প্রতিদিনের জীবনে স্মার্টফোন এখন অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়ে উঠেছে। কেনাকাটা থেকে শুরু করে সিনেমার টিকিট বুকিং বা ট্যাক্সি বুকিংও এখন বাড়িতে বসেই করা যায় স্মার্টফোনের সৌজন্যে। 😀
সেই ফোনেই আবার সুরক্ষিত থাকে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য, লেনদেনের হিসাব।
তাই সেই স্মার্টফোনকে কোনভাবেই অরক্ষিত রাখবেন না যেন। এই প্রতিবেদনে জেনে নিন কীভাবে আপনার প্রিয় স্মার্টফোনকে সুরক্ষিত রাখবেন।
১. লকস্ক্রিনে ব্যবহার করুন পিন বা প্যাটার্ন:- ফোনের স্ক্রিন কখনই ‘আনলকড’ অবস্থায় রাখবেন না। কারণ অন্য কেউ আপনার ফোনের গ্যালারি বা স্টোরেজ দেখুক, নিশ্চয় আপনি সেটা চাইবেন না। তাই ফোনের লকস্ক্রিনে অবশ্যই কোন পাসওয়ার্ড দিয়ে সুরক্ষিত রাখুন। দেখবেন, খুব সহজ পাসওয়ার্ড বা প্যাটার্ন ‘লক’ দেবেন না যেন। নামের পরে ১২৩ বা নিজের জন্মদিনের তারিখ দিয়ে পাসওয়ার্ড সেট করলে কিন্তু সেটা সহজেই খুলে ফেলা যায়।
- শুধু ফোনে নয়, দরকারি অ্যাপেও থাকুক পাসওয়ার্ড। হোয়াটসঅ্যাপ বা ফেসবুক মেসেঞ্জারের মতো নিয়মিত যে অ্যাপগুলি আপনি ব্যবহার করেন সেগুলিকেও পাসওয়ার্ড প্রোটেক্টেড রাখুন। ব্যাঙ্কিং বা পেমেন্ট সংক্রান্ত কয়েকটি অ্যাপে ইনবিল্ট পাসওয়ার্ড থাকে, অন্যথায় কোন থার্ড পার্টি অ্যাপ ব্যবহার করেও ‘লক’ করে রাখতে পারেন।
- গুগল প্লে স্টোরের মতো কোন বিশ্বাসযোগ্য সাইট থেকেই অ্যাপ ডাউনলোড করুন। অবশ্যই প্রাইভেসি পলিসি চেক করে অ্যাপ ডাউনলোড করুন। অনেক স্মার্টফোনে বিশ্বাসযোগ্য সাইট থেকে অ্যাপ ইনস্টল করা বন্ধ করা থাকে। অনেকেই সেটা ম্যানুয়ালি অন’ করে দেন। সেক্ষেত্রে কিন্তু অতিরিক্ত সতকর্তা অবলম্বন করুন।
- জ্ঞানের মতো শোনালেও অনেকেই অ্যাপ পারমিশন মন দিয়ে পড়েন না। কোনও অ্যাপ ডাউনলোড করে ‘রান’ করানোর আগে দেখুন অ্যাপটি আপনার ফোনে কোন কোন পারমিশন চাইছে।
- ডাউনলোড করতে ভুলবেন না: স্মার্টফোন হারিয়ে গেলে খুঁজে পেতে সাহায্য করবে অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস ম্যানেজার। তাই এই দরকারি অ্যাপটি নতুন স্মার্টফোনে ডাউনলোড করতে ভুলবেন না।
- গুগলের অ্যাপে টু স্টেপ ভেরিফিকেশন চালু করুন। এর ফলে আপনার জি-মেলের পাসওয়ার্ড জানলেও যতক্ষণ না ওটিপি আসছে, কেউ আপনার অ্যাকাউন্ট খুলতে
পারবেন না। অন্য কেউ আপনার গুগল অ্যাকাউন্ট হ্যাক করলে আপনার ফোনে মেসেজ চলে আসবে।
- সাধের স্মার্টফোনে একটি অ্যান্টি-]
ভাইরাস অ্যাপ রাখতে ভুলবেন না যেন।
গুগলে অনেক ফ্রি অ্যান্টি-ভাইরাস অ্যাপ
রয়েছে। পকেটে পয়সা থাকলে
বাজার থেকে যে কোনও একটি
স্মার্টফোন ফ্রেন্ডলি অ্যান্টি-ভাইরাস
অ্যাপও কিনে ফেলতে পারেন।
- পাবলিক ওয়াই-ফাই কখনই ১০০% নিরাপদ
নয়। তাই রেল স্টেশনে বা শপিং মলে
পাবলিক ওয়াই-ফাই এড়িয়ে চলুন।
প্রয়োজন মিটে গেলে ওয়াই-ফাই
‘অফ’ করতে ভুলবেন না।
- ওয়াই-ফাইয়ের মতোই ব্লু-টুথও কাজ
মিটে গেলে অফ করে দিন। কারণ,
ব্লু-টুথের মাধ্যমেও আপনি
হ্যাকারদের টার্গেট হতে পারেন।
- ভুলেও স্মার্টফোনকে ‘রুট’
করবেন না। রুটিংয়ের কয়েকটি লাভ
থাকলেও এর ফলে আপনার
স্মার্টফোনে ম্যালওয়্যার ঢুকতে
পারে।
9 thoughts on "আপনার প্রিয় মোবাইল টি সুরক্ষিত রাখতে জেনে নিন অভিনব মাস্টার টিপ্স"