১৯ বছর বয়সি যুবক হেনরি স্টেনিম জন্ম দিয়েছেন একটি ফুটফুটে কন্যাসন্তানের। শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও এমনটাই ঘটেছে উত্তর আইসল্যান্ডের আর্সকগস্যাডুর অঞ্চলে।
বর্তমানে ওই কন্যাসন্তানকে লালনপালন করতে ব্যস্ত রয়েছেন স্টেনিম ও তার সঙ্গী থরির লিও পিটারসন।
তবে যুবক স্টেনিমের সন্তান জন্ম দেওয়ার পেছনে লুকিয়ে রয়েছে অন্য সত্য। ২০১৪ সালেও স্টেনিম ছিলেন একজন তরুণী। কিন্তু প্রাকৃতিক নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ওই বছরের অক্টোবরে স্টেনিম সিদ্ধান্ত নেন তিনি লিঙ্গ পরিবর্তন করবেন হরমোন চিকিৎসা এবং সার্জারির মাধ্যমে। প্রথমে স্টেনিম তার বাবা-মাকে তার সিদ্ধান্তের কথা জানান। এ সময় মা তাকে স্বাগত জানালেও বাবা তাকে পুরোপুরি সমর্থন দিতে পারছিলেন না। তবু স্টেনিম তার সিদ্ধান্তে অটল ছিলেন। সর্বশেষ গত বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্টেনিম তার সঙ্গী পিটারসনের সঙ্গে ছিলেন। এর পর থেকেই তিনি লিঙ্গ পরিবর্তন করে একজন পুরুষ হওয়ার জন্য সার্জারি করেন এবং হরমোন চিকিৎসা শুরু করেন। এরই মধ্যে স্টেনিম একজন পুরুষ হিসেবে জীবনযাপন শুরু করেছিলেন। কিন্তু চিকিৎসা শুরুর দুই মাসের মধ্যেই স্টেনিম জানতে পারেন তিনি অন্তঃসত্ত্বা।
যদিও স্টেনিমের সন্তান ধারণের কোনো পরিকল্পনা ছিল না, তবু তার তার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবরে তিনি খুশিই হন। কারণ তখন স্টেনিম মনে করেন ওটাই ছিল তার সন্তান ধারণের ও তার সঙ্গীর সঙ্গে জীবনযাপনের উপযুক্ত সময়। এরপর অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে এক কন্যাসন্তানের জন্ম দেন। সন্তান জন্মের পর তাকে বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় স্টেনিম হরমোন চিকিৎসা বন্ধ রেখেছিলেন।
স্টেনিম জানান, তিনি কখনোই নিজেকে শতভাগ পুরুষ হিসেবে অনুভব করেননি। তবে তার বৈচিত্র্যময় জীবন তিনি উপভোগ করেছেন এবং যত দ্রুত সম্ভব তিনি আবারও লিঙ্গ পরিবর্তনের প্রক্রিয়া শুরু করবেন।
স্টেনিম বলেন, তিনি নিজে ও পিটারসন সন্তানের বেড়ে ওঠার ব্যাপারে খুবই সচেতন। তবে সন্তানের প্রথম বছরগুলোতে তারা সন্তানের লিঙ্গ পরিচয় নির্দিষ্ট করে দেবেন না। যখন সে বড় হবে তখন সে নিজেই ঠিক করবে, সে কী পরবে, কেমন চলাফেরা করবে এবং সে কোন লিঙ্গ পরিচয় বেছে নেবে।
>>>>অন্যরকম খবর -এর অন্যান্য টপিক
One thought on "মা হলেন ১৯ বছর বয়সী যুবক"