২০৩০ সালের হেমন্তের এক মিষ্টি সকাল। হাতে পরিধান করা স্মার্ট ঘড়ি (Smart Watch) টির মৃদু কম্পনে ঘুম ভাঙল সজলের। অফিস বন্ধ তাই ফজরের নামাজ পড়ে আবার ঘুমিয়ে পড়েছিলেন সজল। হঠাথ ঘুম ভাঙায় অবাক হলেন এবং ঘড়ির মনিটরে দৃষ্টি দিতেই খেয়াল করলেন সকাল ১০ ঘটিকায় অফিসে জরুরি সভা ডেকেছেন বস। তৈরি হয়ে অফিসে পৌঁছাতে মোট দুই ঘণ্টা সময় লাগবে তাই ৮ টার সময় ঘুম ভাঙিয়ে দিল স্মার্ট ঘড়ি। দাঁত ব্রাশ করে হাত মুখ ধুয়ে বারান্দাই দাড়িয়ে নীল আকাশের দিকে তাকালেন। মেঘলা আকাশ দেখতে দেখতে কিছুটা আনমনে হয়ে গেলেন সজল। ততক্ষণে স্মার্ট শেভার (Smart Shaver) থেকে সতর্কবার্তা (Alarm) আসল, বুঝতে পারলেন সময় চলে যাচ্ছে এবং আজকে তাকে শেভ করে অফিস যেতে হবে। তাই সময় নষ্ট না করে শেভ করতে চলে গেলেন। শেভ সেরে গোসল করে তৈরি হতে না হতেই কফি মেকার (Coffee Maker) থেকে ক্রিং ক্রিং আওয়াজ ভেসে আসল। বুঝতে পারলেন তার কফি তৈরি। কফি পান করে বাসা থেকে বের হতে যাচ্ছেন এমন সময় তার স্মার্ট ছাতা (Smart Umbrella) থেকে সতর্ক বার্তা তার কানে আসল। বুঝতে পারলেন বৃষ্টি হতে পারে তাই ছাতা নিয়ে বের হউয়া উচিৎ।

 

 

 

বাসা থেকে বের হয়ে গাড়িতে উঠলেন। কিছুদূর যাওয়ার পর গাড়ির মনিটরে বার্তা আসলো, যে রাস্তা দিয়ে তিনি যেতে চাচ্ছেন সে রাস্তায় যানজট রয়েছে এবং দুই ঘণ্টার মতো সময় লেগে যেতে পারে এবং তিনি যদি ডানদিকের রাস্তা অনুসরণ করেন তবে তাড়াতাড়ি পৌঁছাতে পাড়বেন। তাই চিন্তা না করে ডান দিকের রাস্তা অনুসরণ করলেন এবং সময়মত অফিসে পৌঁছালেন।

 

 

 

রাত ৮ টা। সারাদিন কর্ম ব্যস্ত সময় পার করে বাসায় ফিরছেন সজল সাহেব। আর কিছুদূর এগিয়ে ডানের ওড়াল সেতুর উপর উঠবেন। এমন সময় গাড়ির মনিটরে একটি সতর্ক বার্তা আসলো। চালক খেয়াল না করে এগিয়ে চললেন। কিছুদূর যাওয়ার পর গাড়িটি স্বয়ংক্রিয় ভাবে বন্ধ হয়ে গেল। এবার মনিটরে দৃষ্টি দিলেন চালক। বুঝতে পারলেন সামনের ওড়াল সেতুটি ইতোমধ্যে  ওভার লোড হয়ে গেছে। তাই কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে।

 

 

 

 

 

 

 

ইন্টারনেট অফ থিংগস (Internet of Things) হল এমন একটি প্রযুক্তি যেখানে আমাদের আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস গুলো একে অপরের সাথে নেটওয়ার্ক এর মাধ্যমে সংযুক্ত থাকবে এবং আমাদের কোন নির্দেশনা ছাড়াই একে অপরের সাথে যোগাযোগ করবে এবং তথ্য আদান প্রদান করবে। এর মধ্যে থাকতে পারে বাসার লাইট, ফ্যান, এসি, ফ্রিজ, ওয়াসিং মেশিন, রাইছ কুকার, কফি মেকার, মোবাইল ফোন, আপনার চেয়ার, টেবিল, চাবির রিং, মানিব্যাগ এবং আপনি যা যা চিন্তা করতে পারেন সবকিছু (The only limit is your imagination)। ইন্টারনেট অফ থিংগস এর সুবাদে আপনি কোনোকিছু দূর থেকে মনিটর এবং নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। যেমন আপনি অফিস বসে আপনি আপনার বাসার পানি তুলার মোটর চালু করে দিতে পারবেন। আপনার বাচ্চা কোথায় আছে এবং কি করছে তা মনিটর করতে পারবেন। আপনি আপনার স্মার্ট ফোন থেকে আপনার বাসার বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি অন অফ করতে পারবেন।

