ব্রাজিলে ফেসবুকের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। দিয়োগো যোদান নামে ওই কর্মকর্তা ফেসবুকের লাতিন আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট। পুলিশ বলছে, যোদানের প্রতিষ্ঠান মাদক চোরাচালান বিষয়ক একটি তদন্তে সহযোগিতা করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। কর্তৃপক্ষ বলছে, আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও দিয়োগো যোদান নামের ঐ আর্জেন্টাইন নাগরিকের প্রতিষ্ঠানটির ম্যাসেজিং সার্ভিস, হোয়াটসএ্যাপের তথ্য প্রদান করতে বারবার অস্বীকৃতি জানিয়েছে। সাও পাওলোতে তার জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বলছে যোদানের আটক একটি অন্যায্য পদক্ষেপ। হোয়াটস অ্যাপের মালিকানা ফেসবুকের হলেও এটা আলাদাভাবে পরিচালিত হয় বলে কর্তৃপক্ষের ভাষ্য। ব্রাজিলিয়ান কর্তৃপক্ষের কোনো প্রশ্ন থাকলে ফেইসবুক সব সময় তাতে সাড়া দিয়েছে এবং ভবিষ্যতেও দেবে বলে উল্লেখ করা হয় ফেসবুকের এক বিবৃতিতে। এ নিয়ে তিন মাসের মধ্যে দ্বিতীয় দফায় ব্রাজিলিয়ান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিবাদে জড়াল ফেসবুক। এর আগে অন্য একটি ফৌজদারি মামলার তদন্তে সহযোগিতা না মেলায় ডিসেম্বরে  সারা দেশে ৪৮ ঘণ্টার জন্য হোয়াটসঅ্যাপ বন্ধ রাখার আদেশ দেন এক বিচারক। সে সময় কয়েক কোটি গ্রাহক সামাজিক যোগাযোগের এই মাধ্যম বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। তবে পরদিন আবার হোয়াটসঅ্যাপ চালু হয়। ব্রাজিলে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যাপক জনপ্রিয়। দেশটির ২০ কোটি মানুষের প্রায় অর্ধেকই নিয়মিত এর মাধ্যমে মেসেজ আদান-প্রদান করে। একটি সংঘবদ্ধ অপরাধ ও মাদক চোরাচালান মামলা তদন্তের জন্য হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ চেয়ে কয়েক দফা অনুরোধের পরেও সাড়া না মেলায় বিচারক দিজোদানকে গ্রেপ্তারে পরোয়ানা জারি করেন বলে আদালতের বক্তব্য।   আগের তিনটি অনুরোধে সাড়া না দেওয়ায় ফেসবুককে এক লাখ মিলিয়ন রিয়ার (প্রায় আড়াই লাখ ডলার)  চেয়ে বেশি অর্থ জরিমানা করা হয় বলে আদালত থেকে জানা গেছে। হোয়াটসঅ্যাপ বলছে, একবার মেসেজ চলে গেলে তা আর তারা সংরক্ষণ করেন না। তাই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে তা হন্তান্তর সম্ভব নয়। তার অর্থ দাঁড়ায় পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করেছে ডাটার জন্য, যার অস্তিত্ব নেই,  বলেছেন হোয়াটসঅ্যাপের এক মুখপাত্র। যে তথ্য আমাদের কাছে নেই তা আমরা সরবরাহ করতে পারি না।

Leave a Reply