আবিস্কার!
কত কিছু যে আবিস্কৃত হয়েছে তার কোন হিসাব নেই। আমরা যদিও কিছু কিছু জানি। কিন্তু চিনি না। আমি একটা নাম বলি “গ্যালভাটোমিটার” কিছু বুঝলেন? (আমি নিজেই বুঝলাম না।) কয়েকজন হয়তো বুঝেছেন। কিন্তু বেশিরভাগ লোকই বুঝেননি। তাই এতসব কিছু….
অটোমোবাইল
ডেইমলারদেশঃ জার্মানী
সালঃ ১৮৮৭
এতে বিশেষ কিছু বলার নেই। অটোমোবাইল = গাড়ি = মোটরগাড়ি।
কার্ল বেঞ্জের তৈরি ভেলো মডেল (১৮৯৪)
অণুবীক্ষণযন্ত্র
লেভেন হুক অথবা করনেইলস ড্রিবেলমার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
১৬৮৩
রশ্মির উপর ভিত্তি করে অণুবীক্ষণ যন্ত্রকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়।
- ১.আলোক অণুবীক্ষণ যন্ত্র। আলোক অণুবীক্ষণ যন্ত্রে যেভাবে লেন্স গুলো আলোকরশ্মি ব্যবহার করে বস্তুকে বড় দেখায় তার উপর ভিত্তি করে এই অণুবীক্ষণ যন্ত্রগুলোকে চার ভাগে ভাগ করা যায়।
- Brigt field Microscopy
- Dark field Microscopy
- Fluorescence Microscopy
- Phase Contrast Microscopy
- ২.ইলেকট্রন অণুবীক্ষণ যন্ত্র। এ ক্ষেত্রে আলোকরশ্মির পরিবর্তে ইলেকট্রন বিম ব্যবহার করা হয়। এ পদ্বতি দুই প্রকার।
- Transmission electron Microscopy
- Scanning electron Microscopy
ইলেকট্রিক রেজার
সুইকমার্কিনযুক্তরাষ্ট্র
১৯৩১
এতেও বিশেষ কিছু বলার নেই। ইলেকট্রিক রেজার = চুল কাটার মেশিন। ???
ইলেকট্রো কার্ডিওগ্রাফ
ইনথোবেননেদারল্যান্ড (হল্যান্ড)
১৯০৩
এই ব্যাপারে গুগল আঙ্কেল এর কাছে কিছুই পাওয়া যায়নি।উল্টা আমাকে জিজ্ঞেস করছে “আপনি কি বোঝাতে চেয়েছেন ইলেকট্রো কার্ডিওগ্রাম??“
ক্যামেরা
জাইসজার্মানী
১৯০৩
যেটা আপনি সবসময় মোবাইলে নিয়ে ঘুরেন। কয়েকজন হয়তো বলবেন, (এই মিয়া ক্যামেরা শুধু কি মোবাইলে থাকে নাকি? জানেনা একটা, বলছে দুইটা। আরে না ভাই! যেটা প্রায়শই দেখেন সেটা বললাম) যদিও কিছু মানুষের মোবাইলে নেই। ???
উড়োজাহাজ
অরভিল রাইট-উইলভার রাইটমার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
১৯০৩
উড়োজাহাজ বা বিমান বাতাসের চেয়ে ভারী অথচ উড্ডয়নক্ষম এক ধরনের আকাশযান । যাত্রী ও পণ্য পরিবহন এবং যুদ্ধে এটি ব্যবহৃত হয়। উড়োজাহাজ নামটি এসেছে উড় বা ওড়া এবং জাহাজ বা পোত শব্দদুটি একত্রিত করে।
উড়োজাহাজকে আমেরিকা, কানাডাসহ অনেক স্থানে এয়ারপ্লেন (“airplane”) বলে। আবার ব্রিটেনসহ কিছু এলাকায় অ্যারোপ্লেন নামে ডাকা হয়।
ইংরেজিতে এই নামদুটি এসেছে গ্রিক αέρας (aéras-) (“air” বা “বাতাস”) এবং গণিতের plane (তল) শব্দদুটি থেকে।
উড্ডয়ন সুত্র
এর উর্দ্ধগতি এর ডানার সম্মুখগতির কারণে। এই ধরনের আকাশযানের উর্দ্ধগতি ঘূর্ণায়মান ডানা সংবলিত আকাশযানের মত ডানায় বা উপরে অবস্থিত পাখার ঘূর্ণনের কারণে সৃষ্ট হয় না যেমনটি হেলিকপ্টারে হয়।
যদিও রকেট বা মিসাইল আকাশে উড়ে তথাপি তাদের উড়োজাহাজ বলা হয়না কারণ এগুলো ডানার সম্মুখগতি ব্যবহার না করে রকেট থার্স্ট এর সাহায্যে উর্দ্ধগতি অর্জন করে।
অনেক উড়োজাহাজ প্রপেলার বা জেট ইঞ্জিন দ্বারা সৃষ্ট ঘাতের প্রভাবে সম্মুখে চালিত হয়।অরভিল রাইট উইলভার রাইট
আরো জানতে এখানে গিয়ে দেখে আসতে পারেন।
এক্সরে
উইলহেম রনজেনজার্মানী
১৮৯৫
রঞ্জন রশ্মি ক্ষুদ্র তরঙ্গদৈর্ঘ্য বিশিষ্ট এক ধরনের তাড়িত চৌম্বক বিকিরণ।
