সামর্থ্যবান মুসলমানের জন্য জীবনে একবার হজ পালন অবশ্যকর্তব্য। আমরা সব সময় চর্চা করি না বলে হজ পালন সম্পর্কে অনেক কিছুই জানা থাকে না। হজের শুদ্ধ পদ্ধতি, হজের প্রস্তুতি এসব বিষয়ে জানা আমাদের কর্তব্য। এ লক্ষ্যেই এনটিভির বিশেষ অনুষ্ঠান ‘হজ ও উমরা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে হজসহ দর্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ।
জুমাবারের সরাসরি সম্প্রচারিত হজ ও উমরা অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে কোরবানি দেওয়ার আগে পর্যন্ত চুল, নখ কাটা যাবে কি না, সে সম্পর্কে চট্টগ্রাম থেকে টেলিফোনে জানতে চেয়েছেন নাজিম। অনুলিখনে ছিলেন জহুরা সুলতানা।
প্রশ্ন : আমাদের ইমাম সাহেব বলেন যে জিলহজ মাসের চাঁদ ওঠার পর থেকে যে কোরবানি দেবে তাঁর চুল, নখ এ জাতীয় কিছুই কাটা যাবে না। যদি চুল-নখ কাটি, তাহলে নাকি গুনাহ হবে। এটা কতটুকু সহিহ হাদিস সম্মত?
উত্তর : হ্যাঁ, আপনি ইমাম সাহেবের কাছ থেকে যে কথাটি শুনেছেন, সেটি শুদ্ধ। এই মর্মে রাসূল (সা.)-এর সহিহ হাদিস সাব্যস্ত হয়েছে। রাসূল (সা.) স্পষ্টভাবে নিষেধ করেছেন।
এটি শুধু ওই ব্যক্তির জন্য, যে কোরবানি করবে। পরিবারের সব সদস্য নয়। যাঁদের পক্ষ থেকে কোরবানি করা হচ্ছে তাঁরা নন, শুধু যে কোরবানি করবে, অর্থাৎ যে কর্তা তিনিই শুধু এই কাজটি করবেন। একেবারে কোরবানি করা পর্যন্ত তিনি চুল, নখ এগুলো কাটবেন না। যখন কোরবানি করা হবে তখন তিনি চুল, নখ কাটবেন। এটি রাসূল (সা.)-এর সুন্নাহ। এই মাস’আলার মধ্যে আলেমদের দ্বিমত আছে। একদল ওলামায়ে কেরাম এটাকে ওয়াজিবও বলেছেন। সুতরাং আমরা এটাকে সুন্নাহ হিসেবে আখ্যায়িত করলেও এর মধ্যে তাহকিক রয়েছে।
ফলে আল্লাহর নবী (সা.) নিষেধ করেছেন। রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘সে তাঁর নখগুলো কাটবে না এবং চুলগুলো সে ছোট করবে না।’ এখান থেকে যেটা বোঝা যায় সেটা হলো, রাসূল (সা.) এটা নিষেধ করেছেন। তাই গুনাহ হবে, এ কথাটাও সে সঠিক বলেছেন।
সূত্রঃএনটিভি
আরে আমরা যাই লিখি,তাই শুধু বলবেন কপি,ভালো না,চলে না,ডাউনলোড হয় না,শুনি না,বুঝি না।
আসলে আপনারা কি জন্য পোষ্ট গুলো করা হয় তা না বুঝে শুধু উলটা পালটা কমেন্ট করেন।
এতে করে ভিউয়ার এর যেমন মন নষ্ট হয়,তামন টিউনার ও পোষ্ট করার উৎসাহ হারিয়ে ফেলেন।