ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (আইএসআরও) মহাকাশযান চন্দ্রযান–১ মূলত চাঁদের মেরু এলাকা পর্যবেক্ষণ করে। ওই এলাকা থেকে পাঠানো তথ্য বিশ্লেষণ করতে গিয়ে গবেষকরা জানতে পারেন, চাঁদের ওই এলাকা থেকে প্রতিফলিত আলোর ধরন অন্য এলাকাগুলোর আলোর তুলনায় ভিন্ন। সেখানে তারা বর্ণালিতে মরিচার মতো কিছু একটার প্রভাব খুঁজে পান।
এরই মধ্যে চাঁদে ‘মরিচা’ পড়া–সংক্রান্ত একটি গবেষণা নিবন্ধ প্রস্তুত হয়েছে। নিবন্ধটি রচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব হাওয়াইয়ের একদল গবেষক। শিগগিরই এটি বিজ্ঞানবিষয়ক সাময়িকী সায়েন্স অ্যাডভান্সেসে প্রকাশ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। যেখানে বলা হয়েছে, চিরচেনা রুপালি চাঁদ আর রুপালি থাকছে না। দিনে দিনে এর রং এমনভাবে বদলে যাচ্ছে, যেন মনে হবে চাঁদে মরিচা পড়ছে।
লোহার অক্সাইডের একটি ধরন হলো মরিচা। লোহায় মরিচা পড়তে হলে অবশ্যই তাকে অক্সিজেনের সংস্পর্শে থাকতে হবে। কিন্তু চাঁদের বায়ুমণ্ডল নেই। কাজেই সেখানে অক্সিজেন থাকার প্রশ্নই আসে না। ঠিক এই বিষয়টিই ভাবাচ্ছে বিজ্ঞানীদের।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, চাঁদের নিজস্ব বায়ুমণ্ডল না থাকলেও পৃথিবীর চুম্বকক্ষেত্রের প্রভাবে সেখানে খুব সামান্য পরিমাণে অক্সিজেন থাকলেও থাকতে পারে। পৃথিবীর চুম্বকক্ষেত্রের প্রভাবেই এখান থেকে অক্সিজেন প্রায় ৩ লাখ ৮৫ হাজার কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে চাঁদ পর্যন্ত পৌঁছে থাকতে পারে। শত শত বছর ধরে চলা এই প্রক্রিয়ার কারণেই চাঁদে খনিজ উপাদান হিসেবে থাকা লোহায় মরিচা পড়ে থাকতে পারে।
আরেকটি সম্ভাব্য কারণ হতে পারে চাঁদে বরফের উপস্থিতি। চাঁদের দূরপৃষ্ঠের গর্তে বরফের খোঁজ পাওয়া গেছে। এই বরফ থেকে কোনোভাবে অক্সিজেন অবমুক্ত হয়ে লোহায় মরিচা তৈরি করছে। তবে এসব সম্ভাব্য কারণে সন্তুষ্ট নন বিজ্ঞানীরা। তাঁরা প্রকৃত কারণ জানতে চান। আর তাই জোরেশোরে শুরু হয়েছে চাঁদে মরিচা পড়ার কারণ অনুসন্ধান।
সব শেষে এই টুকুই বলবো আমার কথার দারা কষ্ট পেয়ে থাকলে ক্ষমা করবেন। আমি একজন নগন্য মানুষ মাত্র…