বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন ও

পুনঃনিবন্ধন শুরুর পর তিন মাসে ২৮ লাখের বেশি গ্রাহক হারিয়েছে বাংলাদেশের মোবাইল অপারেটরগুলো।

গত ডিসেম্বরের শেষ থেকে চলতি বছর মার্চ পর্যন্ত বিটিআরসির মাসিক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

বিটিআরসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ডিসেম্বরে দেশে ছয়টি মোবাইল ফোন অপারেটরের হাতে ১৩ কোটি ৩৭ লাখ ২০ হাজার গ্রাহক ছিল। ধারাবাহিকভাবে কমে মার্চে তা ১৩ কোটি ৮ লাখ ৮১ হাজারে নেমে এসেছে।

জানুয়ারির শেষে দেশে মোবাইল ফোনের গ্রাহক ছিল ১৩ কোটি ১৯ লাখ ৫৬ হাজার; ফেব্রুয়ারির শেষে ছিল ১৩ কোটি ১০ লাখ ৮৫ হাজার ।

মোবাইল ফোন অপারেটররা বলে আসছে, বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন শুরু হওয়ায় তাদের গ্রাহক সংখ্যায় এই প্রভাব পড়েছে।

অ্যাসোসিয়েশন অফ মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশের (অ্যামটব) মহাসচিব টি আই এম নুরুল কবির বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বর্তমানে একটি ‘ট্রানজিশন পিরিয়ড’ চলছে। বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর গ্রাহক সংখ্যা আবার বাড়তে শুরু করবে বলে আমরা আশা করছি।”

গত ১৬ ডিসেম্বর বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালু হওয়ার পর আঙুলের ছাপ না দিয়ে নতুন সিম কেনা যাচ্ছে না। পাশাপাশি চলছে পুরনো সিমের পুনঃনিবন্ধন।

১০ এপ্রিল পর্যন্ত মোট পাঁচ কোটি ৪৫ লাখ সিম বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে পুনঃনিবন্ধিত হয়েছে বলে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে।

বিটিআরসির হিসাবে, গত ডিসেম্বরে গ্রামীণফোনের গ্রাহক সংখ্যা ছিল ৫ কোটি ৬৬ লাখ ৭৯ হাজার, যা মার্চে ৫ কোটি ৬২ লাখ ৮৫ হাজারে নেমে এসেছে। তিন মাসে তাদের চার লাখ গ্রাহক কমেছে।

বাংলালিংকের গ্রাহক সংখ্যা এই সময়ে ৩ কোটি ২৮ লাখ ৬৫ হাজার থেকে প্রায় ৯ লাখ কমে তিন কোটি ১৯ লাখ হয়েছে।

এই তিন মাসে রবিও প্রায় সমান গ্রাহক হারিয়েছে। ডিসেম্বরের দুই কোটি ৮৩ লাখ ১৭ হাজার থেকে কমে মার্চে তাদের গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে দুই কোটি ৭৪ লাখ ৫০ হাজারে।

ডিসেম্বরে এয়ারটেলের গ্রাহক ছিল এক কোটি ৭ লাখ ১০ হাজার। তা ছয় লাখ কমে মার্চে এক কোটি এক লাখ ৬১ হাজার হয়েছে। একই সময়ে সিটিসেলের গ্রাহক দশ লাখ থেকে দুই লাখ কমে ৮ লাখে নেমে এসেছে।

ব্যতিক্রম কেবল রাষ্ট্রয়াত্ব অপারেটর টেলিটক। বায়োমেট্রিক নিবন্ধন শুরুর পর টেলিটকের গ্রাহক ৪১ লাখ ৪৩ হাজার থেকে বেড়ে ৪২ লাখ ৫৪ হাজার হয়েছে।

অপারেটরগুলোর দেওয়া সিম বিক্রির তথ্য থেকে বিটিআরসি এই পরিসংখ্যান তৈরি করে। তবে গ্রাহকের হাতে থাকা সব সিম সব সময় চালু থাকে না। দেশে মোট ১৩ কোটি সিমের মধ্যে আট কোটির মতো বর্তমানে চালু আছে বলে অপারেটরগুলোর ধারণা।

একটি অপারেটরের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালু হওয়ার পর একাধিক সিমের মালিকরা তাদের হাতের সব সিম নিবন্ধন করছেন না। এর মধ্যে যেগুলোর মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে, সেগুলো নিষ্ক্রিয় হয়ে যাচ্ছে। তাই প্রতি মাসের হিসাবে গ্রাহক কমার তথ্য আসছে।”

আর বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন শেষে অনিবন্ধিত সব সিম বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম!

হুঁশিয়ার করে আসছেন।

 ভাল ভাল টিপস পেতে আমার সাইটে ঘুরে আসবেন TipsaLL24.com
_______________________________________________________
ফেছবুকে আমার আইডি

Leave a Reply