আসসালামুআালাইকুম

হ্যালো গাইজ, আশা করি আপনারা সকলে আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে ভালো আছেন। আর ভালো না থাকলে তো ভালো লাগার ওয়েবসাইট TrickBD আছেই। যেখান থেকে আমরা নিত্য নতুন টিপস এবং ট্রিকস পেয়ে যাই।
তো যাই হোক আজকে যে টপিক নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি তা আপনারা ইতিমধ্যে উপরিউক্ত টাইটেল দেখেই জেনে গেছেন।

হুম বন্ধুরা আজকে আমি IOS নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি। IOS হলো আ্যপল কম্পানি দ্বারা আই ফোনের জন্য বিকশিত খুবি জনপ্রিয় একটি অপারেটিং সিস্টেম। এটি শুধুমাত্র আ্যপল এবং আ্যপল কম্পানি দ্বারা তৈরিকৃত আইফোনে ইন্সটল হয়।
সর্বদা আ্যপল কম্পানি দ্বারা তৈরিকৃত আইফোনগুলো ট্রেন্ডিংয়ে থাকে। বর্তমান যুগে সোশ্যাল মিডিয়া এসে যাওয়ায় আইফোন আরো বেশি ট্রেন্ডিংয়ে থাকছে। এতে পৃথক পৃথক আ্যডভান্স ফিচারস রয়েছে।প্রত্যেকবার আইফোনের নতুন ভার্সনে কোন না কোন নতুন ফিচারস যুক্ত হয়ে থাকে। আ্যন্ড্রয়েডের পর সবচেয়ে জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেম হলো আইফোন।
তো চলুন আইফোন সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

IOS কি

আইফোনের পুরো নাম iPhone Operating System ।এটি মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম। যা আ্যপল INC দ্বারা ডেভলপ করা হয়। এর প্রয়োগ আ্যপলের সমস্ত টাচ ডিভাইস যেমন আই পোড, আইফোন, আইপেডে করা হয়।আইফোন আ্যন্ড্রয়েডের মতো অপেন সোর্স অপারেটিং সিস্টেম না।আন্ড্রয়েড অপেন সোর্স হওয়ায় অনেক কম্পানি এটি ডেভলপ করে থাকে। আমরা বিভিন্ন কম্পানির আ্যন্ড্রয়েড ফোন মার্কেটপ্লেসে দেখতে পাই। কিন্তু আইফোন ব্যক্তি মালিকানাধীন। এটি শুধুমাত্র আ্যপল কম্পানি ডেভলপ করে থাকে‌। আ্যপলের টাচ ডিভাইসগুলোতে এটি ব্যবহার করা হয়।
যদি IOS কে বুঝতে চান তাহলে প্রথমে অপারেটিং সিস্টেম সম্পর্কে ধারনা রাখতে হবে। অপারেটিং সিস্টেম এক প্রকার সিস্টেম সফট্যওয়্যার। যা দ্বারা কোন ডিভাইসকে কোন মানুষ বা হিউম্যান দ্বারা খুব সহজে অপারেট করা যায়। একারনে এটি ডিভাইসে প্রয়োগ করা হয়। এটি ডিভাইসের মধ্য বিদ্যমান সমস্ত সফট্যওয়্যারের প্রধাধ সফট্যওয়্যার। ডিভাইসের সমস্ত কার্যকলাপকে এটি মেইনটেইন করে। IOS ও এমন একটি সিস্টেম সফট্যওয়্যার যা শুধু আ্যপলের টাচ ডিভাইসে প্রয়োগ করা হয়।
শুরুতে যখন IOS লঞ্চ হয় তখন তা আইফোন অপারেটিং সিস্টেম নামে পরিচিত ছিল। কিন্তু যখন আ্যপল কম্পানি আই পেড নিয়ে আসলো তখন তার নাম পরিবর্তন করে দিয়ে IOS করে দেয়। আর বর্তমান সময়ে আই ও এস পৃথীবিতে দ্বীতিয় সর্ববৃহত ব্যবহারকৃত মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম।
যখন আই ও এস এর প্রথম ভার্সনকে লঞ্চ করা হয় তখন তাতে মাল্টিটাচ গেসচার, ভিজুয়াল ভয়েসমেইল, মাল্টিটাচ কে বোর্ডের মতো বিভিন্ন ফিচারস যুক্ত ছিলো।

