ট্রিকবিডি এর সকল দর্শক এবং ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন সবাই? আশা করছি আল্লাহ তাআলার অশেষ রহমতে এবং দোয়ায় আপনারা সকলেই ভাল আছেন এবং সুস্থ আছেন।
আজকে আমি আপনাদের সাথে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। আর তা হলো আমরা অনেক মানুষ কোন ভালো কাজ শুরু করার পূর্বে বিসমিল্লাহ বলতে ভুলে যাই। বিসমিল্লাহ যে কত বড় ফজিলত পূর্ণ এবং কত বড় বরকতময় বা বিসমিল্লাহ কে একটা দোয়া বলতে পারেন।
তবে এটা কিন্তু আমরা অধিকাংশ মানুষই জানিনা। বিশেষ করে অধিকাংশ ভাই ও বোনেরা নামাজ শেষে মোনাজাতের দোয়া করার পূর্বে বা আল্লাহতালার কাছে কোন কিছু চাওয়ার পূর্বে বিসমিল্লাহ বলে শুরু করি না। অথচ মোনাজাত কবুল করার প্রধান শর্তই হচ্ছে আল্লাহতালার কাছে কোন কিছু চাওয়ার পূর্বে বিসমিল্লাহ পাঠ করা।
হযরত জাবির রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু হতে একটি হাদিস বর্ণনা হয়েছে যে, “আমি রাসুলুল্লাহ সাঃ কে বলতে শুনেছি যে দোয়া কবুলের প্রথম শর্তই হচ্ছে বিসমিল্লাহ পাঠ করা।”
- যে ব্যক্তি নামাজ শেষে বিসমিল্লাহ বলে আল্লাহর কাছে কোন কিছু চায় বা দোয়া করে তখন আল্লাহ তাআলা তার দোয়া কখনোই ফিরিয়ে দেন না। এবং তার দোয়াকে কবুল করে নেয়।
- আবার আমরা যখন বিসমিল্লাহ বলে ঘরের দরজা বন্ধ করি তখন আমাদের ঘরের মতো শয়তান প্রবেশ করতে পারে না শুধুমাত্র বিসমিল্লাহ বলে ঘরের দরজা বন্ধ করার জন্য।
- আমরা যখন বিসমিল্লাহ বলে বাইরে বের হই ঘর থেকে তখন আল্লাহ তায়ালা ফেরেশতাগণ দ্বারা সেই ঘরের হেফাজত করেন এবং বাইরের সকল রকম দুর্ঘটনা থেকে আপনাকে রক্ষা করেন।
- আমরা যখন বিসমিল্লাহ বলে খাবার শুরু করি তখন শয়তান আমাদের খাবারের অংশগ্রহণ করতে পারে না এবং আল্লাহতালা ওই খাবারের বরকত আরো বৃদ্ধি করে দেয়।
এগুলো ছাড়াও আরো অনেক অনেক হাজার হাজার ফজিলত রয়েছে মাত্র একটি বাক্য বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম এরমধ্যে।
কিন্তু আমরা অধিকাংশ মুসলমান ভাই ও বোনেরা কোন শুভ কাজ করার আগে তো বাদ দিলাম অনেকে আছে খাবার খাবার আগে বিসমিল্লাহ বলতে ভুলে যায়।
তো প্রিয় ভাই ও বোনেরা আশা করি বুঝতে পেরেছেন বিসমিল্লাহ বলার ফজিলত কতটুকু। এখন আমরা ইনশাল্লাহ আজকে থেকেই প্রতিটা কাজে এবং আল্লাহ তালার কাছে কোন কিছু চাওয়ার পূর্বে অবশ্যই বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম শুরু করব।
আজকের পর্যন্ত এখানেই শেষ করছি। ইনশাল্লাহ পরবর্তীতে দেখা হবে আপনাদের মাঝে আরো কোনো নতুন এক দোয়া নিয়ে যা সম্পর্কে আপনারা অবগত নন ততক্ষণ পর্যন্ত ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন খোদা হাফেজ।
এ সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা বলে هَاتُوا بُرْهَانَكُمْ إِن كُنتُمْ صَادِقِينَ٥ অর্থঃ “যদি তোমরা সত্যবাদী হও তাহলে দলিল পেশ করো। (সূরা বাক্বারা,আয়াত শরীফ ১১১)