নতুন নতুন
.
.
সকল নতুন টিপস
.
গরমে টুকটাক ঘাম হওয়াটাই স্বাভাবিক। শরীরের সুগন্ধেরও কিছুটা হানি ঘটবে। তাই বলে নিজের কাছেই বিরক্তিকর বিচ্ছিরি গন্ধ তো মেনে নেয়া যায় না। কিন্তু অনেকেই আছেন যাদের গরম, শীত সবসময় ঘাম হয়ে থাকে। ঘাম হওয়া খারাপ কিছু নয়, বরং ঘাম না হওয়াটাই খারাপ। কিন্তু কারো কারো ঘামে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়ে থাকে। মূলত এই দুর্গন্ধের পেছনে ব্যাকটেরিয়া দায়ী। এই ব্যাকটেরিয়া পরবর্তীতে বিভিন্ন রোগের সৃষ্টি করে থাকে।
ঘামের দুর্গন্ধ দূর করার জন্য বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ডিওডোরেন্ট ব্যবহার করেন অনেকেই। ডিওডোরেন্ট একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত কাজ করে, তারপর আবার ঠিকই ঘামে দুর্গন্ধের সমস্যা হয়। আজ জেনে নেবো ঘামের দুর্গন্ধ স্থায়ীভাবে দূর করার কিছু ঘরোয়া উপায়।
বেকিং সোডা
বেকিং সোডা শরীরের ঘাম শুষে নিয়ে ঘাম থেকে দুর্গন্ধ হওয়া প্রতিরোধ করে। সেজন্য ১ টেবিল চামচ বেকিং সোডা এবং লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এটি আন্ডারআর্মসে লাগিয়ে কিছুক্ষণ পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি প্রতিদিন একবার করলে যথেষ্ট। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আপনার ঘামের দুর্গন্ধের সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
আপেল সাইডার ভিনেগার
ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলে ঘামের দুর্গন্ধ দূর করতে আপেল সাইডার ভিনেগার অতুলনীয়। এটি শরীরের পিএচ লেভেল ঠিক রেখে ঘামের দুর্গন্ধ দূর করে থাকে। আপেল সাইডার ভিনেগার একটি তুলোর বলে ভিজিয়ে নিন। এবার এটি ঘাম হবার জায়গাগুলোতে ঘষে লাগিয়ে দিন। ২ থেকে ৩ মিনিট অপেক্ষা করার পর ধুয়ে ফেলুন। এটি দিনে দুইবার করলে ভালো পাবেন।
এছাড়া কসুম গরম পানিতে এক কাপ আপেল সাইডার ভিনেগার মিশিয়ে নিন। এবার এই পানি দিয়ে গোসল করুন। প্রতিদিন এভাবে গোসল করলে ঘামের দুর্গন্ধের সমস্যা অনেকটা কমে আসবে।
লেবুর রস
লেবুর রস শরীরের পিএচ লেভেল কমিয়ে দেয় ফলে ব্যাকটেরিয়া তৈরি হতে পারে না। যে সকল ব্যাকটেরিয়া শরীরে থাকে তাও মারা যায়। একটি লেবুকে দুভাগে ভাগ করে ফেলুন। এক অংশ দিয়ে বগলের নিচে ঘষুন। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে গোসল করে নিন বা ধুয়ে ফেলুন। এটি প্রতিদিন করতে হবে যতদিন পর্যন্ত ঘামের দুর্গন্ধ পুরোপুরি না দূর হয়।
আপনি সংবেদনশীল ত্বকের অধিকারী হলে এক কাপ পানিতে অর্ধেকটা লেবুর রস দিয়ে দিন। এবার সেটি তুলোর বলে ভিজিয়ে ব্যবহার করুন। এভাবে প্রতিদিন ব্যবহার করবেন।
টমেটো
টমেটোর অ্যান্টিস্পেটিক উপাদানসমূহ ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলে ফলে ঘাম থেকে আর দুর্গন্ধ সৃষ্টি হতে পারে না। ৭ থেকে ৮ টি টমেটোর রস বের করে নিন। এবার এক বালতি পানিতে টমেটোর রস দিয়ে দিন। এই পানি দিয়ে গোসল করুন। এটি প্রতিদিন করুন। কিছুদিনের মধ্যে ঘাম হতে দুর্গন্ধ হওয়া বন্ধ হয়ে যাবে। প্রতিদিন দুই গ্লাস টমেটোর জুস খান, এটিও ঘামের দুর্গন্ধ দূর করে দেবে।
শালগম
শালগমের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান ব্যাক্টেরিয়া মেরে ফেলে ঘাম থেকে দুর্গন্ধ হওয়া প্রতিরোধ করে থাকে। এছাড়া শালগমে আছে ভিটামিন সি যা শরীরের অন্যান্য গন্ধ দূর করে থাকে।
শালগমের রস করে নিন। এবার তুলোর বলে শালগমের জুস ভিজিয়ে ঘাম হবার জায়গাগুলোতে ঘষুন। শুকিয়ে আসলে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি আপনাকে ১০ ঘন্টা পর্যন্ত ঘামের দুর্গন্ধ হাত থেকে রক্ষা করবে।
রোজমেরি
এটি জীবাণু নাশক কার্যকারিতার কারণে শরীরের বাজে গন্ধ দূর করার জন্য বেশ সুপরিচিত। এই ভেষজটির মনোমুগ্ধকর সুগন্ধ আপনার পাকস্থলিকে স্বস্তি দান করতে ব্যবহার করা যায়। আপনার খাদ্য তালিকার চায়ের সঙ্গে এটি মিশিয়ে গ্রহণ করলে পৌষ্টিক নালীর বেশ উপকার হয়। রোজমেরির জীবাণু নাশক বৈশিষ্ট্যের কারণে চামড়ার উপরের অপ্রত্যাশিত ক্ষুদ্র জৈব জীবাণু থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
নতুন ডিজান ওয়েব নতুন নতুন পোস্ট দেখুন
.