IOS এর ইতিহাস

আইফোনের জন্য 2005 সালে IOS অপারেটিং সিস্টেম ডেভলপ করা শুরু হয়। এরপর একে 2007 সালে প্রথমবার আ্যপল কম্পানির প্রতিষ্ঠাথা স্টিভ জবস আইফোনের প্রথম ভার্সন লঞ্চ করেছেন। যেখানে ছিল মাল্টিটাচ গেসচার, ভিজুয়াল ভয়েসমেইল, মাল্টিটাচ কে বোর্ড, আই টিউনস সাইক্রোনাইজেশন, আই টিউনস ওয়াইফাই, মিউজিক স্টোর, কোর আই ও এস ইউ আই, মেপস ইত্যাদি ফিচারস বিদ্যমান ছিল। কিন্তু এতে কোন থার্ড পার্টি সফটওয়্যার সাপোর্ট করতো না।
এতে আ্যপল আ্যপ স্টোর বিদ্যমান ছিল না।এরপর 2008 সালে এর নতুন ভার্সনে আ্যপল আ্যাপ স্টোর রিলিজ করা হয়। যেখানে শুধুমাত্র 500 আ্যাপস ছিল। তখন তা আই ও এস নামে পরিচিত ছিল না বরং আই ফোন ও এস নামে পরিচিত ছিল। 2010 সালে আইফোনের চতুর্থ ভার্সন রিলিজ হওয়ার সময় তা পরিবর্তন করে আই ও এস নাম দেওয়া হয়।

IOS পরিচিতি

IOS আ্যপল কম্পানি দ্বারা বিকাশকৃত XNU Kernel ভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেম। যা শুধুমাত্র অ্যাপলের টাচ ডিভাইসযুক্ত হার্ডওয়্যারে রান হয়। এই অপারেটিং সিস্টেম তৈরি করার জন্য অ্যাসেম্বলি ল্যাংগুয়েজ, সি, সি++, সুইফট, অবজেক্টিভ সি প্রোগ্রামিং ভাষাসমূহ ব্যবহার করা হয়েছে।
এই অপারেটিং সিস্টেমের অ্যাপ্লিকেশনকে বিকশিত করার জন্য সুইফট ভাষা বেশি পরিমাণে ব্যবহার করা হয়েছে।

আই ও এস এর আধিপত্য বজায় রাখতে সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে নতুন নতুন ভার্সন নিয়ে আসছে। আর প্রত্যেক ভার্সনে কিছু না কিছু নতুন ফিচার যুক্ত হচ্ছে। নিচে আইফোনের ভার্সন হিস্টরিতে এই সমস্ত ফিচার উল্লেখ করা হয়েছে।

আইফোন ও এস ভার্সন 1.0

এটি আইফোনের সর্বপ্রথম ভার্সন যা আ্যপল কম্পানি কর্তৃক 2007 সালে লাঞ্চ করা হয়েছিল। যা আ্যপল কম্পানির আইফোনে ইনবুইল্ড ছিল। এতে ছিল মাল্টিটাচ গেসচার, মাল্টিটাচ কে বোর্ডের মতো ফিচারস। এবং ইউটিউব, কেমেরা, ক্লোক, নোটস, ফোটোস এই সমস্ত ফিচারস বিদ্যমান ছিল।এই ভার্সনটি 2010 সাল পর্যন্ত সাপোর্টৈবল ছিল।

আইফোন ও এস ভার্সন 2.0

এটি আইফোনের দ্বিতীয় ভার্সন। যা 2008 সালে রিলিজ করা হয়। এটি 3জি নেটওয়ার্কিং ক্যপাবিলিটির সাথে রিলিজ করা হয়েছিল।এতে আ্যপ স্টোর সংযুক্ত করা হয়। যেখানে 500’র অধিক অ্যাপ্লিকেশন ছিল।যা আমরা এই সিস্টেমে ইন্সটল করতে পারি। এতে অনেক বাগ ফিক্স করা হয়েছিল এবং এতে স্ক্রিনশট ফিচার যুক্ত করা হয়েছিল।

