ইসলামিক স্টেট বা আইএস আসলে কী?
আল কায়েদা থেকে তৈরি হওয়া সুন্নি
মুসলমানদের জঙ্গি সংগঠন আইএস। সাদ্দাম
পরবর্তী সময়ে ইরাকে এবং বাশার আল
আসাদের আমলে সিরিয়ায় সুন্নিদের
হতাশা থেকেই জন্ম সংগঠনটির। আইএস-এর
পতাকায় লেখা থাকে, ‘মুহাম্মদ (সা.)
আল্লাহর নবী’ এবং ‘আল্লাহ ছাড়া আর
কোনো সৃষ্টিকর্তা নেই।’
আইএস কোথায় সক্রিয়?
শরিয়া আইন অনুযায়ী পরিচালিত হবে এমন
রাষ্ট্র, বা ইসলামি খেলাফত প্রতিষ্ঠা
করতে চায় আইএস। সিরিয়া এবং ইরাকেই
প্রত্যক্ষভাবে সক্রিয় তারা। দুটি দেশেই
রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার সুযোগে
বেশ বড় অঞ্চল দখল করে নিয়েছে আইএস।
আইএস কেন আলাদা?
মূলত নিষ্ঠুরতার জন্য। শত্রুপক্ষ এবং নিরীহ
মানুষের মনে আতঙ্ক ছড়াতে তারা এমন
বর্বরতা এবং নিষ্ঠুরতা প্রদর্শন করে যা
আগে কেউ করেনি। গলা কেটে ভিডিও
প্রচার, পুড়িয়ে মারা, বাবার সামনে

মেয়ের গলা কাটা এবং তার তার ভিডিও
প্রচার, মেয়েদের যৌনদাসী বানানো আর
পণ্যের মতো বিক্রি করা – এসব
নিয়মিতভাবেই করছে আইএস। কোনো
অঞ্চল দখলে নেয়ার পর সেখানে শাসন
প্রতিষ্ঠায় মন দেয় আইএস।
অন্য জঙ্গি সংগঠনগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক
আইএস যদিও শুধু সিরিয়া এবং ইরাকেই
সক্রিয়, তবে বিশ্বের অন্যান্য ইসলামি
জঙ্গি সংগঠনগুলো থেকে বিচ্ছিন্ন নয়।
নাইজেরিয়ার জঙ্গি সংগঠন বোকো
হারাম কয়েকদিন আগেই জানিয়েছে,
আইএস-কে তারা সমর্থন করে। দুটি
সংগঠনের মধ্যে একটি জায়গায় মিলও
আছে। আইএস-এর মতো বোকো হারামও
নিষ্ঠুরতা এবং বর্বরতার প্রতিভূ হয়ে
উঠেছে। অন্য ধর্মের নারীদের প্রতি দুটি
সংগঠনের দৃষ্টিভঙ্গি এবং আচরণই
মধ্যযুগীয়।
আইএস-এর অনুসারী কারা?
অনুসারী সংগ্রহের সাফল্যেও আইএস অন্য
সব জঙ্গি সংগঠনের চেয়ে আলাদা। এ
পর্যন্ত অন্তত ২০ হাজার বিদেশী যোদ্ধা
আইএস-এ যোগ দিয়েছে। তাদের মধ্যে ৪
হাজারই পশ্চিম ইউরোপ এবং উত্তর
অ্যামেরিকার।
আইএস-কে রুখতে অন্য দেশগুলো কী
করছে?
যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে বেশ কিছু পশ্চিমা
এবং আরব দেশ সিরিয়া ও ইরাকে আইএস
ঘাঁটির ওপর বিমান থেকে বোমা হামলা
চালাচ্ছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী,
এ পর্যন্ত সিরিয়ায় ১৪২২ এবং ইরাকে ২২৪২
বার হামলা হয়েছে।
কোনো কোনো সরকার দেশের
অভ্যন্তরেও কিছু ব্যবস্থা নিচ্ছে। সিরিয়া
ফেরত অন্তত ৩০ জন সন্দেহভাজন জঙ্গির
বিচার শুরু করবে জার্মানি। গত মাসে
সৌদি পুলিশও ৯৩ জন সন্দেহভাজন আইএস
জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করেছে।

Leave a Reply