পৃথিবীর সবচেয়ে লম্বা ও বেঁটে
মানুষঃ-
গিনেস বুকে বিশ্বের সকল মানুষের
বিরল কৃতিত্ব নিয়ে রেকর্ড লিখে
রাখা হয়। সেখানে সাদাকালো,
ভাল-মন্দ, উঁচু-নিচু সব বিষয় লিখে
রাখা হয়।
তাদের একজনের নাম চন্দ্র বাহাদুর
ডাঙ্গি। নেপালের এই বাহাদুর
বিশ্বের সবচেয়ে ছোট মানুষ। তার
উচ্চতা মাত্র ৫৫ সেন্টিমিটার বা
সাড়ে ২১ ইঞ্চি।
৭৪ বছর বয়সী বাহাদুর বলেন, আমার
নাম গিনেজ রেকর্ডে অন্তর্ভুক্ত
হওয়ায় আমি গর্বিত। গিনেজকে
ধন্যবাদ না দিয়ে পারি না।
তাদের কারণে বিশ্বের অনেক
দেশ ও অনেক মানুষকে দেখতে
পেয়ে সত্যিই আমার ভালো
লাগছে।
অপরদিকে বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা
মানুষটি হলেন সুলতান কোসেন।
পেশায় কৃষক তুরস্কের বাসিন্দা
তিনি। বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা
মানুষ তিনি। তার উচ্চতা দুই দশমিক
৫১ মিটার বা ৮ ফুট ৯ ইঞ্চি। ৩১ বছর
বয়সী কোসেন বলেন, চন্দ্রকে
দেখে আমি অভিভূত হয়েছি।
তিনি বলেন, আমি সবচেয়ে লম্বা
আর তিনি সবচেয়ে ছোট মানুষ।
আমি চন্দ্রের চোখের দিকে
তাকাই তখন বুঝতে পারি তিনি
সত্যিই একজন ভালো লোক। তার
সঙ্গে দেখা হওয়ায় সত্যিই আমি
গর্বিত।
ভুতের বিয়েঃ-
অবাক লাগলেও ঘটনা কিন্তু
বাস্তবের। চীনে এরকমই এক প্রথা
চলে আসছে হাজার বছর ধরে। মৃত্যুর
পরের অনন্ত জীবন যেন একা একা
কাটাতে না হয়, তার নিশ্চয়তা
দিতেই নাকি এই বিয়ের আয়োজন!
সেখানকার প্রচলিত বিশ্বাস
হচ্ছে, কোনো ব্যক্তি যদি
অবিবাহিত অবস্থায় মারা যায়,
সেক্ষেত্রে তার আত্মা সবসময়
অতৃপ্ত অবস্থায় থাকে এবং
পরিবারের মানুষকে ক্রমাগত
বিরক্ত করতে থাকে। এই অবস্থা
বিয়ে আয়োজন করা।
এক্ষেত্রে বর বা কনেকে যে
পরিচিত হতে হবে এমন কোনো
কথা নেই। পরিচিত হতেও পারে,
আবার নাও পারে, তবে দুজনকেই
অবিবাহিত ও মৃত হতে হবে। এরপর
যদি এমন মেয়ের সন্ধান পাওয়া
যায় যে অবিবাহিত অবস্থায়
মারা গেছে, তাহলে ওই মেয়ের
পরিবারের সঙ্গে কথা বলে
সম্মতি নিয়ে আয়োজন করা হয়
বিয়ে!
