অনলাইনের মাধ্যমে মার্কেটিং বলতে আমরা
সাধারণভাবে মনে করি ফেইসবুক, টুইটার, গুগল
প্লাসের মতো শীর্ষ সামাজিক যোগাযোগ
মাধ্যমকে মূলত বেশি ব্যবহার করা হয়। তবে
আবার এটাও সত্য অনলাইন মার্কেটাররা আরও কিছু উল্লেখযোগ্য টুল ব্যবহার করে থাকেন। এর
মধ্যে বর্তমানে ভিডিও একটু বেশি কার্যকরী
মাধ্যম বলে আখ্যায়িত করে হয়েছে । এ
ক্ষেত্রে আমরা খুব সহজেই বলতে পারি
ইউটিউব হচ্ছে সর্বসেরা।
অনলাইনের সবচেয়ে জনপ্রিয় হচ্ছে ইউটিউব
বলতে পারেন এখন ভিডিও দেখার এ
ওয়েবসাইটটি অনলাইন মার্কেটিংয়ের জন্য
অন্যতম একটি সুপার ডুপার মাধ্যম। এটিকে আবার
অনেকেই খুব দারুণভাবে ব্যবহার করছেন
তাদের বিভিন্ন মার্কেটিংয়ের কাজের জন্য।
অনলাইন মার্কেটপ্লেসেও এর রয়েছে
ব্যাপক চাহিদা।
সবচেয়ে জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস ওডেস্ক-
ইল্যান্সেও রয়েছে ভিডিও মার্কেটিং এর বিষয়ে
অনেক কাজ ঘন্টা ও ফিক্সড প্রাইজ ভিত্তিক
প্রজেক্ট। ৫ ডলার থেকে শুরু করে বলতে
পারেন হাজার ডলারেরও কাজ রয়েছে এই
আউটসোসিং মার্কেটপ্লেসে।
আপনার ধৈর্য ও পরিকল্পনা অনুযায়ী খুব সহজে
পেতে পারেন ভিডিও মার্কেটিংয়ের সফলতা ।
অর্জন করতে পারে একটা সফল ক্যারিয়ার, হতে
পারেন আপনিও এই সেক্টরে অভিজ্ঞ ও দক্ষ
একজন ফ্রিল্যান্সার আর এটা ভালো করেই বিশ্বাস
করেন ফ্রিল্যান্সিং আউটসোর্সিং কাজে অভিজ্ঞ
তরুণ-তরুণীরা।
ভিডিও মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্র হিসেবে বলতে
পারেন শব্দ থেকে ছবি সবচেয়ে বেশি
মূল্যবান। আর সেজন্য প্রচারণার ক্ষেত্রে
ছবির বেশ বড় একটা ভূমিকা রয়েছে। আর সেই
ছবিটি যদি ভিডিও হয় তাহলেতো আরও দ্রুত
পেতে পারেন আপনার পণ্যের প্রতি
গ্রাহকের নজর আকর্ষণ।
ভিডিও ব্যবহার করে যেকোনো পণ্য
বিজ্ঞাপন করাকেই আমরা সাধারণত বলে থাকি ভিডিও মার্কেটিং। আর ইউটিউবের মত জনপ্রিয় পাবলিক ভিডিও শেয়ারিং সোশ্যাল ওয়েবসাইটকে
সহজেই একটি অন্যতম কার্যকর অনলাইন
মার্কেটিং মাধ্যম হিসেবে যেকেহ চাইলে
ব্যবহার করতে পারেন।
১. দেখবেন আর্টিকেল পড়ার জন্য ধৈর্য্য
অনেকেরই নেই। আর সেইসব
ক্রেতাদেরকে লক্ষ্য করেই সাধারণত ভিডিও
মার্কেটিং করা হচ্ছে আজ। এর ফলে যেকোন
খুব সহজেই ব্যবহারকারী না পড়েও ভিডিও
দেখে পণ্য সম্পর্কে ভালো একটা ধারণা
পেতে পারেন। এতে এক সঙ্গে অনেক
গ্রাহকের দৃষ্টি আকর্ষণ করা খুবই সহজ। আর এর
মধ্যমে আমরা প্রচারণা কাজ বৃদ্ধি করতে পারি।
২. ভিডিও দেখার মাধ্যমে গ্রাহকরা খুব সহজে
পণ্যের যথাযত গুণাগুন সম্পর্কে জানতে পারে।
ব্যবহারকারীদের ভিডিও মার্কেটিং এর মধ্যে
দিয়ে ভিডিও দেখার কারনে পণ্যের গুণগতমান
সম্পর্কে আর কোন দ্বিধা থাকে না। যার ফলে
বর্তমানে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে ভিডিও
