আমরা সবাই ফেসবুক ব্যবহারটা জানি। এখানের আর কিছু বিষয় জেনে নিলে ফেসবুক থেকে মাসে ভাল একটা ইনকাম করা সম্ভব।
আগে জেনে নেই, ফেসবুক ব্যবহার করে কিভাবে ইনকাম করতে পারবেন?
১) এফ কমার্স: ফেসবুকে পেজ খুলেই বাংলাদেশে ইকমার্স ব্যবসা করা যায়। যেটা ইদানীং সবাই ফেসবুকে দেখছেন। যারা এভাবে কাজ করছেন, যারা এভাবে কাজ করছেন, তাদের মাসিক আয় হচ্ছে ১০,০০০টাকা – ৩০,০০০টাকা। কারও কারও ভাল ইনভেস্ট থাকার কারনে আরও বেশিও ইনকাম হচ্ছে। সেটা ১লাখ-২লাখও হতে পারে। প্রোডাক্ট: শাড়ি, মেয়েদের ড্রেস, গিফট আইটেম ইত্যাদি চ্যালেঞ্জ: ছোট ইনভেস্ট, প্রোডাক্ট সিলেক্ট, প্রোডাক্ট ডেলিভারি, মার্কেটিং
২) টি-শার্ট অ্যাফিলিয়েশন: বর্তমানে বাংলাদেশে অনেক জনপ্রিয় ইনকাম সোর্স হচ্ছে টিসপ্রিং , যেটা হচ্ছে টি-শার্ট অ্যাফিলিয়েশন। এ অ্যাফিলিয়েশনের জন্য শুধুমাত্র ফেসবুককেই ব্যবহার করা হয়। এভাবে মাসে ১০,০০০টাকা- ১লাখ টাকা ইনকাম করা সম্ভব। প্রোডাক্ট: টি-শার্ট, মগ, হুডি ইত্যাদি চ্যালেঞ্জ: নিশ সিলেক্ট, অডিয়েন্স টার্গেট, মার্কেটিং
৩) হোস্টিং অ্যাফিলিয়েশন: হোস্টিং অ্যাফিলিয়েশনের জন্য শুধুমাত্র ফেসবুক মার্কেটিং করে ইনকাম করা যায়। ইনকাম কয়টা সেল করেছেন, সেই অনুযায়ি বাড়তে থাকে। ইনকাম মাসে ৫০০০টাকা – ৮০,০০০টাকা হতে পারে। তবে হোস্টিং অ্যাফিলিয়েশনকে ক্যারিয়ার হিসেবে নেওয়া সম্ভব না। কারণ নিয়মিত ইনকাম সম্ভব হবেনা। প্রোডাক্ট: বিভিন্ন কোম্পানীর হোস্টিং চ্যালেঞ্জ: কনটেন্ট ডেভেলপ, সম্ভাব্য কাস্টমার খুজে বের করা, মার্কেটিং
অনলাইনে ইনকামের অন্যতম মাধ্যম ফেসবুক
৪) লোকাল ব্যবসা: লোকাল যেকোন ব্যবসার প্রোফিট বৃদ্ধির জন্য এখন ফেসবুক মার্কেটিংকে সবাই ব্যবহার করছে। রেস্টুরেন্ট ব্যবসা, ফ্যাশন হাউজ থেকে শুরু করে আরও অন্যান্য ব্যবসাতেও ফেসবুকে মার্কেটিং করেই ইনকাম বৃদ্ধি করতে হয়। প্রোডাক্ট: সার্ভিস, ট্রেনিং, প্রোডাক্ট ইত্যাদি চ্যালেঞ্জ: ইনভেস্ট, প্রোডাক্ট বাছাই, দক্ষ ব্যক্তি, মার্কেটিং
