আসসালামুআলাইকুম, ও হিন্দু ভাইদের জানাই আদাব।আশা করি সবাই অনেক অনেক ভাল আছেন। প্রতিবারের মতো আবারো আরেকটি আর্টিক্যাল নিয়ে হাজির হলাম আপনাদের মাঝে। টাইটেল দেখে হয়তো অনেকে বুঝে গেছেন, আজকে কোন বিষয় নিয়ে লিখতে যাচ্ছি, আপনাদের মাঝে। আজকের বিষয় হলো
লেবুর খোসার উপকারিতা ও গুনাগুন। আমরা অনেক সময় খাবারের সাথে লেবু খেয়ে থাকি। প্রচুর পুস্টিগুন ও ভিটামিন সমৃদ্ধ এই লেবু। কিন্তু আমরা অনেকে জানি না লেবুর খোসায় ও অনেক উপকারিতা রয়েছে। অবাক হওয়ার কিছু না। আজকের পোস্ট আপনি ভাল ভাবে পড়লে খুব সহজে জানতে পারবেন লেবুর খোসার উপকারিতা সম্পর্কে। আমরা লেবুর রস খাওয়ার পর, খোসা ফেলে দেই। কিন্তু আজকের পোস্ট পড়লে আপনি লেবুর খোসা নিজেই রাখবেন। আজকের পোস্টে চমৎকার ভাবে আপনি জানতে চলছেন, এই লেবুর খোসার উপকারিতা সম্পর্কে।
লেবুর গুনাগুন ও অনেক রয়েছে,লেবুর পাশাপাশি লেবুর খোসার ও অনেক গুনাগুন রয়েছে। যা আপনে আজকে জানতে পারবেন।কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক, লেবুর খোসার উপকারিতা ও গুনাগুনঃ
১] পোকামাকড় তাড়ানো ঔষুধঃ
পোকামাকড় তাড়ানোর ঔষুধ এই লেবুর খোসা। পিপড়া বা তেলাপোকা এই লেবুর গন্ধ সহ্য করতে পারে না।আপনার বাড়ীতে যেকোন স্থানে পিপড়া বা তেলাপোকার উপদ্রব যেখানে খুব বেশি। সেখানে আপনি লেবুর খোসা রাখবেন,দেখবেন সে স্থানে পিপড়া ও তেলাপোকা থাকবেন না। এবং পিপড়া ও তেলাপোকার উপদ্রব কমে যাবে।মশার মতো পোকার হাত থেকে ত্বককে বাচাতে লেবুর খোসা ব্যাবহার করতে পারেন।
২] রুম ফ্রেশনার হিসাবেঃ
আপনি খুব সহজে প্রাকৃতিক ভাবে লেবুর খোসা দিয়ে রুম ফ্রেশনার বানাতে পারেন।এজন্য শুকনা ফুল এবং সাথে লেবুর খোসা ও তেল এক বতলে রাখুন। এবং একটি পরিস্কার বোতলে রাখুন।এবং পরে, এটি ঘরে স্পে করতে থাকুন।
৩] গৃহস্থালির কাজেঃ
ঘরের মেঝে সহ অন্যান্য জিনিস পত্র জীবানুমুক্ত রাখতে লেবুর খোসার ব্যাবহার এর বিকল্প নেই। লেবুর খোসাকে প্রথমে পানি দিয়া ভালভাবে সিদ্ধ করে নিতে হবে।এবং ভালভাবে সেকে নিন।এবং প্রয়োজন মতো ভিনেগার বা ব্রেকিং পাউডার মিশান। এছাড়া ও লেবুর খোসায় রাসায়নিক পদার্থ গুলো দাগ তোলাতে প্রচুর ভুমিকা রাখে।
৪] দুর্গন্ধ দূর করতেঃ
লেবুর খোসা দুর্গন্ধ দূর করতে অনেক ভুমিকা পালন করে। বিশেষ করে ফ্রিজের ভিতর দুর্গন্ধ হলে, লেবুর খোসা রেখে দিলে খুব সহজে ফ্রিজের ভিতরের দুর্গন্ধ দূর হয়ে যায়। লেবুর পাশা পাশি লেবুর খোসার ও অনেক গুন রয়েছে। যা আপনারা হয়তো কিছু টা জেনে গেছেন।
৫] পা ফাটার চিকিৎসায়ঃ
