গত দশকটা বাংলাদেশের সিনেমার জন্য একপ্রকার চড়াই-উতরাইয়ের দশক ছিল ব্যাবসায়িক দিক থেকে চিন্তা করলে দর্শকের কয়েক বছর গুটিকয়েক সিনেমা সফলতার মুখ দেখে ছিল এবং অনেকগুলি মানহীন কাজের মাঝেও দারুন কিছু সিনেমা মুক্তি পেয়েছিল যেসব সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির সুসময় আসার বার্তা দিয়ে গেছে।
বিগত দশকের ঠিক এমনই কিছু সিনেমার স্পেশাল পোস্ট নিয়ে আমাদের আজকের আয়োজন হ্যালো ফ্রেন্ডস আপনারা দেখছেন ট্রিকবিডি সাথে আছি আমি অনামিকা।
এই সিনেমাটি মুক্তির সময় হাইপ তুলনামূলক অনেক কম ছিল কিন্তু সিনেমাটি নেটফ্লিক্সে আসার পর থেকে আচমকাই এর হাইপ অনেক বেড়ে যায় সিনেমা টি সম্পূর্ণ রিয়েল স্টিক এবং এর প্লট ও অনেক বিস্তৃত একটি টিম আরে থাকে নানান শ্রেণীর যাত্রীদের গল্প যাদের প্রত্যেকের রয়েছে আলাদা গল্প আলাদা জীবনযাত্রা আবার একই স্থানে রয়েছে উচ্চবিত্ত নিম্নবিত্ত রয়েছে ভুক্তভোগী রয়েছে অত্যাচারী
এবং প্রতিটি গল্প ঔ বেশ রিলেটেবিল এবং মানুষের মাঝে থাকা ইমোশন জীবনসংগ্রাম আশঙ্কা এইসব বিষয়গুলি কে কিছুটা আবেগি আবার কিছুটা কমিটির মাধ্যমে দারুন করে তুলে ধরা হয়েছে এই সিনেমায়,
সবকিছু মিলিয়ে সিনেমাটি কে এক বিশাল ডিপ মিলীগে দাঁড় করিয়েছে সিনেমার পরিচালক।
সিনেমাটিক অনেক বেশি আর্টিস্টিক কিছুটা স্লো হলেও অসাধারণ সিনেমাটোগ্রাফি আর ভালো কিছু ডায়লগ দিয়ে সিনেমাটি যথেষ্ট ভালো করার চেষ্টা করা হয়েছে।
সচরাচর এমন অর্থবহ সিনেমা বাংলাদেশ হয়না অফট্র্যাক সিনেমার দর্শক হয়ে থাকলে সিনেমাটি মিস করবেন না! এই সিনেমার আইএমডিবি রেটিং ছিল ৭.৪ এবং গুগোল ৯৩ শতাংশ।
২। ঘেটুপুত্র কমলা।
বাংলাদেশের হাওর অঞ্চলের বিলুপ্ত প্রায় বহু প্রাচীন এক সংস্কৃতিকে সিনেমার মাধ্যমে তুলে ধরেছিলেন বাংলাদেশের অন্যতম সেরা পরিচালক হুমায়ূন আহমেদ যার সাথে জমিদারি প্রথার ভিন্নরূপ ও উঠে এসেছে সিনেমাটি বাংলাদেশে যে সময় নির্মিত হয়েছিল তখন এটিকে অনেক সমালোচনার মুখেও পড়তে হয়েছিল।
কিন্তু বর্তমান সময়ে এসে সিনেমাটি কে সেই সময়ের অন্যতম সেরা কাজ বলে আখ্যায়িত করা হয়।
সিনেমার কনসেপ্ট টাই দারুণ ইউনিক আর প্রেজেন্টেশন ও ভালো লাগার মতই তবে সিনেমার অন্যতম প্লাস পয়েন্ট ছিল সিনেমাটোগ্রাফি ঘেটুপুত্র কমলা নামক এই সিনেমার স্টরি লাইন টা বেশ বেশ সহজ বৌদ্ধ ই।
তবে অনেকেরই মানিয়ে নিতে সমস্যা হতে পারে, এছাড়া সিনেমার কিছু লোকেশন আর প্রতিটি আর্টিস্ট এর অভিনয় সিনেমাটি কে আরো দারুন করে তুলেছে কিংবদন্তী কথা সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের এই সিনেমা টা কে দর্শকরা অনেকদিন মনে রাখবে।
এই সিনেমার আইএমডিবি রেটিং ছিল ৭.৪ এবং গুগোল লাইক ৯৪ শতাংশ।
https://youtu.be/ZiS7eUuLUMA
৩। স্বপ্নজাল।
সাধারণের মাঝে থেকে অসাধারণ কিছু বের করে নিয়ে আসার দক্ষতা যেসব পরিচালকদের আছে তার মাঝে গিয়াসউদ্দিন সেলিম এগিয়েই থাকবেন।
সেই মনপুরা দিয়ে দর্শক হৃদয়ে জায়গা করে নিয়ে পরিচালক তিনি।
আর এবারের স্বপ্নজাল সিনেমা ও তার সেই গুণটি বহাল আছে আপাতদৃষ্টিতে একটি অতি সাধারন গল্পকে তিনি যে ভাবে এক্সিকিউট করেছেন তার সত্যিই বাহবা পাওয়ার যোগ্য।
