২৬ ডিসেম্বর ২০০৪
তারিখ এশিয়ার অধিবাসীদের কাছে একটি ভয়াবহ
দিন। কারণ এই দিনে ভারত মহাসাগরের ভয়াবহ সুনামি
আছড়ে পড়ে এশিয়ার কয়েকটি দেশে। সুনামির
তাণ্ডবে ভেসে যায় এবং ক্ষতি গ্রস্থ হয়
ইন্দোনেশিয়া, শ্রীলংকা, মালদ্বীপ, থাইল্যান্ড,
ভারত সহ ১৪টি দেশ। আকস্মিক এই সুনামির
আঘাতে মৃত্যুবরণ করে প্রায় দুই লক্ষাধিক মানুষ।
আর সম্পদের ক্ষয়-ক্ষতির দিক থেকে এটি ছিল
হিসাবের বাইরে। প্রলয়কারী এই সুনামির কারণ
হিসেবে দায়ী করা হয় সাগরের তলদেশে
সংঘটিত ৯.৩ মাত্রার ভূমিকম্পকে। প্রাকৃতিক
দুর্যোগ ঘটতেই পারে যেকোনো সময়
রহস্য। কারণ সুনামি শেষে মিশর সহ
মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশের সংবাদপত্রে
সুনামির আঘাতকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়। সেই সব
পত্রিকার রিপোর্ট অনুযায়ী সুনামির জন্য প্রকৃতি
দায়ী ছিল না বরং দায়ী ছিল অস্ত্রবাজ কিছু রাষ্ট্র।
তাদের মতে সুনামির আগে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া,
ফ্রান্স, চীন, ভারত, পাকিস্তান বা কোনও
পারমানবিক শক্তিধর দেশ সেই সময় গোপনে
পারমানবিক পরীক্ষা চালাচ্ছিল। কিন্তু পরীক্ষা
চলাকালে দুর্ঘটনা বশত তারা ভারত মহাসাগরে সেই
পারমানবিক বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ফেলে,
ফলে সাগরে তৈরি হয় প্রায় ৯৮ ফুট বিশাল ঢেউ বা
সুনামি। আর এই সুনামিই স্থলভাগে আছড়ে পড়ে
ঘটায় ধ্বংসযজ্ঞ। সুনামির এই ধ্বংসযজ্ঞের চিত্র
দেখে পরে দুর্ঘটনার এই কাহিনী চেপে যান
অপরাধী সেই রাষ্ট্রটি। মিশর ও মধ্যপ্রাচ্যের
সুনামি নিয়ে তৈরি হয়েছে রহস্যের। সুনামি কি
সত্যিই ভূমিকম্পের কারণে হয়েছিল নাকি
হয়েছিল পারমানবিক বিস্ফোরণের কারণে?
সেটা আজ এক বড় রহস্য।