এর অপর নাম এক্স-রে (X-ray)। রঞ্জনরশ্মির তরঙ্গ দৈর্ঘ্য (সাধারণত ১০-০.০১ ন্যানোমিটার) সাধারণ আলোর চেয়ে অনেক কম বলে দর্শন অনুভূতি সৃষ্টি করতে পারে না।
১৮৯৫ সালে উইলহেম রনজেন এই রশ্মি আবিস্কার করেন। তরঙ্গদৈর্ঘ্য যত ছোট হয় পদার্থ ভেদ করার ক্ষমতা তত বেশি হয়। চিকিৎসাক্ষেত্রে রোগনির্ণয়ে যুগান্তকারী পরিবর্তন এনেছে রঞ্জনরশ্মি।
এই বিষয়ে আরো জানতে……
কলমের বলপয়েন্ট
লাউডমার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
১৯৪৩
বলপয়েন্ট কলম – এই কলমের ডগায় বা নিবে ০.৭-১.২ মি.মি. আকারের পিতল , স্টীল বা টাংস্টেন কার্বাইডের তৈরি একটি ছোট্ট শক্ত বল বা গোলক থাকে যা কলমের ভেতরে থাকা কালিকে কাগজ বা যার উপরে লেখা হচ্ছে তাতে মাখাতে সাহায্য করে ।
বলপয়েন্ট কলমে যে কালি ব্যবহার করা হয় তা একটু ঘন প্রকৃতির এবং তা কাগজের সংস্পর্শে আসতে না আসতেই শুকিয়ে যায়। এই নির্ভরযোগ্য কলমগুলির দামও খুব কম।
ফলে সহজেই নিত্যদিনের লেখালেখির কাজে বলপয়েন্ট কলম সবচেয়ে জনপ্রিয় উপকরণ হয়ে উঠেছে।
কম্পিউটার
এইকেনমার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
১৯৩৯
বিশ্বের প্রথম কম্পিউটার (এনিয়াক)
গণনাযন্ত্র বা কম্পিউটার (ইংরেজি: Computer কম্পিঊটার্) হল এমন একটি যন্ত্র যা সুনির্দিষ্ট নির্দেশ অনুসরণ করে গাণিতিক গণনা সংক্রান্ত কাজ খুব দ্রুত করতে পারে।কম্পিউটার (computer) শব্দটি গ্রিক কম্পিউট (compute)শব্দ থেকে এসেছে। compute শব্দের অর্থ হিসাব বা গণনা করা। আর কম্পিউটার (computer) শব্দের অর্থ গণনাকারী যন্ত্র।কিন্তু এখন আর কম্পিউটারকে শুধু গণনাকারী যন্ত্র বলা যায় না। কম্পিউটার এমন এক যন্ত্র যা তথ্য গ্রহণ করে এবং বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তা বিশ্লেষণ ও উপস্থাপন করে। সভ্যতার বিকাশ এবং বর্তমানে তার দ্রুত অগ্রগতির মূলে রয়েছে গণিত ও কম্পিউটারের প্রবল প্রভাব।বাংলাদেশে প্রথম কম্পিউটার আসে ১৯৬৪ সালে।ক্যাথোড রশ্মি টিউব
ব্রুকসইংল্যান্ড
১৮৭৮
ক্যাথোড রশ্মি নল বা ক্যাথোড রে টিউব (ইংরেজি: Cathode ray tube) যাকে সংক্ষেপে সিআরটি বলে ডাকা হয়।
মূলতঃ এক ধরণের ভ্যাকুয়াম টিউব যার ভেতরে ইলেকট্রনের উৎস হিসেব ইলেকট্রনগান এবং ছবি প্রদর্শনের জন্য প্রতিপ্রভ পর্দা থাকে।এতে ইলেকট্রনগান থেকে নিক্ষিপ্ত ইলেকট্রন বীম বা স্রোতের গতিবৃদ্ধি বা দিক পরিবর্তনের জন্য অন্তঃস্থ বা বহিঃস্থ ব্যবস্থা থাকে যাতে করে নিক্ষিপ্ত ইলেকট্রন বীম সঠিক স্থানে আপতিত হয়ে প্রতিপ্রভ পর্দা থেকে আলো নিঃসৃত করতে এবং এর ফলে ছবি প্রদর্শন করতে পারে।সাধারনতঃ অসিলোস্কোপে বৈদ্যুতিক তরঙ্গের ছবি দেখাতে, রাডার, কম্পিউটার মনিটর বা টেলিভিশনেছবি দেখাতে ইত্যাদি কাজে সিআরটি ব্যবহৃত হয়।ক্রোনোমিটার
স্যার জন হ্যারিসনমার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
১৮৭৫
ক্রোনোমিটার হচ্ছে সূক্ষ্ম ঘড়ি যা সমুদ্রে দ্রাঘিমা রেখা নির্ণয়ে ব্যবহৃত হয়। এটি উইকিপিডিয়া তে নেই….আমি পেয়েছি fromreadingtable.com থেকে।
গ্যালভাটোমিটার
সুইগারজার্মানী
১৮৭৮
স্যরি! আমি জানিনা। গুগল এবং মিঃ উইকি তে ও পেলাম না।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ (উইকিপিডিয়া থেকে অনেক কিছু নেওয়া হয়েছে….আর গুগল তো আছেই….)
ধন্যবাদ।
গ্যালভানোমিটারের সাহায্যে সার্কিটে বা লোডের ভিতর দিয়ে প্রবাহিত সূক্ষ্ম curreng পরিমাপ করা হয় ৷