পুরোনো মোবাইল কিংবা ইলেকট্রনিক বর্জ্য হতে পারে সোনার খনির মতোই মূল্যবান। সম্প্রতি কানাডার গবেষকেরা ই-বর্জ্য থেকে স্বর্ণ আহরণের পরিবেশবান্ধব ও আর্থিকভাবে লাভজনক একটি পদ্ধতি উদ্ভাবনের দাবি করেছেন। তাঁরা দাবি করেছেন, স্বর্ণশিল্পে ব্যাপক পরিবর্তন আনতে পারে এই পদ্ধতি।
কানাডার স্যাসক্যাচওয়েন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক স্টিফেন ফলি দাবি করেন, ‘আমরা সহজ, সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব একটি পদ্ধতি খুঁজে পেয়েছি, যাতে পুরোনো মোবাইল থেকে সোনা আহরণের পাশাপাশি পণ্য রিসাইকেল ও পুনরায় ব্যবহারের উপযোগী করা যাবে। এটি স্বর্ণশিল্পে পরিবর্তন আনতে পারবে।
ফলি বলেন, সোনার সমস্যা হচ্ছে এটি রাসায়নিক বিক্রিয়ায় খুব বেশি সক্রিয় না হওয়ায় তা গলানো কঠিন। স্বর্ণ আহরণের জন্য প্রচলিত যে পদ্ধতি আছে তাতে পরিবেশের ওপর প্রভাব পড়ে; কারণ এতে সোডিয়াম সায়ানাইড ব্যবহৃত হয়।
ইলেকট্রনিক চিপ, সার্কিট প্রভৃতি থেকে স্বর্ণ আহরণ করতে গেলে তাতে প্রচুর খরচ হয় এবং পরিবেশের ওপর প্রভাব পড়ে।
গবেষক ফলি বলেন, প্রতিবছর বিশ্বে পাঁচ কোটি টন ই-বর্জ্য তৈরি হচ্ছে, যার ৮০ শতাংশ গর্ত ভরাটে ব্যবহৃত হচ্ছে।
গবেষকেরা দাবি করেছেন, অ্যাসিটিক অ্যাসিডের সঙ্গে একটি অক্সিডেন্ট ও আরেকটি অ্যাসিড মিলিয়ে কার্যকরভাবে সোনা গলানো যায়। মাত্র ১০ সেকেন্ডে সার্কিট থেকে সোনা আলাদা করা গেলেও অন্যান্য ধাতু গলে না। এই পদ্ধতিতে প্রিন্টেড সার্কিট বোর্ড থেকে এক কেজি সোনা আহরণে পাঁচ হাজার লিটার অ্যাকুয়া রেজিয়া (নাইট্রিক ও হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিডের মিশ্রণ) দরকার হয়।
উল্লেখ্য, ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতিতে ব্যবহার উপযোগী সার্কিট, চিপ তৈরিতে মূল্যবান বিভিন্ন ধাতু ব্যবহার করা হয়। এর মধ্যে সোনার পরিমাণ থাকে বেশি।
গবেষকেরা ই-বর্জ্য থেকে সোনা আহরণের পদ্ধতিটি আরও বড় পরিসরে ব্যবহারের পরিকল্পনা করছেন।
পোষ্টটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছেঃ HamWap.Com
One thought on "পুরোনো যন্ত্রপাতি হল সোনার খনি!"