৫) লোকাল চাকুরি: যে কোন ব্যবসাতে যেহেতু ফেসবুক মার্কেটিং এখন বড় একটি ফ্যাক্ট। সুতরাং প্রতিটা প্রতিষ্ঠানে এ কাজটি করার জন্য ফেসবুক মার্কেটিংয়ের এক্সপার্ট লোকদের চাকুরির সুযোগ তৈরি হয়েছে। আমি এখন পযন্ত এ সেক্টরে এক্সপার্ট যে কয়জনকে চাকুরির ব্যবস্থা করে দিয়েছি, তাদের বেতন ১২,০০০টাকা -৪০,০০০টাকা পযন্ত ছিল। প্রোডাক্ট: সার্ভিস, ট্রেনিং, প্রোডাক্ট ইত্যাদি চ্যালেঞ্জ: রিয়েল কাজের অভিজ্ঞতা, ব্যবসাতে প্রফিট বৃদ্ধি করা
৭) নিজের দক্ষতাকে ব্রান্ডিং: আপনি যদি নিজেকে দক্ষ মনে করেন, কিন্তু কোথাও তারপরও চাকুরি হচ্ছেনা, তাহলে সেক্ষেত্রে বলব, আপনি আপনার দক্ষতাকে ফেসবুকের মাধ্যমে প্রমোশন চালান। তাহলে ফেসবুকের মাধ্যমেই অনেকে দক্ষতার ব্যপারে জানতে পারলে আপনার কাজের অভাব হবেনা। কাজ আপনাকে খুজে বের করবে। তখন কাজ করে শেষ করতে পারবেননা। প্রোডাক্ট: নিজের দক্ষতা চ্যালেঞ্জ: কনটেন্ট ডেভেলপ, দক্ষতা সম্পর্কিত গ্রুপগুলোতে অ্যাক্টিভ থাকা, মার্কেটিং
৮) ফাইভারের গিগ সেল বৃদ্ধি: ফাইভারে গিগের যত বেশি প্রমোশন চালাবেন, ততই গিগ সেল বৃদ্ধি পাবে। কিন্তু ফেসবুক প্রমোশন চালাতেও সঠিক জ্ঞান থাকতে হবে। সঠিক জ্ঞান ছাড়া গিগ প্রমোশন চালালে ফাইভারে ইনকাম বাড়বে, উল্টো ফাইভার অ্যাকাউন্টটাই নষ্ট হয়ে যাবে। প্রোডাক্ট: ফাইভার গিগ চ্যালেঞ্জ: অডিয়েন্স টার্গেট করতে পারা, কনটেন্ট ডেভেলপ করতে পারা, মার্কেটিং
৯) মার্কেটপ্লেসে কাজ: ফেসবুক যেহেতু মার্কেটিংয়ের অনেক বড় প্লাটফর্ম, সেহেতু মার্কেটপ্লেসে এখন প্রচুর কাজ পাওয়া যাচ্ছে এ সম্পর্কিত। মাসে ৫০০০-৫০,০০০টাকা ইনকাম করতে পারেন। প্রোডাক্ট: বায়ার রিকোয়েরমেন্ট অনুযায়ি সার্ভিস চ্যালেঞ্জ: কাজের পূর্ব অভিজ্ঞতার প্রমান, বায়ার কনভেন্স করতে পারা। ফেসবুকের মাধ্যমে ইনকাম করবেন বলেছি, কিন্তু ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিতে পারেন মানে আপনি ফেসবুক মার্কেটার হয়ে গেছেন মনে করার দরকার নাই।
নিচের দক্ষতাগুলো ফেসবুক মার্কেটিংয়ের দক্ষতা না:
১) ফেসবুকে স্ট্যাটাসে কিছু লিখতে পারা
২) অন্যের পোস্টে কমেন্ট করতে পারা
৩) ভাল লেখালেখি করতে পারা
৪) অন্য গ্রুপে পোস্ট করতে পারা
৫) ফেকলাইক বৃদ্ধি করতে পারা
৬) অন্যের গ্রুপে কিংবা অন্যের পোস্টে গিয়ে লিংক শেয়ার করা
আজ এখানেই। পার্ট ২ তে আলোচনা করবো কি কি দক্ষতা লাগবে।।
#ক্যারিয়ারসোরস থেকে চুরি করেছেন।