আইফোন ও এস ভার্সন 3.0

এটি আইফোন অপারেটিং সিস্টেমের তিতৃয় ভার্সন। যা আ্যপল কম্পানি 2009 সালের মার্চ মাসে ঘোষনা করেছিল। কিন্তু এটি 2009 সালের জুন মাসে রিলিজ করা হয়। এতে বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন ফিচার যুক্ত করা হয়।যেমন এতে কপি, পেস্ট, কাট ইত্যাদি যুক্ত করা হয় এবং ভার্সনে কিছূ বাগ ফিক্স করা হয়।

IOS ভার্সন 4.0

এটি IOS অপারেটিং সিস্টেমের চতুর্থ ভার্সন।যা আ্যপল কম্পানি 2010 সালের এপ্রিল মাসে আ্যপল ইস্পেশিয়াল ইভেন্টে ঘোষণা করে। কিন্তু এটির অফিসিয়াল রিলিজ 2010 সালের জুন মাসে করা হয়েছিল এবং এর নামও পরিবর্তন করে দেওয়া হয়েছিল।যা আগে ছিল আইফোন অপারেটিং সিস্টেম।পরে দেওয়া হয় IOS অপারেটিং সিস্টেম। এই ভার্সনে iBooks নামক নতুন একটি ফিচার নিয়ে এসেছে। এসারা এই ভার্সনে আরো নতুন নতুন ফিচার নিয়ে এসেছে।যেমন এই ভার্সনে আমরা 5x জুম করতে পারি। এই ভার্সনে মালটিটাস্কিং সাপোর্ট করে । এতে বিদ্যমান কেমেরায় ট্যাপ টু ফোকাস ফিচার যুক্ত করা হয়েছে। মিউজিকের প্লে লিস্ট তৈরি করা যেতো এবং এতে পৃথক পৃথক বাগ ফিক্স করা হয়েছে।

IOS ভার্সন 5.0

এটি আইফোন অপারেটিং সিস্টেমের পাঁচ নাম্বার ভার্সন। যা আ্যপল ওয়াল্ড ওয়াইড ডেভেলপার কনফারেন্স 2011 সালের জুন মাসে ঘোষনা করেছিল। কিন্তু এটি পরিপূর্ণ রিলিজ করা হয় 2011 সালের অক্টোবরে। এই ভার্সন আমাদেরকে আই ক্লাউডের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিল। এতে ফাইন্ড মাই ডিবাইস যুক্ত করা হয়েছিল। যাতে আমরা খুব সহজে আমাদের ফোনকে ট্র্যাক করতে পারি। এতে আই মেসেজ নামক নতুন একটি ফিচার যুক্ত করা হয়েছে এবং এর পূর্ববর্তী ভার্সনের অনেক বাগ এখানে ফিক্স করা হয়েছে।

IOS ভার্সন 6.0

এটি আই ও এস অপারেটিং সিস্টেমের ছয় নাম্বার ভার্সন । যা সর্বপ্রথম আ্যপল কম্পানি আ্যপল ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ডেভেলপার কনফারেন্সে ঘোষণা করে। আর এই কনফারেন্স 2012 সালের জুন মাসে অরগানাইজ করা হয়েছিল। যা অফিসিয়ালি 2012 সালের সেপ্টেম্বর মাসে রিলিজ করে দেয়া হয়। এ ভার্সনেও যথারীতি অনেক বাগ ফিক্স করা হয়। এ ভার্সনে অনেক নতুন নতুন ফিচার যুক্ত করা হয়েছে। যেযন এ ভার্সনে গুগল ম্যপসকে হটিয়ে আ্যপল ম্যপস যুক্ত করা হয়েছে। এই সিস্টেমের সেটিংয়ে ফেইসবুককে ইন্টাগ্রেট করে দেওয়া হয়েছে। আই পেডে ক্লক আ্যপ যুক্ত করা হয়েছে। এই ভার্সনে বিদ্যমান সাফারি ব্রাউজারকে আপডেট করা হয়েছে।এতে ফুল স্ক্রিন ভিউ ও ল্যন্ডস্ক্যপ ফিচার যুক্ত করা হয়েছে।