মাত্র ১৫ মিনিটেই মানুষ মেরে ফেলতে পারে যে গাছঃ-
এই যে গাছটির ছবি দেখছেন, তার
পোশাকি নাম হলো Dieffenbachia
এবং অফিস আদালতে, বিভিন্ন
প্রতিষ্ঠানের বারান্দা বা
করিডোরে, এমনকি বাসাবাড়ির
বারান্দাতেও একে দেখা যায়।
সুন্দর এই গাছটি যে আসলে
আমাদের ক্ষতি করতে সক্ষম তা
আমরা কেউই জানি না।
একজন অভিভাবকের পরামর্শ হচ্ছে
এটি, যে বাড়িতে ছোট বাচ্চা
থাকলে আপনার উচিত হবে এদের
ব্যাপারে জেনে নিয়েই এসব
গাছকে বাসায় রাখা। কারণ তার
৩ বছর বয়সী কন্যাশিশু ভুল করে এই
গাছের একটি পাতা গিলে
ফেলে। এতে তার জিহ্বা ফুলে
যায় এবং তার মৃত্যু ঘটে। সামান্য
অসাবধানে এ মর্মান্তিক ঘটনা
ঘটতে পারে আপনার জীবনেও।
Dieffenbachia খুব সুন্দর একটি
পাতাবাহার। এই গাছের পাতায়
থাকে ক্যালসিয়াম অক্সালেট
(calcium oxalate) নামের এক
উপাদান, যা মানুষের কিংবা
বাসার পোষা প্রাণীর জন্য
ক্ষতিকর। তাই এটাকে বাসায়
রাখা তো উচিতই নয়, তার
পাশাপাশি বাইরেও এই গাছ
দেখলে বাচ্চাদেরকে এর
কাছাকাছি যেতে দেবেন না।
এর প্রভাব এতই খারাপ, যে এর যে
কোনো অংশ খাওয়ার এক
মিনিটের মাথায় একটি শিশুর মৃত্যু
হতে পারে। প্রাপ্তবয়স্কদের মৃত্যু
হতে পারে ১৫ মিনিটের মাঝে।
এমনকি এই গাছ হাত দিয়ে ধরলে
এবং এই হাত চোখে গেলে
অন্ধত্বের সম্ভাবনা থাকে।
প্রতিষ্ঠান থেকে সরাতে না চান
বা সরানো সম্ভব নাও হয়, তাহলে
এর চারপাশে বেড়া অথবা গ্রিল
দিয়ে রাখুন যাতে বাচ্চারা এর
পাতার নাগাল না পায়। এতে
দুর্ঘটনা ঠেকানো সম্ভব হবে।
জেলেই তরুণীর আইটেম নাচ:
টাকা উড়ালো বন্দিরঃ-
বন্দি বলে কী শখ
থাকতে নেই! তাই এলাহি
আয়োজন বন্দিদের জন্য। একেবারে
আইটেম ডান্স! সুন্দরীর লাস্যে
মেতে উঠেছে জেলের বন্দিরা।
দিল খুশ করেছে যে, তার জন্য একটু
টাকা ওড়াবে না! তাই উড়লো
দেদার টাকা। এমনই কাণ্ড ঘটেছে
কর্নাটকের এক জেলখানার
ভিতরে। আর সেই ভিডিও হয়ে
উঠেছে ভাইরাল। সূত্র: অনলাইন।
ঘটনা ভারতের বিজয়পুরার
সেন্ট্রাল জেল। সেখানে হিন্দি
ফিল্ম নাগিনের জনপ্রিয় গানের
সঙ্গে নেচে চলেছেন এক যুবতী।
এই বিষয়ে ডিজিপি এইচএন
সত্যনারায়ন রাও বলেছেন, ‘কোনও
আইটেম ডান্সই জেলখানায় হয়নি।
বরং, জেলের মধ্যে দেশাত্মবোধক
গান হয়েছে।’
থানার সুপারিটেনডেন্ট পিএস
আম্বেদকর বলেছেন, ‘আমি এরকম
হয়েছে বলে জানি না। শীঘ্রই
সিসিটিভি ফুটেজ দেখব।’ কিন্তু
এই ভিডিও যদি সত্যি হয়, তাহলে
যে অনেক প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে! এক
যুবতী রীতিমতো জেলে এসে
নেচে যাচ্ছে, আর তার খবর
থাকছে না জেলের
অধিকর্তাদের কাছেও! তাহলে
প্রশাসন করছেটা কী!
ধন্যবাদ
তথ্য প্রযুক্তি সেবায়, আপনাদের পাশে।
2 thoughts on "জেনে নিন মজার কিছু তথ্য ….."