মার্কেটিং এর চাহিদা রয়েছে ব্যাপক।
৩. ভিডিও তৈরি করতে গেলে সাধারণত আপনাকে
একটু বেশি টাকা গুনতে হতে পারে কিন্ত
মোবাইল ডিভাইস ব্যবহার করার মাধ্যমে তা করা
যাচ্ছে খুব সহজেভাবেই এবং আমরা আমাদের
তৈরি করা ভিডিওগুলো বিনামূল্যে ইউটিউবে পাবলিশ করতে পারছি। যার ফলে নতুন নতুন
উদ্যোক্তারাও নিজের পণ্য খুব সহজেই প্রচারণা
চালাতে পারছে।
৪. ভিডিও মার্কেটিং করার ফলে গুগল সার্চ
ইঞ্জিনে ভালো একটা প্রভাব বিস্তার করা যাচ্ছে।
৫. মার্কেটপ্লেসেও দেখা যায় যে, ভিডিও
মার্কেটিংয়ের কাজের প্রতিযোগীতা
তুলনামূলকভাবে বেশ কম হওয়াই তাই ফ্রিল্যান্সাররা খুব সহজেই এই কাজ পেতে পারে ।
ক্ষেত্রে সাবধানতা
১. নিজের ক্যামেরায় অন্যর ভিডিও তোলে
নিজের ভিডিও বলে আপলোড করা উচিত নয়।
২. এমন একটি ভিডিও আপলোড করবেন, যেটির
দাবি কেউ করবে করতে পারবে না। কপি করে
ভিডিও আপলোড করা থেকে বিরত থাকুন। এতে
আপনার দুর্নাম বারবে এবং গ্রাহকরাও আপনার প্রতি একটি নেগেটিভ ধারণা করা শুরু করবে। আর যদি অন্য কেউ সেটির দাবি জানাই তাহলে কপিরাইট বিষয়ক সমস্যা হবে। সেটির দিকে অবশ্যই লক্ষ রাখতে হবে।
৩. ভিডিওয়ের মান চেষ্টা করবেন ভালো
থেকে আরও বেশি ভালো করার আর সাউন্ড
কোয়ালিটি হতে হবে অনেক বেশি মজবুত বা
ভালো মানের।
৪. ভালো মানের ভিডিও এবং বিট-রেট, ফ্রেম,
রেজুলেশন ইত্যাদি ভালো হতে হবে।
৫. [color=red]বিশেষ দৃষ্টিঃ[/color] অশ্লীল ও পর্ণোগ্রাফি ভিডিও আপলোড করা থেকে বিরত থাকুন।
৬. ভিডিও তৈরি করার আগে মাথায় রাখবেন ভাষার
ব্যবহার যা হতে হবে সহজ ও সুস্পষ্ট। যেন
সাধারণ ব্যবহারকারীরা তা খুব সহজেই বুঝতে
পারে।
ইউটিউবের ভিডিওতে ভিজিটর পাওয়ার জন্য
আপনাকে অবশ্যই সার্চ ইঞ্জিনকে টার্গেট
করতে হবে। কেননা বেশিরভাগ ভিজিটরের অংশ
আসে এই সার্চ ইঞ্জিন থেকে। আর সেজন্য আপনাকে সঠিকভাবে [u]ভিডিও টাইটেল, ডিসক্রিপশন এবং ভিডিও ট্যাগ[/u] দিতে হবে।
টাইটেল
এমন একটি ভিডিও টাইটেল দিতে হবে যা হবে
আকষর্নীয়, যাহাতে গ্রাহকের নজর সহজেই
কাঁড়তে পারে। ভিডিওটির টাইটেল এমন হবে
যাহাতে ভিজিটররা টাইটেল দেখেই বুঝতে
পারে ভিডিওটিতে কি আছে।
ডিসক্রিপশন
ডিসক্রিপশনের শুরুতেই থাকবে আপনার সাইটের
ইউআরএল। তারপর ভিডিওটির সম্পর্কে সংকিপ্ত
বর্ণণা দিতে হবে। মনে রাখবে এই ডিসক্রিপশনের মাধ্যমে ভিজিটর না পড়লেও এটি সত্য যে Google এবং ইউটিউবের সার্চে প্রভার বিস্তার করে। এটি হতে হবে ২৫০-৩০০ শব্দের মধ্যে ।
ট্যাগ প্রদান
ট্যাগ দেওয়া গুগলের জন্য অনেক বেশি
কার্যকরী একটি টুলস বলতে পারেন। এবং এই
ট্যাগ ইউটিউবে ঠিক তেমনি গুরত্বপূর্ণ।
টার্গেটেড ট্যাগের জন্য কম্পিটিটিভ
যেকোন ভিডিওকে টপকে দিয়ে প্রথম পাতায়
খুব সহজেই চলে আসার একটি সুবর্ণ সুযোগ
2 thoughts on "YouTube Web marketing সম্পর্কে কিছু জরুরী টিপস ।"