একটি সাধারন ভাবেই শুরু হওয়া গল্পের মাঝে রাজনীতি ধর্মীয় বিষয় গুলি ইনক্লুড হতে থাকে, আর শেষ পর্যন্ত এক চূড়ান্ত পরিণতির দিকে ধাবিত হয়ে পরে।
সিনেমার অসাধারণ টেকনিক্যাল কাজের পাশাপাশি প্রত্যেক অভিনেতা শিল্পীগণ দুর্দান্ত অভিনয় করেছেন।
তবে সিনেমাটি সেরা হওয়ার পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান পরিচালকেরি রয়েছে শেষে এটুকু বলাই যাই সিনেমাটি দেখার সময় আপনি এক আলাদা মহে পড়ে যাবেন। এই সিনেমার আইএমডিবি রেটিং ছিল ৭.৯ এবং গুগোল লাইকস ৯৬ শতাংশ।
৪। সত্তা
শাকিব খান একজন ভালো অভিনেতা কিন্তু তাকে কেউ ঠিকঠাক ভাবে ব্যবহার করতে পারেনি! তার সবচেয়ে সেরা উদাহরণ হল সত্তা সিনেমা কারণ এই সিনেমায় শাকিব খান তার ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা পারফর্মেন্স দিয়েছেন।
সত্তা সিনেমাটি অনেকটাই বাস্তবধর্মী অফট্র্যাকের স্টোরিলাইন হওয়া সত্ত্বেও পরিচালক সিনেমাটি কে কিছুটা কমের্সিয়ালস করার চেষ্টা করেছেন সিনেমায় একজন পরিস্থিতির শিকার হওয়া মেয়ে আর একজন নেশাসক্ত ছেলের গল্প খুবই নিপুণতার সাথে তুলে ধরা হয়েছে।
তারি মাঝে রয়েছে তাদের জীবন সংগ্রাম তাদের বদলে যাওয়ার গল্প এবং তাদের শেষ পরিণতি।
এই সিনেমায় শাকিব খান তার হিরোইক ক্যারেক্টার থেকে বেরিয়ে এসে একেবারে সাবলীল অভিনয় করেছেন। পাওলি গাম কেউ একেবারে ন্যাচারাল লেগেছে।
এই সিনেমার জন্য শাকিব খান জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পান সবকিছু মিলিয়ে এই সিনেমার দর্শক সমালোচকদের প্রশংসা কুড়িয়ে বক্স অফিসে হিট হয়েছিল। এবং এই সিনেমার আইএমডিবি রেটিং ছিল ৭.৫ আর গুগোল ৮৮ শতাংশ।
কিন্তু আদতে সেই প্রত্যাশা কতটা পূরণ করেছে দেবী এই প্রশ্নটিই বাদ দিয়ে যদি সিনেমার দিকে আলোকপাত করা হয় তাহলে সিনেমাটির সত্যিকার অর্থেই অনেক ভাল ছিল।
গল্প এক সদ্য বিবাহিতা নারীকে নিয়ে একদিন হঠাৎ করেই সে নানান অস্বাভাবিক আচরণ করতে শুরু করে তাই তার স্বামী বাধ্য হয়েই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মিসির আলি শরণাপন্ন হন।
আর এরপর থেকেই মূল গল্পের শুরু সিনেমা তে দারুন কিছু টুইস্ট ছিল যা আপনাকে অবাক করে দেবে। রহস্য উদ্ধার করতে গিয়ে বেরিয়ে আসতে থাকে নানা অপ্রিয় সত্য এরকমই এক গল্প কে সুন্দর ভাবে প্রেজেন্ট করা হয়েছে এই সিনেমায়।
সিনেমাটি একটু অফট্র্যাকের আবার সামান্য ডার্ক ও বলতে পারেন।
এককথায় একটি দারুন ইনজয়বল মুভি বাংলাদেশী সিনেমার দর্শক হয়ে থাকলে সাইকোলজিকাল মিস্ট্রি থ্রিলার টি মিস করবেন না এই সিনেমার আইএমডিবি রেটিং ৭.৯ এবং গুগোল ৯২ শতাংশ।
শেষ করছি আমার আজকের পোস্ট ভাল লাগলে লাইক কমেন্ট শেয়ার করুন এবং কমেন্টস করে আপনার মূল্যবান মতামত জানিয়ে দিন।
তবে ঢাকা এটাক যুক্ত করলে ভালো হতো।
এটাতো জাস্ট পর্ব ১
১টি ১৯ বছরের মেয়ে যদি ১টি ১৮ বছরের ছেলেকে ছোট বাচ্চা বলা কি ঠিক হবে……!
Promotion hocche valo kotha tai bole..ekta post e duita video link deya..???
more movies