বড় পর্দার ফোনের প্রতি আসক্তি রয়েছে খোদ নির্মাতার। তাইওয়ানের ইলেকট্রনিক পণ্য নির্মাতা আসুসের জন্যে এটা সত্য বলে গণ্য হতে পারে। অন্তত জেনফোন ৩ আলট্রা স্মার্টফোনটি দেখলে এ কথাই মনে হবে। ৬.৮ ইঞ্চি পর্দার ফোনটি হাতে নিলে অবশ্য অস্বস্তি লাগবে না। কারণ ইতিমধ্যে ট্যাব ব্যবহার করে অভ্যস্ত আপনি। অবাক লাগবে, যখন দেখবেন এটি হাতে বেশ এঁটে যায়।
এমনিতেই অন্যান্য ফ্ল্যাগশিপ ফোনগুলো ৫-৫.৫ ইঞ্চি পর্দার মধ্যেই নির্মাণ করা হচ্ছে। ৬ ইঞ্চি হলেই কেমন যেন বড় লাগে। তবুও এই বড় স্ক্রিনের স্মার্টফোন নির্মাণের পেছনে আসুসের উদ্দেশ্য তো রয়েছেই। একে হাইব্রিড ফোন বলা যেতে পারে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। স্মার্টফোন তো পাচ্ছেনই সঙ্গে ট্যাবের ভাব চলে আসছে। অর্থাৎ, এটি সঙ্গে থাকলে আর ট্যাব কিনতে হবে না। এ ছাড়া কেবল সাইজেই বড় নয়, কাজেই এটি একটি দানব।
আসুসের জেনফোন সিরিজের অন্যান্য মডেলগুলো এমন নয়। জেনফোন ৩ ভিন্ন কিছু। পেছনের মূল ক্যামেরাটি গোল নয়, চারকোণা করে বানানো হয়েছে। এটি মাঝে নয়, বরং বাম পাশের কোণায় দেওয়া হয়েছে। ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার দেওয়া হয়েছে সামনে, যেখানে সাধারণত হোম বাটন থাকে। পেছনে না দেওয়ার কারণটি এর সাইজ। সেখানে আঙুল নেওয়া অনেকের জন্যে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে।
৬.৮ ইঞ্চির ১০৮০পি ফুল-এইচডি পর্দা ঝকঝকে ছবি দেখায়। তবে ছোট স্ক্রিনের মতো এর শার্পনেস কম। এটি স্বাভাবিক বিষয়। প্রতি ইঞ্চিতে ৩২৪ পিক্সেল দেওয়া হয়েছে।
ভিডিও দেখার সময় ছবি ভেঙে যাওয়ার মতো দুঃখজনক বিষয় আর নেই। তবে ভাগ্য ভালো, আসুস ৪কে টিভি প্রসেসর ব্যবহার করেছে। এর ডেমো দেখে মুগ্ধ বিশেষজ্ঞরা।
এর আরেকটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো, দুটো দানবীয় স্পিকার যা উচ্চমাত্রার আওয়াজ দেয়। আর দেওয়া হয়েছে ডিটিএস ৭.১ হেডফোন।
অন্যান্য নজরকাড়া বৈশিষ্ট্য হলো :
১. কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৬৫২ অক্টা-কোর প্রসেসর।
২. ৪ জিবি র্যাম, আছে ১২৮ জিবি স্টোরেজ।
৪. পেছনের ক্যামেরাটি ২৩ মেগাপিক্সেল। এতে আছে ফোর-এক্সিস ওআইএস।
৫. তিনটি রংয়ে আসছে। গ্রে, সিলভার এবং পিঙ্ক।
এ মাসের মাঝামাঝিতেই তাইওয়ান, এশিয়া প্যাসিফিক, ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো এবং চীনের বাজারে ছাড়া হবে ফোনটি। এর ৪ জিবি র্যাম ও ৬৪ জিবি স্টোরেজ সংস্করণের দাম পড়বে ৪৭৯ ডলার। স্টোরেজ বৃদ্ধির সঙ্গে দামটাও বাড়বে।
সূত্র : সি নেট
.
My New Site
কতো দিন থাকবো এভাবে