IOS ভার্সন 7.0

এটি আইফোন অপারেটিং সিস্টেমের সপ্তম ভার্সন। যা আ্যপল ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ডেভেলপার কনফারেন্স 2013 সালের জুন মাসে ঘোষণা দেয় এবং তা 2013 সালের সেপ্টেম্বর মাসে অফিসিয়ালি রিলিজ করা হয়। এই ভার্সনে ইউজার ইন্টারফেস অন্যান্য ভার্সনের তুলনায় সম্পূর্ণ ভিন্ন। অর্থাৎ এর ইউজার ইন্টারফেস পুনরায় রিডিজাইন করা হয়েছে।এতে লক স্ক্রীনে নোটিফিকেশন দেখা যায়। এতে Siri যা একটি ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট তা ইমপ্রুভ করা হয়েছে। IOS 7.0 তে পূর্ববর্তী ভার্সনের অনেক বাগ ফিক্স করা হয়েছে। নতুন নতুন অনেক ফিচার যুক্ত করা হয়। এই ভার্সন আমাদেরকে ওয়্যারলেস শেয়ারিং টেকনোলজি এয়ারড্রপের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে। এটি আইফোনের প্রথম ভার্সন যা 64 বিট প্রসেসর সাপোর্ট করে।

IOS ভার্সন 8.0

এটি আই ও এস অপারেটিং সিস্টেমের অষ্টম ভার্সন। যা 2014 সালের জুন মাসে আ্যপল কম্পানি সর্বপ্রথম ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ডেভেলপার কনফারেন্সে ঘোষণা করে। তারপর কিছু সময় পর 2014 সালের সেপ্টেম্বর মাসে রিলিজ করা হয়। এই ভার্সনে আ্যসল কম্পানি সাফারি ব্রাউজার, সিরি, আই ক্লাউড ড্রাইভ, পাসবুক এবং আ্যপ স্টোরের মতো সিস্টেম অ্যাপ্লিকেশনগুলো আপডেট করে আরো চমকপ্রদ বানিয়েছে। আই ও এস এই ভার্সনে টিসস নামক অ্যাপ্লিকেশন যুক্ত করে দিয়েছে। যা দিয়ে ব্যবহারকারীদেরকে টিপস প্রদান করা হয়।এই ভার্সনে কিছু বাগ ফিক্স করা হয়। এতে কিছু নতুন ফিচারও যুক্ত করা হয়। যেমন এর 8.4 ভার্সনে আ্যপল মিউজিক নামক নতুন এক ধরনের মিউজিক স্ট্রিমিং প্লাটফোর্ম যুক্ত করা হয়েছে।

IOS ভার্সন 9.0

এটি আই ও এস অপারেটিং সিস্টেমের নবমতম ভার্সন। যা আ্যপল কম্পানি আ্যপল ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ডেভেলপার কনফারেন্সে 2015 সালের জুন মাসে ঘোষণা দিয়েছিল। এর কিছু সময় পর 2015 সালের সেপ্টেম্বর মাসে একে রিলিজ করা হয়। এতে নতুন বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। এতে ব্যাটারি সেভিং আপডেট করা হয়েছে। এর ইউজার ইন্টারফেসে কিছু পরিবর্তন করা হয়েছে।এতে মাল্টিটাস্কিং ফিচার ইমপ্রুভ করা হয়েছে। এর পারফরমেন্স আরো ভালো হয়েছে। এর ডিসপ্লে মোডে নাইটশিফ্ট নামক নতুন এক ফিচার সংযুক্ত করা হয়েছে।

IOS ভার্সন 10

এটি আই ও এস অপারেটিং সিস্টেমের দশমতম ভার্সন। যা সর্বপ্রথম আ্যপল ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ডেভেলপার কনফারেন্স ঘোষণা দিয়েছে। এরপর 2016 সালের সেপ্টেম্বর মাসে অফিসিয়ালি রিলিজ করা হয়েছে। পূর্ববর্তী ভার্সনের অনেক বাগকে এই ভার্সনে ফিক্স করা হয়েছে। এর সিস্টেম আ্যপের অনেক ফিচারকে পরিবর্তন করা হয়েছে।

IOS ভার্সন 11

এটি আই ও এস অপারেটিং সিস্টেমের এগারতম ভার্সন। যা যথারীতি আ্যপল ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ডেভেলপার কনফারেন্স ঘোষণা দিয়েছে। অতঃপর 2017 সালের জুন মাসে রিলিজ করা হয়েছে। এতে নতুন কিছু পরিবর্তন এবং ফিচার যুক্ত করা হয়েছে। যেমন ব্যটারি আইকন সহ সমস্ত অ্যাপের আইকনকে পরিবর্তন করা হয়েছে। এতে নতুন ফাইল আ্যপ যুক্ত করা হয়েছে।

