Hello বন্ধুরা। আশা করি সকলে ভালো আছেন। আমি Al Imran। আমি TrickBD তে Youtube নিয়ে পোস্ট করে থাকি।
আগে আমি একটা পোস্ট করছি সেটি হচ্ছে Part – 1। আর এটি হচ্ছে Part 2। সম্পূর্ণ পড়বেন না হলে বুঝবেন না। আমি সকল বিষয় পড়ে পোস্টের মাধ্যমপ অনেক বড় করে করব। আগে এইখান থেকে কিছু শিখে নিন Youtube সম্পর্কে।
শুরু করি চলুনঃ
সাবস্ক্রাইবার (Subscriber) বাড়ানোর উপায়টিপস্: সাবস্ক্রাইবার বাড়ানোর জন্য প্রথম কথাটা হচ্ছে আপনার ভিডিওগুলো ভালো এবং দরকারী হতে হবে। তাহলে মানুষ আপনার চ্যানেলের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠবে। আর কিছু বিষয় মেনে চলুন –
১। YouTube Channel Art (প্রোফাইল পিকচার বলতে পারেন) টা যেনো আকর্ষণীয় হয় এবং আপনার চ্যানেলকে ভালো ভাবে Represent করে।
২। YouTube Banner (চ্যানেলের কভার ফটো বলতে পারেন) টা কে সুন্দর করে বানিয়ে নিন।
৩। Channel Watermark (এটা হচ্ছে ভিডিও চলাকালীন সময়ে ভিডিওতে ডানে নিচের দিকে চ্যানেলটাতে সাবস্ক্রাইব করার বাটন) যোগ করুন। Creator Studio তে Channel ট্যাবের Branding অপশনে গিয়ে Channel Watermark হিসেবে আপনার Channel Art (প্রোফাইল পিকচার বলতে পারেন) যোগ করে দিন।
৪। Featured Playlist (ভিডিওর উপরে Clickable Pop up হিসেবে আসবে) এবং Channel Ads (আপনার চ্যানেলের Representative ভিডিও) যোগ করে দিন। আর সেটা করতে Channel ট্যাবের Featured Content অপশনে যান।
ভিউ (View) বাড়ানোর উপায়টিপস্: প্রথম কথাটা আগের মতই। ভালো এবং দরকারী অথবা মজার কন্টেন্ট হলে মানুষ আপনার ভিডিও দেখবেই। আর কিছু বিষয় মেনে চললে সহজেই ভিউ পাওয়া যায়। যেমন–
১। নিয়মিত ভিডিও আপলোড করুন।
২। আপনার আপলোড করা প্রতিটি ভিডিও বিভিন্ন ফ্রি সোসাল সাইটগুলো যেমন ফেইসবুক, টুইটার, গুগল প্লাস, ব্লগার ইত্যাদিতে শেয়ার করুন।
৩। ভিডিওতে Custom Thumbnail, End Screen ইত্যাদি যোগ করে দিন (Creator Studio তে Video Manager ট্যাবের Video অপশনে গিয়ে আপনি ভিডিওতে এসব বিষয় এডিট করতে পারবেন)।
৪। একই জাতীয় ভিডিওগুলো প্লেলিস্ট আকারে সেভ করে রাখুন।
৫। আপনার সকল ভিডিওতে ৫ সেকেন্ডের একটা ইন্ট্রো দিয়ে দিন।
৬। আপনার ভিউয়ারদের লাইক করতে বলুন। কারন ভিডিওতে লাইক ইউটিউবকে ইনফর্ম করে যে আপনার ভিডিও পপুলার, তখন ইউটিউব সার্চ এ এটি প্রাধান্য পায়।
৭। আপনার ভিডিওতে করা কমেন্ট সবসময় চেক করুন এবং উত্তর দিন। এতে যেমন আপনার ভিউয়ার এবং সাবস্ক্রাইবাররা বুঝবে আপনি তাদের প্রতি আন্তরিক, তেমনি ইউটিউব ও বুঝবে যে আপনি আপনার ভিউয়ারদের প্রাধান্য দেন।
Youtube Channel Layout Customize করার পদ্ধতিটিপস্: আপনার চ্যানেল Layout টা নিজের মত করে সাজিয়ে নিতে আপনার চ্যানেলে গিয়ে সাবস্ক্রাইব বাটনের পাশে গিয়ার আইকনে ক্লিক করুন। তারপর Channel Settings অপশনগুলো দেখতে পাবেন। চ্যানেল হোমপেজে আপনি Channel Intro, Uploads, Popular Uploads, Playlists ইত্যাদি অপশন যোগ করতে পারবেন।
