“আসসালামু আলাইকুম”
**গড়ন ও কাঠামোঃ
চাঁদের পিছন থেকে তোলা সূর্যরশ্মিতে দৃষ্ট ভূ-কক্ষের চিত্র। বাম থেকে ডানে: বুধ, মঙ্গল এবং শনি গ্রহ স্কেল অনুসারে সৌর জাগতিক বস্তুসমূহের কক্ষপথের চিত্র (উপরের বাম থেকে ঘড়ির কাঁটার দিকে) সৌর জগতের প্রধান উপাদান হচ্ছে সূর্য যা একটি প্রধান ধারার জি২ শ্রেণীর তারা। সৌর
জগতের সমগ্র মোট ভরের শতকরা ৯৯.৮৬ ভাগের জন্য দায়ী হল সূর্য এবং এটিই জগতের সবকিছুকে [৫]নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। সূর্য বাদ দিলে সৌর জগতের বাকি যে ভর অবশিষ্ট থাকে তার শতকরা ৯০ ভাগের জন্য দায়ী হল বৃহস্পতি এবং শনি গ্রহ। এই গ্রহ দুটি সূর্যকে প্রদক্ষিণরত
সর্ববৃহৎ বস্তু। বর্তমানে
উওর্ট মেঘ সম্বন্ধে যা
বলা হচ্ছে তা সত্যি
প্রমাণিত হলে এটিও সৌর
জগতের ভরের একটি অংশ
[৬]গঠন করবে। সূর্যকে
কেন্দ্র করে ঘূর্ণায়মান
অধিকাংশ বস্তুই ভূ- কক্ষের নিকটে অবস্থিত। ভূ-কক্ষ একটি সরু রেখাপথ
যা পৃথিবীর কক্ষের সাথে
সমান্তরালে অবস্থিত।
গ্রহগুলো ভূ-কক্ষের খুব
নিকটে অবস্থিত যদিও
ধূমকেতু ও অন্যান্য
কাইপার বেষ্টনী বস্তু সমূহ
এর সাথে বেশ বড় কোণ
করে অবস্থান করে।
সৌর জগতের ভিতর
অবস্থিত গ্রহ এবং অন্যান্য
অধিকাংশ বস্তু সূর্যের
ঘূর্ণনের সাথে ঘড়ির
কাঁটার বিপরীত দিকে
ঘূর্ণায়মান থাকে। এই
দিকটি বোঝা যায়
সূর্যের উত্তর মেরুর উপর
অবস্থিত একটি বিন্দুর
সাপেক্ষে। তবে এর
ব্যতিক্রমও রয়েছে, যেমনঃ
হ্যালির ধূমকেতু। সূর্যের
চারদিকে ঘূর্ণায়মান বস্তুসমূহ
কেপলারের গ্রহীয় গতির সূত্র মেনে
চলে। প্রতিটি বস্তু সূর্যকে
উপবৃত্তের একটি
ফোকাসে রেখে উপবৃত্তাকার কক্ষপথে
আবর্তন করে। বস্তুটি
সূর্যের যত নিকটে আসে
তার গতিও তত বৃদ্ধি পায়।
গ্রহসমূহের কক্ষপথ প্রায়
বৃত্তাকার যদিও কিছুটা
উপবৃত্তের আকৃতি বজায়
থাকে। কিন্তু গ্রহাণু এবং
কাইপার বেষ্টনী
বস্তুসমূহের কক্ষপথের
আকৃতি সম্পূর্ণ
উপবৃত্তাকার। বৃহৎ দূরত্বের সাথে
সঠিকভাবে খাপ
খাওয়ানোর জন্য
অনেকগুলো প্রস্তাবনায়
বলা হয়েছে যে,
কক্ষপথগুলো একটি
আরেকটি থেকে সমদূরত্বে
অবস্থিত। কিন্তু বর্তমান
প্রমাণ অনুসারে
বাস্তবতা বেশ ভিন্ন।
একটি গ্রহ সূর্য থেকে যত
দূরে অবস্থিত তার কক্ষপথ
এর পূর্ববর্তী গ্রহের কক্ষপথ
থেকে তত দূরে অবস্থিত।
উদাহরণস্বরুপ: শুক্র এবং বুধ
দূরত্ব ০.৩৩ এইউ; কিন্তু শনি
এবং বৃহস্পতি গ্রহের
কক্ষপথের মধ্যবর্তী দূরত্ব
৪.৩ এইউ। আবার নেপচুন
এবং ইউরেনাসের
কক্ষপথের মধ্যবর্তী দূরত্ব
১০.৫ এইউ। কক্ষীয় দূরত্বের
মধ্যে এই পার্থক্যের উপর
ভিত্তি করে তাদের
মধ্যে একটি আন্তঃসম্পর্ক
প্রতিষ্ঠার চেষ্টা হয়েছে
অনেকবার। যেমনঃ
বোদের তত্ত্ব। কিন্তু এই
তত্ত্বগুলো গ্রহণযোগ্যতা পায় নি।
সূর্য ::
সূর্য সৌরজগতের
মাতৃতারা ও এর প্রধানতম
উপাদান। সূর্যের ভর
অনেক বেশি। এই ভরের