 

 

 

ইন্টারনেট অফ থিংগস এর সঠিক বাংলা করলে অর্থটা হয় “বস্তুর ইন্টারনেট”। ব্রিটিশ উদ্যোক্তা কেভিন অ্যাস্টন ( Kevin Ashton) ১৯৯৯ সালে সর্বপ্রথম এই শব্দটি ব্যবহার করেন। ইন্টারনেট অফ থিংগস কে ইন্টারনেট অফ স্মার্ট থিংগস অথবা ইন্টারনেট অফ এভরিথিং ও বলা হয়। ইন্টারনেট যেমন আমাদের জীবনযাত্রাই বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছিল ঠিক সেভাবেই ইন্টারনেট অফ থিংগস অবিলম্বে আমাদের জীবনে  আরেকটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে। ধারনা করা হচ্ছে ২০২০ সাল নাগাদ ইন্টারনেট অফ থিংগস এর আওতাই সংযুক্ত ডিভাইসের সংখ্যা হবে ৩০ লক্ষ কোটি  (30 billion)। ইউকে  সরকার তাদের ২০১৫ সালের বাজেটে শুধু ইন্টারনেট অফ থিংগস বিষয়ক গবেষণার জন্য বরাদ্ধ রেখেছে ৪ কোটি ডলার।

আমার সাইট দেখে আসবেন — আমার সাইট

 

 

যেভাবে কাজ করবে ইন্টারনেট অফ থিংগস

 

 

 

কোন একাটি নেটওয়ার্ক এর মধ্যে যোগাযোগ করার জন্য নেটওয়ার্কের অন্তর্গত প্রত্যেকটি ডিভাইসের একটি অনন্য নাম বা আইডি (Unique address) দরকার। এই অনন্য আইডিকে বলা হয় IP address. আমরা বর্তমানে যে আই পি এড্রেস ব্যাবহার করছি এটা হল আই পি ভার্সন ৪। আই পি ভার্সন ৪ এ ৪.৩ বিলিয়ন অনন্য আইডি হতে পারে। ইন্টারনেট অফ থিংগস এ লক্ষ কোটি ডিভাইসকে সংযুক্ত করতে হলে আমাদেরকে আই পি ভার্সন ৬ এ যেতে হবে যার মাধ্যমে এই পৃথিবীর সকল অনু পরমাণু কে একটি করে অনন্য আইডি দেয়া সম্ভব!

 

 

 

 

 

ইন্টারনেট অফ থিংগস এর আর একটি অন্যতম উপাদান হল বিভিন্ন ধরনের সেন্সর। যে সেন্সর গুলো প্রতিনিয়ত পরিবেশ থেকে ডাটা গ্রহন করবে, ডাটা গুলো ক্লাউড সার্ভারে পাঠাবে। ক্লাউড সার্ভার প্রপ্ত ডাটা প্রসেস করবে এবং এ থেকে প্রাপ্ত তথ্য বিভিন্ন ডিভাইসে পাঠাবে এবং প্রয়োজন বোধে সংরক্ষন করবে। লক্ষ কোটি সেন্সর থেকে প্রাপ্ত ডাটা সাইজ হবে বর্তমান ডাটার থেকে অনেক বেশি। বর্তমানে ইন্টারনেটে সঞ্চিত ডাটার পরিমান হল

 

 

 

 

4 thoughts on "অদৃশ্য ইন্টারনেট (Internet of Things) ও আগামীর পৃথিবী"

  1. xxxrubel Author says:
    [url=http://www.facebook.con]Click Here[/url]
  2. xxxrubel Author says:
    @@[url=http://www.facebook.com]Click Here[/url]
  3. xxxrubel Author says:
    [url=www.facebook.com] your text[/url]
  4. xxxrubel Author says:
    [url=http//www.facebook.com] your text[/url]

Leave a Reply