লেবুর খোসার গুড়ো দিয়ে পেট্রোলিয়াম জেলির মতো পেস্ট তৈরী করে নিন। এবং এটি আপনার পা এ যে স্থানে ফাটা সমস্যা আছে,সেখানে লাগিয়ে নিন। এবং কয়েকঘন্টা রেখে দিন।আপনার পা নরম ও ফাটা সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে। পারলে ফাটা স্থানে লেবুর খোসার পেস্ট লাগিয়ে মোজা করে নিন।
৬] ফেস মাস্ক হিসাবে ব্যাবহারঃ
ত্বকের অনেক কোষ মারা যায়। যার কারনে ত্বক কালো দেখা যায়। এসব ত্বক এর কোষ জীবত করতে লেবুর ফেস মাস্ক ব্যাবহার করুন।
এক চিমটি লেবুর খোসার গুড়োর সাথে, ২ টেবিল চামচ চালের গুড়া মিশিয়ে নিন।এবং এটা ঠান্ডা দুধ দিয়ে ঘন পেস্ট তৈরী করুন। এবং ব্যাবহার করুন। ত্বকের মৃত কোষগুলোকে বাচিয়ে তুলবে।
৭] ত্বকের যত্নে লেবুর খোসার ব্যাবহারঃ
এক মুঠো লেবুর খোসার পেস্ট করে নিন। সাথে চিনি মিশিয়ে নিবেন। আপনার ত্বকের ধরন অনুযায়ী অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিবেন। এবং আপনার ত্বকে ব্যাবহার করলে ত্বক এ জমে থাকা ময়লা পরিস্কার হবে। এবং আপনার ত্বক অনেক ভাল থাকবে।
৮] লেবুর খোসা খাওয়াঃ
লেবু থেকে ছাড়িয়ে, লেবুর খোসা শুকাতে হবে। এবং এটা ভালভাবে গুড়ো করে নিতে হবে।তার পর লেবুর খোসাগুলোকে ভাজা ভাজা করে নিতে হবে।এবং তার পর এই লেবুর খোসার গুড়া বিভিন্ন ভাবে খাওয়া যেতে পারে। চা বা এ ধরনের বিভিন্নভাবে মিশ্রিত করে খাওয়া যেতে পারে।
৯] ক্যান্সার প্রতিরোধ করেঃ
লেবুর মতো এই লেবুর খোসাতে ও রয়েছে সাইট্রাস বায়োফ্লোভোনয়েড। এবং লেবুর খোসা ক্ষারীয় করে তোলে আমাদের শরীরকে, যা আমাদের ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
১০] রক্ত সরবরাহ করেঃ
লেবুর খোসা খেলে শরীর রর রক্ত সরবরাহ বাড়তে থাকে।এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গায় অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত পৌছে। শরীর এর কার্যক্ষমতা বাড়তে সাহায্য করে।ফলে শরীর অনেক ভাল থাকে।
১১] হাড় মজবুত করেঃ
ভিটামিন সি ও ক্যালসিয়াম হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে। এবং হাড় কে ভাল রাখতে সাহায্য করে। লেবুর খোসা খেলে হাড় মজবুত হয়।লেবুর খোসাতে রয়েছে বিভিন্ন উপাদান ও পুস্টিগুন।
টেকনিক্যাল বিষয়ে যাবতীয় ভিডিও ও সমাধান পেতে আমাদের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুনঃ
আজ এ পযন্ত,
পরবর্তী ট্রিক এর জন্য অপেক্ষা করুন, আবারো ভাল কিছু নিয়ে হাজির হবো।
সে পযন্ত ভাল থাকুন,সুস্থ থাকুন।
যে কোনো প্রয়োজনে আমার সাথে ফেসবুকে যোগাযোগ করতে চাইলেঃ- Sk Shipon
ধন্যবাদ
2 thoughts on "লেবুর খোসার বিভিন্ন উপকারিতা ও গুনাগুন সম্পর্কে জানুন।"