আসসালামু আলাইকুম
বন্ধুরা আমরা জানি যে হাজার হাজার বছর আগে বিভিন্ন রকমের পশু-পাখি ও প্রাণীর সৃষ্টি হয়েছে। তারমধ্যে কিছু পশু প্রতিকূলতা অতিক্রম করে আজও বেঁচে আছে, কিন্তু দূর্ভাগ্যবসত কিছু প্রাণীর অস্তিত্ব এই পৃথিবী থেকে মুছে গেছে। কিন্তু আধুনিক বিজ্ঞান খুব দ্রুত এই লুপ্ত হয়ে যাওয়া প্রাণীদেরকে আবার এই পৃথিবীতে নিয়ে আসবে। আজ আপনাদের সাথে এমনই কিছু প্রাণীর সাথে পরিচয় করাব যাদের অস্তিত্ব এখন আর এই পৃথিবীতে নেই। কিন্তু আধুনিক বিজ্ঞান এদেরকে আবার পুণর্জ্জীবিত করবে। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে শুরু করি….
১. সাইবেরিয়ান ইউনিকর্ন
কথিত আছে প্রাচিনযুগে সত্যিই ইউনিকর্নের অস্তিত্ব ছিল। ইউনিকর্ন অর্থাৎ, সাদা ঘোড়ার মতো মাথায় শিং বিশিষ্ট একটি প্রাণী। বলা হয় ইউনিকর্নের শিংয়ের কিছু পাওয়ার ছিল, যদিও এইগুলোর কোনো সঠিক প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ঠিক এই রকমই সাইবেরিয়ান ইউনিকর্নের অস্তিতব সত্যিই ছিল। এই প্রাণীটি কিছুটা গন্ডারের মতো দেখতে ছিল,যার নাকের ডগায় শিং ছিল। বিজ্ঞানীরা এই পশুর হাড় ও জীবাশ্ন আবিষ্কার করেছেন। প্রায় ২৬ বছর আগে এই প্রাণীটি বিলুপ্ত হয়ে যায়।
বিজ্ঞানীরা এই প্রাণীটির ডিএনএ ব্যবহার করে জেনেটিক ইন্জীনিয়ারিং এর মাধ্যমে এটিকে পূণরূদ্বার করার চেষ্টা করে চলেছেন।
২. গ্রাউন্ড স্লথ
গ্রাউন্ড স্লথ এর আকার অনেক বড় ছিল। এই প্রাণীটি প্রায় ৬ মিটার লম্বা ছিল। প্রায় ৮ হাজার বছর আগে এটির অস্তিত্ব মুছে যায়। সাউথ আমেরিকাতে এই প্রাণিটির শেষ অস্তিত্ব ছিল, ধীরে ধীরে সাউথ আমেরিকা থেকেও এটি বিলুপ্ত হয়ে যায়। এই প্রাণীটি খুবই ধীরগতি সম্পন্ন ছিল।
গ্রাউন্ড স্লথের দেহবশেষ এবং চামড়ার সাহায্যে ডিএনএ এক্সট্রাকসনের কাজ চলছে। কিন্তু সমস্যা হলো এখনকার স্লথের আকার গ্রাউন্ড স্লথের তুলনায় খুব ছোট হওয়ায় নতুনভাবে গ্রাউন্ড স্লথ তৈরী করার জন্য উপযুক্ত স্লথ খুঁজে পাওয়া কঠিন ব্যপার।
৩. ম্যামথ
প্রাচিনকালের প্রাণীদের কথা বললেই মেম্মথ এর কথা সবার প্রথমে আসে। পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে মেম্মথের দেহাবশেষ পাওয়া গেছে।
বিজ্ঞানীরা এই দেহাবশেষ থেকে ডিএনএ এক্সট্রাক করার কাজ করে চলেছেন। বিভিন্ন ল্যাবরেটরিতে এগুলোকে নিয়ে পরীক্ষা করা হচ্ছে। আফ্রিকান ফিমেল হাতির সাথে এই মেম্মথের নতুনভাবে জন্ম হবে। দীর্ঘ ২০ বছর ধরে বিজ্ঞানীরা এটি উপর পরীক্ষা চালাচ্ছেন। বিজ্ঞানীদের মতে মেম্মথের পূণরূদ্বারের সাথে কিছু এমন প্রজাপতির উদ্বীদেরও পুণরূদ্বার সম্বভ হবে যগুলো মেম্মথের সাথেই বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল।
৪. ছেভার টুট কেট
বিভিন্ন হলিউড মুভিতে আমরা এই প্রাণীটিকে দেখে এসেছি। এটি বিশালাকার এবং বেড়াল প্রজাতির একটি প্রাণী, যার সামনের দু’টি দাঁত আকারে অনেক বড় ছিল। তাই এ’টিকে দেখে অনেক হিংস্র বলে মনে হয়।
এই প্রাণীটি প্রায় ১১ হাজার বছর আগে বিলুপ্ত হয়ে যায়। এখনকার বাঘ এবং সিংহের সাথে এ’টির ডিএনএ যুক্ত করে এ’টিকে আবার পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে।
এইরকম আরো সুন্দর সুন্দর পোস্ট পেতে আমার ওয়েভসাইটটিতে ঘুরে আসুন
কিছু বিলুপ্ত প্রাণী যাদের শীঘ্রই পুনজ্জীবিত করা হবে (পর্ব-২)
আসাকরি পোস্টটি আপনাদের ভালো লেগেছে। আর ভালো লাগলে অবশ্যই লাইক দিতে ভুলবেন না। তাহলে আজকে এই পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন,সুস্হ্য থাকবেন। আল্লাহ্ হাফেজ…
এখানে তো ৪ টা!