কপিরাইট (Copyright) ফ্রি অডিও ডাউনলোড করার উপায়টিপস্: কপিরাইট ফ্রি অডিওর জন্য আপনাকে Creator Studio তে Create ট্যাবের Audio Library অপশনে যেতে হবে। ইচ্ছেমত একটা অডিও চালু করুন। দেখবেন, এখানে কিছু অডিও আছে যেগুলো একদম ফ্রি। আবার কিছু অডিও আছে যেগুলো আপনার ভিডিওতে যোগ করলে ভিডিও ডেস্ক্রিপশনে তাদেরকে অডিওটার ক্রেডিট দিতে হবে। আপনি যেকোনো টা ব্যবহার করতে পারেন।
Youtube SEO টিপস্ ও ট্রিকস্টিপস্:
১। Youtube SEO বলতে আপনার চ্যানেল এবং ভিডিও সঙ্ক্রান্ত গোটা ব্যাপারটাকেই বুঝায়।
২। ভিডিও আপলোড করার আগে যে জাতীয় ভিডিও বানাচ্ছেন সে জাতীয় ভিডিও দিয়ে ইউটিউবে সার্চ দিন। ভিডিওগুলোর টাইটেল আর ডেস্ক্রিপশন দেখে দেখে কী-ওয়ার্ড সংগ্রহ করুন। তারপর আপনার ভিডিও আপলোডের সময় Video Title, Description আর Tag হিসেবে ওই কী-ওয়ার্ড গুলো ব্যবহার করুন। এতে গুগল সার্চ ইঞ্জিনে আপনার ভিডিও প্রথম র্যাঙ্কে আসার সম্ভাবনা আছে।
৩। আপনি আপনার ভিডিওটা খুঁজে পেতে কি দিয়ে সার্চ করতেন সেগুলোকে কী-ওয়ার্ড হিসেবে ট্যাগে যোগ করে দিন। ভিডিও ডেস্ক্রিপশন কিন্তু ট্যাগের মত নয় বরং বাক্য আকারে লিখতে হয়। আর কী-ওয়ার্ডগুলো বাক্যের মাঝে দিয়ে দিন।
৪। আপনার চ্যানেলের নামটা প্রতিটি ভিডিওর ট্যাগে যোগ করে দিন।
৫। Subtitle, Custom thumbnail, Channel intro, Playlist এ বিষয়গুলোও খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
প্রয়োজনীয় সফট্ওয়ার লিস্টটিপস্: ফ্রি, সাইজে অনেক ছোট এবং কার্যকরী সফট্ওয়ারের লিস্ট –
১। আপনার রেকর্ড করা অডিও থেকে নয়েজ (Noise) অপসারণ করার জন্য একটা ভালো মানের সফট্ওয়ার হচ্ছে audiacity (ডাউনলোড লিঙ্কঃ Download
২। আপনার ভিডিওতে Custom thumbnail, Channel art, YouTube banner ইত্যাদি ফটো সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ আপনি ফটোশপে করে নিতে পারেন। আর তা না চাইলে অনলাইনে অনেক টুল্স (Tools) পাবেন। যেমন fotor.com এ গিয়ে ইচ্ছে মত ফটো তৈরি এবং এডিট করে ডাউনলোড করে নিতে পারেন। (লিঙ্কঃ Download
৩। ভিডিও এডিটিং (যেমন ভিডিও কেটে জোড়া দেওয়া, ভিডিওতে টেক্সট যোগ করা, অনেক গুলো অডিও জোড়া দেওয়া) এর জন্য সহজ আর ছোট একটা সফট্ওয়ার হচ্ছে VideoPad (ডাউনলোড লিঙ্কঃ Video Pad।
৪। ভিডিও file কে অডিও হিসেবে সেভ করার জন্য Any Video Converter (ডাউনলোড লিঙ্কঃ Video Converter ব্যবহার করতে পারেন।
৫। কম্পিউটার স্ক্রিন রেকর্ড করার জন্য CamStudio ব্যবহার করতে পারেন। (ডাউনলোড লিঙ্কঃDownload Now। তবে ভিডিও সাইজ কমানোর জন্য xvid codec ডাউনলোড করে ইন্সটল করে নিবেন।
ইউটিউব থেকে আয় করার ৫ উপায়টিপস্:
১। ইউটিউব থেকে আয় করুন অ্যাডসেন্স দিয়েঃ এটাই ইউটিউব থেকে আয় করার সবথেকে জনপ্রিয় এবং বড় মাধ্যম। সেরা আর্নাররা শুধুমাত্র ইউটিউব অ্যাডসেন্স ব্যাবহার করে মাসে কয়েক লক্ষ ডলার পর্যন্ত আয় করে থেকে!