কারণে অভ্যন্তরভাগে যে
বিপুল ঘনত্বের সৃষ্টি হয়
তা-ই নিউক্লীয় সংযোজন
বিক্রিয়াকে চলমান
রাখে। এই বিক্রিয়ার
কারণে বিপুল শক্তি
নির্গত হয় যে শক্তির
অধিকাংশ বিভিন্ন
তড়িচ্চুম্বকীয় বিকিরণ
যেমন দৃশ্যমান বর্ণালী
হিসেবে মহাকাশে
নির্গত হয়। তারার শ্রেণীবিন্যাস
অনুসারে সূর্য মাঝারি
ধরণের হলুদ বামন
শ্রেণীতে পড়ে। কিন্তু
সূর্যবে এভাবে খাটো
করা এক দিক দিয়ে ঠিক
হবে না। কারণ আমাদের
ছায়াপথের অন্যান্য
তারার তুলনায় সূর্য বেশ
বড় এবং উজ্জ্বল।
হের্টস্স্প্রুং-রাসেল চিত্র
অনুসারে তারাসমূহের
শ্রেণীবিন্যাস করা হয়।
এটা প্রকৃতপক্ষে তারার
পৃষ্ঠীয় তাপমাত্রার
বিপরীতে উজ্জ্বলতাকে
স্থাপন করে অঙ্কিত একটি
লেখচিত্র। সাধারণত,
তারার উত্তাপ যত বেশি
হয় তার উজ্জ্বলতাও তত
বেশি হয়। চিত্রের এই
গড়নকে যে তারাগুলো
অনুসরণ করে তারা প্রধান
ধারায় আছে বলে ধরে
নেয়া হয়। সূর্যের অবস্থান
এর ঠিক মধ্যখানে। সূর্যের
চেয়ে উজ্জ্বল এবং উত্তপ্ত
তারা বেশ বিরল হলেও
তার থেকে কম উজ্জ্বলতা
এবং উত্তাপবিশিষ্ট
তারার সংখ্যা অনেক।
প্রধান ধারার যেখানে
সূর্য আছে তা থেকে
বোঝা যায়, বর্তমানে সে
তার জীবনকালের মুখ্য
সময়ে আছে। অর্থাৎ
সংযোজন বিক্রিয়ার জন্য
প্রয়োজনীয় হাইড্রোজেনের ভাণ্ডার
এখনও ফুরিয়ে যায়নি।
সূর্যের উজ্জ্বলতা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে।
ইতিহাসের একেবারে
প্রাথমিক সময়ে এর
উজ্জ্বলতা বর্তমান থেকে
শতকরা ৭৫ ভাগ বেশি
ছিল। সূর্যের হাইড্রোজেন ও
হিলিয়ামের অনুপাত
নির্ণয়ের মাধ্যমে জানা
গেছে সে তার জীবনকালের মাঝামাঝি পর্যায়ে আছে। এক সময় সে প্রধান
ধারা থেকে সরে যাবে,
ক্রমান্বয়ে বড়, উজ্জ্বল,
শীতল ও লাল হতে থাকবে।
এভাবে ৫০০ কোটি বছরের
মধ্যে লোহিত দানবে
পরিণত হবে। সে সময় তার
দীপন ক্ষমতা হবে
বর্তমানের চেয়ে কয়েক
হাজার গুণ বেশি।
সূর্য পপুলেশন ১ তারা
হিসেবে চিহ্নিত
হয়েছে। অর্থাৎ
মহাবিশ্বের বিবর্তনের
শেষ পর্যায়ে এটি গঠিত
হয়েছে। এতে
হাইড্রোজেন ও
হিলিয়ামের চেয়ে
ভারী মৌলের পরিমাণ
অপেক্ষাকৃত প্রবীণ
পপুলেশন ২ তারার তুলনায়
বেশি। হাইড্রোজেন ও
হিলিয়ামের চেয়ে
ভারী মৌলগুলো প্রাচীন
ও বিস্ফোরিত তারার
কেন্দ্রে প্রথমবারের মত
গঠিত হয়েছিল। তাই
মহাবিশ্ব এই ভারী পরমাণু
দিয়ে সমৃদ্ধ হওয়ার পূর্বেই
প্রথম প্রজন্মের তারাগুলো
মৃত্যুবরণ করেছিল।
প্রাচীনতম তারাগুলোতে
ধাতু (হিলিয়াম পরবর্তী
মৌলসমূহ) খুব কম, কিন্তু
অপেক্ষাকৃত নবীন তারায়
ধাতুর পরিমাণ বেশি।
সূর্যের মধ্যে অনেক ধাতু
থাকার কারণেই এই গ্রহ
জগৎ গঠিত হতে পেরেছে
বলে ধারণা করা হয়।
কারণ, ধাতুর বিবৃদ্ধি
থেকেই গ্রহ গঠিত হয়।
#তথ্যসুত্রঃ উইকিপিডিয়া
**আজ এই পর্যন্ত
** ভালো লাগলে ১ টি লাইক দিয়ে কমেন্ট করে জানাবেন *ধন্যবাদ।
আগের পোস্ট এর লিংকটা দিবেন প্লিজ