আমাদের জীবনযাত্রায় ইন্টারনেট
প্রযুক্তি একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে
দাঁড়িয়েছে। অন্যান্য সব কিছুর মতো
প্রযুক্তি ও ইন্টারনেটেরও রয়েছে
বিভিন্ন খারাপ দিক। ইন্টারনেট ও
প্রযুক্তির খারাপ দিকগুলো থেকে
শিশু-কিশোরকে বিরত রাখার
প্রাথমিক দায়িত্ব অভিভাবকের।
বর্তমানের শিশু-কিশোরেরা
অনেকটাই প্রযুক্তিনির্ভর।
তবে এটা তেমন ক্ষতির কারণ নয়। এ
জন্য অভিভাবকেরা একটু সচেতন
হলেই পারেন। কোনো দায়িত্ববান
অভিভাবক তার গাড়ির চাবি
সন্তানের হাতে দিয়ে গাড়ি
চালানো শিখতে বলবেন না। কারণ
বুঝতেই পারছেন। ইন্টারনেটের
ক্ষেত্রেও এটি করা উচিত নয়।
গাড়ির মতো এক্ষেত্রেও
অভিভাবকদের দায়িত্বশীল এবং
বিচক্ষণ হতে হবে, শিশুদের মধ্যে
একটি নির্দিষ্ট মাত্রার পরিপক্বতা,
দায়িত্বশীলতা এবং ভালো
বিচারক্ষমতা সৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত
অভিভাবকদের তাদের সাথে
এ জন্য আজ থেকেই কোন কোন সাইট
এবং অ্যাপ আপনার সন্তান ব্যবহার
করছে তা জানুন এবং তাদের এমন
সামাজিক গেম খেলতে উৎসাহিত
করুন, যেখানে মতবিনিময়ের এবং
আলোচনার সুযোগ থাকবে। নতুন
প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে চলুন,
নিরাপদ ব্রাউজিং করুন এবং সে
সম্পর্কে আপনার সন্তানকেও জানান।
পুরনো ফিচারের বদলে নিজেও নতুন
ফিচার ব্যবহার করুন, আপনার
সন্তানকেও নতুন ফিচারের সুবিধা
ব্যাখ্যা করুন।
সন্তানকে শক্তিশালী পাসওয়ার্ড
তৈরিতে সহযোগিতা করুন এবং
তাকে পাসওয়ার্ডের গুরুত্ব সম্পর্কে
জানান। কিভাবে সহজেই
শক্তিশালী পাসওয়ার্ড তৈরি করা
সম্ভব তা-ও তাকে জানান। যদি
আপনি মনে করেন আপনার সন্তান
এখনো অনেক ছোট বা মৌলিক
ভালোমন্দ বোঝার মতো
জ্ঞানবুদ্ধি তার হয়নি, তাহলে
ফিল্টারিং সফটওয়্যার ব্যবহার করুন।
অ্যাপের ব্যবহার সীমাবদ্ধ করে
দিন।
আপনার সন্তান ভুল করলে সে
বিষয়টির খারাপ দিকটি সম্পর্কে
পাসওয়ার্ড-নিরাপদ ব্লগ ব্যবহার করুন,
নিজেও সচেতন থাকুন নানা বিষয়ে,
ব্যবহার করুন বিভিন্ন ইন্টারনেট টুল।
এ জিনিসগুলো মেনে চললে সন্তান
ভুল করলেও তার প্রভাব তেমন একটা
বড় হবে না। আপনার স্মার্ট
ডিভাইসগুলো সচেতনভাবে ব্যবহার
করুন।
আপনার স্মার্টফোন, কম্পিউটার,
ল্যাপটপ, ট্যাবলেট ইত্যাদি
ব্যবহারে পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন।
শিশু-কিশোরেরা পরিবার থেকেই
বেশির ভাগ বিষয় শিখে থাকে। আর
এ জন্য ভদ্রতা, সামাজিকতা প্রভৃতি
শেখানোর পাশাপাশি অনলাইন
প্রযুক্তির হাতেখড়িও আপনিই করে
দিন।
.post