২। নিজের পণ্য বিক্রি করেঃ ধরুন আপনার নিজের একটা ফ্যাশন হাউজ আছে। এখন আপনি যদি নতুন ফ্যাশন ট্রেন্ডজ সম্পর্কে কিছু ভিডিও তৈরি করেন এবং সাথে আপনার প্রোডাক্ট সম্পর্কে কিছুটা রিভিও যুক্ত করে আপলোড করেন তবে ইউটিউব হতে পারে আপনার নিজের পণ্য মার্কেটিং এর সবথেকে বড় মাধ্যম।
৩। এফিলিয়েট প্রোডাক্ট এর রিভিউ করেঃ এই ক্ষেত্রে মানুষ আমাজন বা অন্য কোন এফিলিয়েট নেটওয়ার্ক এর পণ্যের এফিলিয়েশন করে থাকে। সাধারনত নিজের এফিলিয়েট লিঙ্ক ভিডিও এর ডেসক্রিপশনে দিয়ে দেওয়া হয় এবং ভিডিও তে সেই প্রোডাক্ট সম্পর্কে রিভিও প্রদান করা হয়। সেই ভিডিও থাকাকালীন কেউ যদি ঐ লিঙ্কের মাধ্যমে গিয়ে কোন পণ্য ক্রয় করে থাকে তবে এফিলিয়েটর কমিশন পায়।
৪। ইউটিউব এর পার্টনার হোনঃ পার্টনাররা ভাড়ার ভিত্তিতে ভিডিও অভারলেয় করে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে এবং আয় ইউটিউব এর সাথে ভাগাভাগি করে নেয়।
৫। আপনার ভিডিওর ডেসক্রিপশনে লিঙ্ক বিক্রি করুনঃ ধরুন যেকোনো বিষয়ের উপর আপনার একটা ভিডিও ইউটিউব এ প্রথম দিকে আছে। এই মুহূর্তে এই ধরনের প্রোডাক্ট যাদের আছে আপনি চাইলেই তাদের কাছে এককালীন অথবা দীর্ঘমেয়াদী শর্তে একটা লিঙ্ক বিক্রি করতে পারেন যা আপনার ভিডিও এর ডেসক্রিপশনে থাকবে। কয়েকটা ভিডিও তে এসইও করেই আপনি এইভাবে লিঙ্ক বিক্রি শুরু করতে পারেন।
আয় বাড়িয়ে নিন RPM বাড়িয়ে।টিপস্: RPM অর্থ হচ্ছে Revenue per mile। এটার মানে হলো প্রতি ১০০০ ভিউয়ের জন্য অ্যাড কম্পানিগুলো কত ডলার দিবে। RPM বাড়ানোর জন্য আপনার ভিডিওর ট্যাগ অপশনে video related ঐসব ট্যাগ বেশি করে দিতে হবে যাদের RPM বেশি। ভিডিওর সাথে সম্পর্কিত নয় কিন্ত RPM বেশি এরকম ট্যাগ দিলে কিন্তু হবে না।
বেশি RPM এর ট্যাগগুলো খুঁজে পেতে প্রথমে Adwords এ লগইন করুন। তারপর Tools ট্যাবের Keyword Planner অপশনে যান। অতঃপর Search for new keywords using a phrase, website or category অপশনে ক্লিক করে ইচ্ছেমত কী-ওয়ার্ড দিয়ে সার্চ করুন। যেমন –
tutorial কী-ওয়ার্ড দিয়ে সার্চ করলে দেখা যাবে online programming tutorial কী-ওয়ার্ডটির বিড অনেক বেশি।
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। কোন Screen Short দিতেছি না। কারণ অনেক বিষয় নিয়ে একসাথে Screen Short দেওয়া অনেক বড় এবং কস্টকর হয়ে যাবে ।
আমি আপনাদের জন্য Tutorial এবং Trickbd তে পোস্ট করব সকল বিষয় নিয়ে।
সকল বিষয় পোস্টের মাধ্যমে বুঝিয়ে দিব। এই পোস্ট করলাম আপনাদের কাজ করার সুবিধার্থে। ধন্যবাদ।
কোন বিষয় দরকার হলে কমেন্ট এ বলুন,,,,,,, সেই বিষয় নিয়ে অবশ্যই পোস্ট করব।
চ্যানেলটি ডিলিট করে দিসি।
আবার অই ফোন দিয়া আরেক জি মেইল দিয়া চ্যানেল খুলে এডসেন্স এ আপলাইড করছি।।
পরবতী কোনো সমস্যা হবে??
প্লিয সমাধান?
কিন্তু ভালো পোষ্ট।
চালিয়ে যান পাশে অাছি।
keep it up…
Apni post ta kore onek help korlen new Youtuber der ….
Apni chaile “Youtube A2Z” nia video make kore publish korte paren….
And very very thanks for a usefull post…