IOS ভার্সন 12

এটি আই ও এস অপারেটিং সিস্টেমের বারোতম ভার্সন। যা যথারীতি আ্যপল ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ডেভেলপার কনফারেন্স ঘোষণা দিয়েছে
এবং 2018 সালের সেপ্টেম্বর মাসে রিলিজ করা হয়েছে। এতে ফোনের স্পিড এবং পারফরমেন্স ইমপ্রুভ করা হয়েছে। এতে মেমোজি নামক এনিমজিকে আ্যপল পরিচিত করিয়ে দিয়েছে।

IOS ভার্সন 13

এটি আইফোন অপারেটিং সিস্টেমের তেরোতম ভার্সন। যথারীতি অন্য ভার্সনগুলোর ন্যয় এটিও WWDC ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ডেভেলপার কনফারেন্স ঘোষণা দিয়েছে। তার কিছু সময় পর 2019 আ্যপল কম্পানি অফিসিয়ালি রিলিজ করেছে। এই ভার্সনে আই ও এস এর প্রাইভেসি , ইউজার ইন্টারফেস, সিরি, পারফরমেন্স ইত্যাদিতে বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে।

IOS ভার্সন 14

এটি আই এ এস এর চোদ্দতম ভার্সন । যা আ্যপল ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ডেভেলপার কনফারেন্স ঘোষণা দিয়েছে এবং পরবর্তীতে রিলিজ করা হয়েছে। আই ও এস এর এই ভার্সনে ওয়াইটগেট, হোম স্ক্রিন, আ্যপ লাইব্রেরী, সিরি, কেলেন্ডার, মেসেজ, মেপস, ক্যামেরা ইত্যাদিতে অনেক পরিবর্তন করা হয়েছে।

IOS ভার্সন 15

এটি আই এ এস অপারেটিং সিস্টেমের পনেরোতম ভার্সন। যা যথারীতি আ্যপল ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ডেভেলপার কনফারেন্স ঘোষণা দিয়েছে পরবর্তীতে 2021 সালের সেপ্টেম্বর মাসে রিলিজ করা হয়। এই ভার্সনে ব্যবহারকারীরা সিরি কে অফলাইনে ব্যবহার করতে পারবে। আ্যপল নিউজ এবং সাফারি ওয়েব ব্রাউজারকে পুনরায় রিডিজাইন করা হয়েছে। গুগল ম্যপসে নতুন নতুন ফিচার যুক্ত করা হয়েছে।

IOS ভার্সন 16

এটি আই ও এস অপারেটিং সিস্টেমের ষোলোতম ভার্সন। যা প্রত্যেক বারের ন্যয় এবারও আ্যপল ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ডেভলপার কনফারেন্স ঘোষনা দিয়েছে এবং পরবর্তীতে 2022 সালের সেপ্টেম্বর মাসে রিলিজ করা হয়েছে। এতে লাইভ ডিকটেশন, লাইভ টেক্সট, ভিজুয়াল সার্চ, আ্যক্সেসিব্লিটি, ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক ইত্যাদি ইমপ্রুভ করা হয়েছে।

IOS ভার্সন 17

এটি আই ও এস অপারেটিং সিস্টেমের সর্বশেষ ভার্সন। যা 18 সেপ্টেম্বর 2023 সালে রিলিজ করা হয়। এতে বেশ কিছু বাগ ফিক্স করা হয়েছে এবং সিকিউরিটি আপডেট করা হয়েছে।এই আপডেটে নতুন বেশ কিছু ইমোজি যুক্ত করা হয়েছে। বেশ কিছু সিস্টেম আ্যপ আপডেট করা হয়েছে।কে বোর্ড, ওঢয়াইটগেট, মিউজিক, এয়ারড্রপ ইত্যাদি ইমপ্রুভ করা হয়েছে। আ্যপল মেপসেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। এতে অফলাইনে নির্দিষ্ট এরিয়া সিলেক্ট করা যায় এবং এক্সেস করা যায়।

Leave a Reply