কিস্তি আমাদের সমাজে একটি পচলিত
শব্দ। বর্তমানে আমাদের দেশে
অনেক কোম্পানি রয়েছে যারা
কিস্তিতে মানুষের কাছে তাদের পণ্য
ক্রয়-বিক্রয় করে থাকেন।

আবার অনেক কোম্পানি আছে যারা
কিস্তিতে জায়গা ও বাড়ি ক্রয়-বিক্রয় করে
থাকে। টাকা পরিশোধের ব্যাপারে শর্ত
থাকে যে, এককালীন পরিশোধ
করলে কিছুটা কম আর কিস্তিতে
পরিশোধ করলে কিছুটা বেশি পরিশোধ
করতে হয়।

এখন প্রশ্ন হলো,
কিস্তির ক্ষেত্রে অতিরিক্ত টাকা কি সুদ

হবে? এ জাতীয় ক্রয়-বিক্রয় কি
ইসলামে জায়েয আছে?
উত্তর : কিস্তিতে ক্রয়-বিক্রয় করলে
নগদের চেয়ে বেশি মূল্য নেয়া
জায়েয। তবে কিস্তির বিক্রির
ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত শর্তের প্রতি
লক্ষ্য রাখতে হবে –

১. পণ্যের মূল্য ও আদায়ের তারিখ
সুনির্দিষ্ট হতে হবে।

২. চুক্তির সময় পণ্যের মূল্য চূড়ান্ত
হওয়ার পর কিস্তি আদায়ে বিলম্ব বা
পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়া ইত্যাদি
কারণে নতুন করে দাম বাড়ানো যাবে
না।

৩. কিস্তি আদায়ের জন্য পণ্য আটকে
রাখা যাবে না; বরং চুক্তির পরই পণ্য
ক্রেতাকে বুঝিয়ে দিতে হবে।

[মাজাল্লাতু মাজমাইল ফিকহিল ইসলামী জিদ্দা

৭/২/৩২-৩৬; বাইউত তাকসীত ওয়া
আহকামুহু, সুলাইমান আততুরকী পৃষ্ঠা :
২২৮; বুহুস ফী কাযায়া ফিকহিয়্যাহ মুআছিরা,
আল্লামা তাকী উসমানী ১/৭]

লেখাটি ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করবেন। এতে পরবর্তীতে লিখতে উৎসাহ পাবো।

One thought on "কিস্তিতে ক্রয় -বিক্রয় কি ইসলামে জায়েয আছে ?"

Leave a Reply