সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুক
তথ্য দিয়ে নিজের অজান্তেই
নিজেকে অনিরাপদ করে তুলছেন
অনেকেই। কিছু বিষয় ফেসবুকে শেয়ার
না করার পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ। এতে
কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়ানো সম্ভব
বলে মনে করেন তারা।
বুধবার (১৩ জুলাই) ঢাকা মেট্রোপলিটন
পুলিশের (ডিএমপি) অফিসিয়াল
ফেসবুক পেজে এ সংক্রান্ত একটি
পোস্ট দেওয়া হয়। এতে ফেসবুকে আটটি
বিষয় শেয়ার না করার পরামর্শ দেওয়া
হয়েছে। ডিএমপির পরামর্শগুলো তুলে
ধরা হলো:
১. জন্ম তারিখ : অনেকেই নিজের জন্ম
তারিখ ফেসবুকে উন্মুক্ত করে রাখেন।
এটি আপনার জন্য অনিরাপদ। কারণ তথ্য
প্রযুক্তির যুগে জন্ম তারিখ থেকেই
অনেক তথ্য সংগ্রহ করেন হ্যাকারা।
অথবা যেকোনো শত্রু এই বিশেষ দিনে
টার্গেট করে আপনার ওপর হামলা
চালাতে পারে। তাই ফেসবুকে জন্ম
তারিখ উন্মুক্ত রাখার বিষয়ে সবাইকে
সচেতন হতে হবে।
২. শিশু কোথায় পড়াশুনা করে : গত
কয়েক বছরের যৌন ও শিশু বিষয়ক
অপরাধগুলো গবেষণা করে ইংল্যান্ডের
শিশু বিষয়ক সংস্থা এনএসপিসিসি
জানায়, অধিকাংশ অভিভাবক
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে
অসচেতন ছিলেন। এজন্য অনাকাঙ্খিত
ঘটনাগুলো ঘটেছে।
অথচ অনেক অভিভাবক শিশুদের নিয়ে
অবেগাপ্লুত হয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার
করেন। সেইসঙ্গে স্ট্যাটাসে জানিয়ে
পড়ালেখা করছে। এটি শিশুর জন্য
নিরাপদ নয়। এতে শিশু অপহরণের আশঙ্কা
রয়েছে।
৩. শিশুর ছবি : অক্সফোর্ড ইন্টারনেট
ইনস্টিটিউশনের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক
বলেন, ‘শিশুদের নিয়ে যেকোনো তথ্য
পাবলিকের কাছে শেয়ার করার
বিষয়ে সবাইকে সতর্ক হতে হবে। যদিও
অনেকেই শিশুদের ছবি ফেসবুকে
শেয়ার করেন। এতে নিরাপত্তা ঝুঁকি
বাড়ে। দেখা গেল, শত্রুরা আপানার
শিশুকে চিনে রাখল। এরপর সুযোগ বুঝে
শিশুটিকে অপহরণ করল।’
৪. বর্তমান অবস্থান : যেখানে
সেখানে সেলফি তুলে লোকেশন
ট্যাগ করে দেওয়াটা অনিরাপদ। এর
মাধ্যমে যে কেউ আপনার সর্বশেষ
অবস্থান জানতে পারে। ফলে
নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়ে। দেখা গেল,
আপনার অবস্থান জেনেই শত্রুপক্ষ আপনার
ওপর হামলা করল।
৫. কখন এবং কোথায় যাচ্ছি : দেখা
যায়, আমরা কখন, কোথায় যাচ্ছি
কিংবা ভ্রমণে বের হচ্ছি, সে বিষয়
ফেসবুকে জানিয়ে দিই। এটা মোটেও
নিরাপদ নয়। এই বিষয়গুলো জেনে
আপনার প্রতিপক্ষ ক্ষতি করতে পারে।
হয়ত শত্রুপক্ষ আপনার এমন তথ্য পাওয়ার
অপেক্ষায় ছিল। সেটি জেনে আপনার
ওপর হামলা করতে পারে। ফেসবুকে এসব
বিষয় জানিয়ে দেওয়া নিজের
নিরাপত্তার জন্য হুমকি।
৬. নির্দিষ্ট স্থান ট্যাগ করা : অনেক সময়
ফেসবুকে নিজের অবস্থানের নির্দিষ্ট
স্থান ট্যাগ করে দেন অনেকেই। ওই সময়
আপনার প্রোফাইল যে ভিজিট করবে,
সে জানতে পারবে এখন আপনি
কোথায় আছেন। সেটি বাসায়
কিংবা অফিসে হোক। দেখা গেল,
এভাবে কেউ আপনার বাসা ও অফিসের
পরবর্তীতে সুযোগ বুঝে আপনার ক্ষতি
করল। আর এ জন্য ফেসবুকে লোকেশন ট্যাগ
করা মোটেও নিরাপদ নয়।
৭. ফোন বা মোবাইল নম্বর : অনেকেই
মোবাইল কিংবা ফোন নাম্বার
ফেসবুকে উন্মুক্ত করে রাখেন। যা
সম্পূর্ণভাবে অনিরাপদ। দেখা গেল,
শত্রুপক্ষ আপনার মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ
করে এবং সুযোগ বুঝে কাজ করে।
পাশাপাশি যে কেউ আপনার মোবাইল
নাম্বার সংগ্রহ করে, সময়ে-অসময়ে কল
দিয়ে বিরক্ত করার সুযোগ পায়।
মোবাইল বা ফোন নম্বর ব্যক্তিগত
গোপনীয় জিনিস। পরিচিত ব্যক্তিদের
ছাড়া কাউকে ফোন কিংবা মোবাইল
নম্বর দেওয়া নিরাপদ নয়।
৮. ক্রেডিট কার্ডের তথ্য : ক্রেডিট
কার্ড হচ্ছে গোপন ও স্পর্শকাতর বিষয়।
ক্রেডিট কার্ডের তথ্য সামাজিক
যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া
কোনোভাবেই নিরাপদ নয়। তবে
বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ক্রেডিট
কার্ডের তথ্য দেওয়ার প্রয়োজন হয়।
সেক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান কিংবা
ওয়েবসাইট বুঝেই দিতে হবে। যাতে
আপনার দেওয়া তথ্য তাদের কাছে
সুরক্ষিত থাকে।
সৌজন্যঃ TuneTrick.ml
10 thoughts on "ফেসবুকে যেসব তথ্য দিতে নিষেধ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ।"