আমাদের সমাজে অধিকাংশ মানুষই মনে করেন
স্বামীর পায়ের নীচে স্ত্রীর বেহেশত।
কিন্তু বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে মূলত অন্য একটি
সহীহ হাদিস ‘মায়ের পায়ের নীচে সন্তানের
বেহেশত’ জানার পর। এখন প্রশ্ন হলো
‘স্বামীর পায়ের নীচে স্ত্রীর বেহেশত’
এটি কোন সহীহ হাদিস কি না? মূলত হাদিসের
গ্রন্থাবলিতে এই হাদিস সম্পর্কে কোনো তথ্য
পাওয়া যায় না। সুতরাং এটিকে হাদীস বলা যাবে না।
যদিও কিছু বর্ণনায় এর মর্মার্থ পাওয়া যায়। যেমন:
হাদীসের কিতাবে বর্ণিত হয়েছে- একবার এক
কোনো প্রয়োজনে। তখন রাসূল [সা] তাকে
জিজ্ঞেস করলেন, তোমার কি স্বামী আছে?
তিনি বললেন, জী, আছে। নবীজী বললেন,
তার সাথে তোমার আচরণ কেমন? সে বলল,
আমি যথাসাধ্য তার সাথে ভালো আচরণ করার
চেষ্টা করি। তখন নবীজী বললেন, হাঁ, তার
সাথে তোমার আচরণের বিষয়ে সজাগ থাকো,
কারণ সে তোমার জান্নাত বা তোমার জাহান্নাম।
(মুআত্তা মালেক, হাদীস ৯৫২)
এছাড়া রাসুল (সা.) নারীদেরকে স্বামীর আনুগত্য
করার প্রতি উদ্বুদ্ধ করেছেন এবং এর ফযীলতও
বর্ণনা করেছেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম বলেন, নারী যখন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ
ঠিকমত আদায় করবে, রমজানের রোজা রাখবে,
আনুগত্য করবে- তখন সে জান্নাতের যেই
দরজা দিয়ে ইচ্ছা প্রবেশ করতে পারবে।(সহীহ
ইবনে হিব্বান, হাদীস ৪১৬৩)
Sikar ace ekane….
স্বামীর পায়ের নিচে স্ত্রীর বেহেশত এটা মনগড়া কথা। স্ত্রীর কাছে আল্লাহর পরই তার স্বামীর স্থান। ইসলামে বলা হয়েছে আল্লাহ ছাড়া যদি অন্যকাওকো সেজদা করা যেত তাহলে সমস্ত স্ত্রীদেরকে তার স্বামীকে সেজদা করতে বলা হত।