপ্লোড করতে হয় এবং এডিট করতে হয় তারা একটু ট্রিকবিডির পূর্বের হোস্টিং রিলেটেড পোস্ট গুলো পড়ে নিবেন।
এসব জ্ঞান ছাড়া ডেভেলপ করতে হিমসিম খাবেন। যাদের পেইড হোস্টিং রয়েছে তাদের জন্য ভালো আর যদি না থাকে 0Webhost,byethost,10xMentor এর মতো ফ্রি
হোস্টিং প্রোভাইডার থেকে ফ্রি হোস্ট করতে পারেন ওয়েব সাইট এবং ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটল করে একটি ডেমো থিম ইন্সটল করে রাখতে পারেন। তবে আমরা থিমটি ডেভোলপ করবো Visual Studio তে আপনি আপনার পছন্দের IDE (Notepad,Codeablocks) Mobile User দের জন্য ( Es File, Quick Edit) এপ গুলো
ব্যবহার করতে পারেন।
আপনাদের প্রয়োজনীয় টুলস দিয়ে দিলাম। এখন ফাইল স্ট্রাকচার নিয়ে আলোচনা করবো। ওয়ার্ডপ্রেস থেম গুলো সাধারণত কিছু হুক থাকে যা থিমের মধ্যে ফাইল গুলোকে কমান্ড দেয় এবং ওয়ার্ডপ্রেস সেগুলো থিমের মধ্যে পর্যালোচনা করে।
বাঙালির সাধারণ ভাষায় বলতে গেলে। আপনি একটা বাটন একটা নির্ধারিত পেজে দেখাতে হলে আগে রিকুয়েষ্ট যাবে ওয়ার্ডপ্রেস এর মেইন Directory তে এবং ওয়ার্ডপ্রেস এটাকে প্রসেস করে
আমরা যেই প্রধান ধাপ গুলো অনুসরণ করবো সেগুলোকে আমি নিচে লিখে দিচ্ছি। মনে রাখবেন আমি ধাপগুলোকে এপিসোড অনুযায়ী সাজাইনি। ধাপ গুলো মূলত মেইন ফোকাল পয়েন্ট থিম এর।
1. WordPress Theme কী এবং কেন এটা দরকার?
2. Theme Development শুরুর আগে প্রয়োজনীয় টুলস এবং সেটআপ।
3. WordPress Theme ফাইল স্ট্রাকচার এবং প্রাথমিক ফাইল তৈরি।
4. HTML ও CSS দিয়ে Basic Layout তৈরি।
5. WordPress Loop এবং ডাইনামিক কন্টেন্ট হ্যান্ডল করা।
6. Functions.php এবং Theme Features কাস্টমাইজ করা।
7. Header, Footer, Sidebar এবং Widget Area ডেভেলপ করা।
8. Theme Customizer যুক্ত করা।
9. Responsive Design এবং থিমের পারফরম্যান্স অপটিমাইজ করা।
10. থিম প্যাকেজিং এবং WordPress.org-এ আপলোড করা।
WordPress Theme হইল কিরে?
মিয়া, সহজ কথায় WordPress Theme মানে হইল, ওয়েবসাইটের ডিজাইন আর ফাংশনালিটির জন্য যেই কাঠামো লাগে, ওইটাই। এই থিমের মাধ্যামে আপনি ঠিক করেন আপনার সাইট দেখতে কেমন হবে, আর কীভাবে কাজ করবে। একটা থিম থাকলে সাইটের Header, Footer, Sidebar, Color Scheme, Typography—সবকিছুই কন্ট্রোল করা যায়।
ক্যান থিম বানানো শিখমু?
মিয়া, এই থিম বানানো যদি শিখতে পারেন, তাইলে নিজের সাইটের জন্য যাস্ট যেই ডিজাইন চান, সেইডাই বানাইতে পারবেন। আর শুধু নিজের জন্য না, প্রিমিয়াম থিম বানাইয়া বিক্রিও করতে পারেন! এক্ষণে আপনি WordPress Theme Marketplace বা Themeforest, TemplateMonster-এর মত সাইটে থিম আপলোড কইরা কামাই শুরু কইরা দেন।
কাস্টম থিমের সুবিধা:
এর মধ্যে দিয়ে এপিসোড-০১ শেষ করছি এবং আপনাদের এক একটি কমেন্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
আমার পরবর্তী এপিসোড যথাসম্ভব আজ রাতেই পাবেন। এবং আপনারা আমাকে জানাবেন আপনারা কে কে আমার সাথে এই জার্নিতে থাকবেন।
এর আগেও আমি জিরো টু হিরো ডেভোলপমেন্ট এর সিরিজ পথিমধ্যে ছাড়তে হয়েছে ব্যক্তিগত জীবনে কিছু উত্থান পতনের জন্য ট্রিকবিডিতে সময় দিতে পারিনি। তবে আপনাদের মতামত আমি কামনা করছি।
সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
You must be logged in to post a comment.
Please continue. I desperately need it
Thank you.