প্রিয় গ্রাহক,
কেমন আছেন আপনি নিশ্চয়ই আল্লাহর রহমতে ভালই আছেন???
আমরা অনেকেই কিন্তু সকাল বিকাল অনেক আবার রাত্রেও গোসল করে থাকি??? , এতে আমরা মনে করি আমরা কতই না পরিষ্কার হলাম??
অনেকে তো আবার দিনে তিন চারবার ও গোসল করেন, অনেকে আছেন যারা মাত্র কয়েক বার ঝকঝক করে পানি গায়ে ঢেলে চলে আসেন। আবার অনেকে তো দেখা যায় যে ঘণ্টাকে ঘন্টা পানি ঢালতেই আছে কিন্তু তাও মনে মনে ভাবেন পুরা পরিস্কার হয় নাই??
সে যাই হোক অনেক কথা বলে ফেললাম, গোসলের কিন্তু একটা নিয়ম কানুন আছে?? কিন্তু নিয়ম গুলো জানার জন্য হাতে কিছুটা সময় রেখে পোস্টটি সম্পূর্ণ করতে হবে।
তো চলুন দেখে আসি???
গরমে গোসলের সঠিক নিয়মঃ
কখন গোসল করবেন না:
বাইরে থেকে বাড়ি ফিরেই গোসল করবেন না। গায়ের ঘাম শুকিয়ে তারপরই গোসল করতে যান। মাঝ রাতে গরমে ঘুম ভেঙে গেলেও গোসল করবেন না। ঘাড়ে, হাতে, পায়ে, মুখে পানি দিয়ে, দরকার হলে পোশাক বদল করে শুতে যান।
দু‘বারের বেশি গোসল নয়:
যতই গরম লাগুক দিনে দু’বারের বেশি গোসল করলে শরীর আর্দ্রতা হারাবে। ঘাম হলে তোয়ালে বা গামছা ভিজিয়ে গা মুছে নিন। যত সকালের দিকে গোসল করে নেবেন তত আরাম পাবেন। দ্বিতীয় বার গোসল করুন সূর্য ডোবার পর বা কাজ থেকে বাড়ি ফিরে।
গোসল করেই ভেজা শরীরে ফ্যানের তলায় আসবে না। গা মুছে তারপর ফ্যানের তলায় আসুন।
পানি:
সাধারণ তাপমাত্রার পানিতে গোসল করুন। পানির তাপমাত্রা খুব গুরুত্বপূর্ণ। গরম পানিতে গোসল করলে রোমকূপ বড় হয়ে যাবে। ফলে ময়লা ঢুকবে বেশি। আবার অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি শরীরকে শুষ্ক করে দেবে।
সাবান বা বডি সোপ: গরমে যে কোনো সাবান নয়, নিম, অ্যান্টিসেপটিক সাবান বা জেল বডি সোপ ব্যবহার করুন।
লুফা (মাজনি):
গরমে লুফা নয়। এতে ত্বক আর্দ্রতা হারাবে। গরমে আরো বেশি কষ্ট হবে। হাত দিয়ে ঘষে পরিষ্কার করুন শরীর।
এসেনশিয়াল অয়েল:
গরমে পানি মিশিয়ে নিতে পারেন ল্যাভেন্ডার, রোজ, টি-ট্রি বা পেপারমিন্ট অয়েলের সাথে। তারপর মিশ্রিত পানিতে গোসল করুন। দুশ্চিন্তা কমে শরীর অনেক হালকা লাগবে, ঘামও কম হবে।
অ্যান্টি-সেপটিক:
গরমে ঘাম জমে শরীরের খাঁজে ঘামাচি, চুলকুনি হতে পারে। গোসলের পানিতে অ্যান্টিসেপটিক মিশিয়ে গোসল করুন। গোসলের পর তুলা ভিজিয়ে ওই অংশে অ্যান্টিসেপটিক লাগালেও কাজ দেবে।
স্ক্রাব:
গরমে ঘাম হলে শরীরে ময়লা জমে। ফলে আরো বেশি ঘাম হয়। ওটমিল এই সময়ের সবচেয়ে ভাল স্ক্রাব।সপ্তাহে এক দিন ওটমিল সক্রাব করুন গোটা শরীরে।
চাইলে আপনিও এইভাবে গোসল করতে পারেন, এতে কিন্তু আপনাদের বেশি সময় ব্যয় হবে না কিন্তু সম্পূর্ণ সুন্দর পরিষ্কার হয়ে যেতে পারবেন।
একটা কথা মনে রাখবেন, সব সময় আপনার পরিছন্নতা কিন্তু আপনারি দায়িত্ব। তাই ভেতর থেকে পরিষ্কার হন তাহলে দেখবেন চারপাশটা কেউ পরিষ্কার মনে হচ্ছে।
জানিনা এ ধরনের পোস্ট আপনার কতটুকু ভালো লাগছে, তবে ভালো লাগলে লাইক বাটনে ক্লিক করে একটা লাইক করতে পারেন। এতে সন্তুষ্ট হবো।
আর আপনি যদি মনে করেন যে পোস্টটি সত্যিই অনেক উপকারী, তাহলে শেয়ার করে ছড়িয়ে দিতে পারেন।
আর আপনি যদি এমনই পোস্ট ভবিষ্যতে আমার থেকে দেখতে চান তাহলে কমেন্ট বক্স অবশ্যই জানিয়ে দেবেন।
কোন প্রশ্ন, থাকলে মন খুলে কমেন্ট বক্সে লিখে ফেলবেন। তো আজকের মত এ পর্যন্তই দেখা হচ্ছে আগামী কোন পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
Skype ব্লক হবেনা এমন ৪০০ মিনিট এর অ্যাকাউন্ট কিনতে চাইলে ফেসবুকে যোগাযোগ করুন এই লিংকে।
6 thoughts on "এই কাঠ -ফাটা গরমে গোসল হওয়া চাই সঠিক নিয়মে বিস্তারিত!!"