নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে, শৈশবের দারিদ্রতা তার পরবর্তী জীবনের স্বাস্থ্যে খারাপ প্রভাব ফেলে। ভয়াবহ তথ্য হলো, এর প্রভাবে হৃদরোগ এমনকি ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে। আর যেসব শিশুরা তাদের শৈশব দারিদ্রতার নিচে কাটায় এবং অপব্যবহারের শিকার হয় তাদের জন্য ব্যাপারটা আরও সত্যি।

গবেষকরা এটাও নিশ্চিত করেছন যে, যে পিতামাতারা সন্তানদের সঙ্গে তিরস্কারপূর্ণ আচরণ করে তাতে বাচ্চাদের ব্যবহারে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে এবং কঠিক অসুখের মুখোমুখি হয়।
তারমানে শিশুর শারীরিক এবং মানসিক ভারসাম্যের জন্য শৈশব খুবই গুরুত্বপূর্ণ সময়।
শিশুকালে বাচ্চাদের অনেক ধরনের পরিণতি হতে পারে, তাই স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়ে থাকেন যেন বাবা-মা বিশেষ করে তাদের অর্থনৈতিক অবস্থা যখন সুবিধাজনক অবস্থায় থাকে সেসময় সন্তান নেয়ার জন্য। আর টাকা-পয়সাই শুধু নয়, বাবা-মায়ের সম্পর্ক কতটুকু গভীর, সেটাও বাচ্চার শৈশব গড়তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
প্রায় ২ হাজার মানুষের স্বাস্থ্য এবং তাদের শৈশবকালীন অবস্থা নিরীক্ষা করে গবেষকরা এই ধরনের সিদ্ধান্তে এসেছেন। আর এজন্য গবেষণায় অংশগ্রহনকারীদের সম্পর্কে একটা স্বচ্ছ ধারণা পেতে তাদের পারিবারিক ইতিহাস পর্যবেক্ষণ করে দেখা হয়েছে।
দেখা গেছে, যাদের বাবা-মার আচরণ অপমানজনক এবং আক্রমনাত্মক তাদের সন্তানদের ক্ষেত্রে শৈশবে খারাপ কিছু হওয়ার ঝুঁকি অধিকতর বেশি।
প্রকৃতপক্ষে শিশুর বেড়ে ওঠার জন্য আদর, যত্ন, উদ্যম, ধৈর্য দরকার আছে, যেমন দরকার পারিবারিক মেলামেশা এবং পর্যাপ্ত সম্পদের নিশ্চয়তা।


আরো পোস্ট পড়তে→ এখানে ক্লিক করুন

Leave a Reply